স্মৃতিনগর
অনেকগুলো ছবি ফ্ল্যাশব্যাকে, আর অনেক গুলো বছর তুলে রাখা মনের কুলুঙ্গিতে। কেউ নিতে পারেনি। কেউ নিতে পারবে না। বৃষ্টি শেষে একরাশ ভিজে হাওয়া পাতা উলটে দিয়ে যায় অ্যালবামের কিছু ছবি। নীল আকাশে, শরতের মেঘ হতে চাওয়া এক কুচি মন।
ফোঁটা ফোঁটা জল জমে, নদী হয়। কেউ কেউ মনে মনে থেকে যায়, কেউ আবার মনের কোথাও স্থান পায় না। এক টানে ছেঁড়া কাগজ জমা জলে পানসি হয়। ছিঁড়ে গেছে ছোটবেলার মন, ছিঁড়ে গেছে পুতুলের জামা, ছিঁড়ে গেছে জমিয়ে রাখা কিছু স্মৃতি আর হলদেটে আহ্লাদে ছবি। কিছু মন জমা হয় রোজ, কিছু মন মুছে দিতে হয়। থেকে যায় কিছু নদী। আর থাকে ছেলেবেলার এক্কা দোক্কা খেলা চুপচাপ দুপুর।
এক চিলতে ইচ্ছে রেখেছি, স্মৃতিনগর আঁকবো। রঙ, তুলি সব ছড়ানো ছিঁটানো। গাছেদের সাথে লুকোচুরি করা ক্যানভাস। নদীর থেকে পেয়ে গেছি ঝলমলে তেল রঙ। আয়নায় ধার ঘেঁষে নানা রঙা ছোট বড় টিপ। কার টিপ? লালচে, কালচে, মেরুন, নীল! মন বোঝে ঠিক কোনজন? আনমন সারাক্ষণ!
শরতের মেঘ হতে চাওয়া এক কুচি মন।
ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু।
"ফোটা ফোটা জল জমে নদী হয় " —- কাব্যিক ক্যানভাসে আঁকা হয় মনের যত কথা। চমৎকার অনুভবের শিল্পিত রূপে মুগ্ধ হই। শুভকামনা
শুভকামনা দিদি ভাই।
বাহ! চমৎকার নিজের ভেতরকে প্রকাশ! তবে– "কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে?"
ধন্যবাদ কবি মৃধা মোহাম্মাদ বেলাল দাদা।
বেশ অনুপ্রেনীত হইলাম দিদি
জ্বী সেটাই ভাল কবিবাবু।
স্মৃতিনগর আবাসিক এলাকায় সবাই একটা করে প্লট পায়। কিন্তু কেউ কারোর প্লট নাম্বার জানেনা। সাথে একটা করে সিন্দুকও পায়। সেটার পাসওয়ার্ড কেউ হ্যাক করতে পারেনা। সিন্দুকটায় জল থাকে; জোছনাও। কখনো জল ডোমিনেট করে; কখনো জোছনা।
স্মৃতিনগরের ওই প্লট এবং সিন্দুকটা যদি মনোজগৎ হয়; তাইলে জীবনটা জল-জোছনার খেলা। আপনার লেখার “এক্কা-দোক্কা”ও হতে পারে।
দারুণ লিখেছেন।
খুশি হলাম মিড দা। আজ আপনার লেখা পেলাম না।
আমি জানি দিদি আপনি আমার ওই উপন্যাসটি পড়েননি কিন্তু কি করে আমার ভাবনার সাথে আপনার ভাবনা মিলে যায়?
এমনি কিছু কথা আমার ওই উপন্যাসে লিখেছিলাম মনে পরছে। জিও দিদি, জিও হাজারও সাল।

আপনিও থাকুন হাজারো সাল খালিদ দা। আপনার উপন্যাস না পড়া থাকলেও আমাদের মনোভাবনার মিল আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করলো।
অনেকগুলো ছবি ফ্ল্যাশব্যাকে, আর অনেক গুলো বছর তুলে রাখা মনের কুলুঙ্গিতে। কেউ নিতে পারেনি। কেউ নিতে পারবে না।
* অসাধারণ শব্দ বুনন…


ধন্যবাদ কবি দা।