বিসর্জন

বিসর্জন

এক মুঠিতে আগুন রাখি, আরেক মুঠি জল। জলের তবু নদী আছে, নদীর আছে তল। অভিমানী শরৎ রানী আমার কথা মান। কথার তবু শব্দ আছে, শব্দে আছে গান। মান ভাঙানো, গান শোনানো, চাঁদের আলোয় স্নান।

চোখ ছলছল, আর্শিনগর, ক্যানভাস, রঙ তুলি। দেখ দেখি মন, আরেকটু রঙ, এ বেলাতেই ঢালি? ঘাস বিছানা, মাটির বাড়ি, লালচে রঙের টালি! রঙ ঝলমল, চোখ টলটল, সামলে রাখিস জল। ঠিক বেঠিকে ছন্দ পতন, অনেক কথার ছল।

মনে এখন তুই তো আছিস, তাই লুকিয়ে রাখি ঝড়। মন প্লাবনে উথালপাথাল, থমকে আছে ঘর। অভিমানী শরৎ রানীর অনেক কথার দোষ। দোষ করেছিস? রোষ পেয়েছিস? আর কি কিছু চাই ?বিসর্জনের সময় বুঝি এগিয়ে এলো তাই!

কথার তবু জোয়ার আসে, পানসি ভাসাক মন। কাশের মাঝে, মাঠের পারে ফলসা রঙা বন। রূপকথাতে চুপকথাতে দিন জুড়োবে তোর। দিন জুড়োবে, প্রাণ ভরাবে শিউলি ঝরা ভোর।

কান ফুসফুস মন চুপচুপ, কি জানি কি হয়, ঢাকের কাঠি উঠলো বোলে, দূর্গা মায়ের জয়।।

4 thoughts on “বিসর্জন

  1. মনো শব্দের কথাকাব্য এমন নিখুঁত করে শব্দে তুলে আনা আপনাতেই সম্ভব। অভিনন্দন প্রিয় কবিবন্ধু রিয়া রিয়া। যেখানে যেভাবে থাকুন অনেক অনেক ভালো থাকুন। :)

  2. বেশ কাব্যিক। সত্যিই যেনো কবিতা পড়ছিলাম। ভালো লাগে আপনার এমন লেখা

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।