সেই বেওয়ারিশ লাশ
রাস্তার ধারে যে রক্তাক্ত মানুষটি পড়ে আছে,
বেওয়ারিশ নাস্তিক লাশ হয়ে,
এখন সে সপ্তর্ষীদলের কেন্দ্রবিন্দুতে চক্রাকারে ঘুরছে
তার চারপাশে গজিয়ে উঠেছে হাজার পারিজাত,
জীবনের স্পন্দনে সে ছিলো অনড় শব্দসৈনিক।
কিছুদিন আগেও শব্দের বাগানে ফুল ফুটিয়েছে যে মানুষটি,
মৃত্যু তাকে ছুঁলেও অলক্ষ্যে সে শত কলমের জীবন স্পন্দন।
কোয়ান্টাম থিয়োরিও মিথ্যে হয়ে যায়,
প্রকৃতি কি জানতো তার মৃত্যু আসন্ন,
তাই কি শিমুল, পলাশ রক্তের রঙে রাঙিয়েছে নিজেদের?
রাতের অন্ধকারে গ্রহ জুড়ে থমথমে নীরবতা
রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের মত জীব-
যাদের মনুষ্যত্ব আগেই অতীত
তারাও দেখল এক যোদ্ধার
টুকরো হয়ে যাওয়া শরীরের বয়ে যাওয়া রক্ত নদী।
সেই ছিটকে পড়া রক্ত রাস্তায় আঁকলো নীরব নকশা
থমকে ছিলো রাত্রিও সেই বর্বরতা দেখে।
সেই বেওয়ারিশ নাস্তিক লাশ
পড়ে রইলো সভ্য সমাজের মুখে লাথি মেরে।
সেই ছিটকে পড়া রক্ত রাস্তায় আঁকলো নীরব নকশা
থমকে ছিলো রাত্রিও সেই বর্বরতা দেখে।
গম্ভীর কবিতা। তারপরও অনেক সুন্দর লিখা প্রিয় কবিবন্ধু রিয়া। শুভ সন্ধ্যা।
ভীষণ ভালো থাকুন প্রিয় বন্ধু
ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ
লাশ – মুত ব্যক্তিটির। সে আস্তিক না-কি নাস্তিক, সেটা লাশের গায়ে লেখা থাকে না। খেতাবটা আমরাই জুড়ে দেই আমাদের মতো করে…..ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন … ধন্যবাদ আপনাকে
সেই বেওয়ারিশ নাস্তিক লাশ
পড়ে রইলো সভ্য সমাজের মুখে লাথি মেরে।
*এর পর আমার মন্তব্যের আর কোন উপযোগ নেই !
শুভেচ্ছা নেবেন
“তারাও দেখল এক যোদ্ধার
টুকরো হয়ে যাওয়া শরীরের বয়ে যাওয়া রক্ত নদী।”
দারুণ বলেছেন! শুভ কামনা সতত কবি।
শুভকামনা আপনার জন্যও