“যেও না নবমী নিশি লয়ে তারা দলে”
তুমি গেলে দয়াময়ী এ পরাণ যাবে।”
এটাই তো আমাদের সবার মনের একান্ত কথা হয় নবমীর দিনে। সারা বছর ধরে যে উৎসবের জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি, তার বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দেয় এই নবমী নিশি। তাই নবমী নিশিকে আমরা সবাই ধরে রাখতে আকুতি জানাই। আমাদের সমস্ত তিথি-নক্ষত্র হিসাব করা হয় চন্দ্রের অবস্থান দেখে। সেই অনুযায়ী মাসের তিরিশ দিনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে, পনেরো দিন করে। ভাগ দুটো হলো শুক্ল পক্ষ ও কৃষ্ণ পক্ষ। মহানবমী এই শুক্লা নবমী যাকে শাস্ত্রে বলে ‘উগ্রপদা’। কথিত আছে নবমী তিথিতে মানুষের নাকি উত্তেজনা বাড়ে অর্থাৎ মানুষের মধ্যে অপরাধের প্রবণতা বাড়ে, অশুভত্বের দিকে মানুষ এই তিথিতে বেশী ঝুঁকে যায়। কিন্তু, এই অশুভত্বকে বিনাশ করে শুভশক্তির জয়ের জন্য তাই এই মহানবমী তিথিকেই অন্য নবমী তিথির মধ্যে শুভ ধরা হয়। জপ, তপ, উপাসনা এইসব তাই এই তিথিতে বেশি করে করা হয়। তাই নবমী পূজা ও বলিদান পর্ব আছে। ‘বলি’ শব্দের অর্থ উৎসর্গ, ত্যাগ। আমাদের অহঙ্কার, কাম-ক্রোধ ইত্যাদি হলো স্বরূপ বোধের প্রতিবন্ধক। এগুলিকে বিসর্জন দেওয়াই বলির তাৎপর্য।
তন্ত্রশাস্ত্রে আছে —
“কামক্রোধৌ ছাগবাহৌ বলিং দত্ত্বা প্রপূজয়েৎ”।
অর্থাৎ কামক্রোধরূপী ছাগ ও মহিষকে বলি দেওয়া। এই পূজার ক্ষণটিতে মায়ের চরণে স্ব স্ব অন্তরে স্থিত চন্ডমুন্ডরূপ যেমন, কাম-ক্রোধকে বিসর্জন দিয়ে থাকেন।
শ্রীশ্রীচন্ডীতে আছে, মহারাজ সুরথ ও সমাধি বৈশ্য নদীপুলিনে দেবীর পূজা করে নিজেদের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে বলি দান করেন বা উৎসর্গ করেন। জীবশরীরে রক্ত মূল্যবান বস্তু। তাকে দান অর্থাৎ আত্মনিবেদন করলেন। এই পূজার শেষ পর্যায়ে হয় ‘হবন’ বা যজ্ঞ। দেবীর সামনে তাঁর নামে অগ্নিস্থাপন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। কিন্তু যজ্ঞ হলো একটি সম্পূর্ণ পৃথক পূজা। আগে যেমন প্রতিমাতে, ঘটে যে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল তারই অনুষ্ঠান এখন অগ্নিতে অর্থাৎ যজ্ঞে। বৈদিক যুগের অনুকল্প হিসাবে এই কার্য হয়ে থাকে। অগ্নিকে সাক্ষী রেখে কল্পারম্ভে সঙ্কল্পিত কার্যের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
নবমীর বিশেষত্ব যদি কিছু থাকে তা হল এই হোম-যজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্যে নবমীতেই মূলত হোম হয়ে থাকে, ব্যতিক্রমী নিয়মও থাকতে পারে। মূলত আঠাশটা বা একশো আটটা নিখুঁত বেলপাতা লাগে। বালি দিয়ে যজ্ঞের মঞ্চ বানিয়ে বেলকাঠ ঠিকভাবে নিয়মমতো সাজিয়ে পাটকাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে ঘি’তে চুবিয়ে বেলপাতাগুলো নিবেদন করা হয়। তারপর সবার শেষে একটি কলা চেলীতে বেধে পান নিয়ে সেটা ঘি’তে চুবিয়ে পূর্ণাহুতি দেওয়া হয়। তারপর তার মধ্যে দই দেওয়া হয় ও দুধ দিয়ে আগুন নেভানো হয়।
আমার মনে হয় দুর্গামূর্তির মধ্যে এক রাজকীয় ভাব আছে, ছেলেমেয়ে (জানি তারা কেউই তার নিজের সন্তান নয় ) সবাইকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এক যোদ্ধা, যিনি রূপং দেহি, যশং দেহি,আবার একজন সাধিকা, আমাদের সকলের কল্যাণকারি, আমরা যাকে মা বলি। এই মৃন্ময়ী মুখে তাঁর চিন্ময়ী রূপ দেখে মায়া হয়। মনে হয় আমাদের ঘরের মেয়ে। আমরা যতই নবমী তিথিকে বিদায় দিতে না চাইনা কেন, সে তো যাবেই। শুধু আমাদের মন বলে যাবে …
“ওরে নবমী নিশি ! না হৈওরে অবসান।
শুনেছি দারুণ তুমি, না রাখ সতের মান।।
শুভ নবমী।
“ওরে নবমী নিশি ! না হৈওরে অবসান।
শুনেছি দারুণ তুমি, না রাখ সতের মান।।
শুভ নবমী। শব্দনীড় এর পক্ষ থেকে আপনাকেও নবমীর শুভেচ্ছ।
ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু। শুভেচ্ছা।
মহান মুরুব্বীর কপি পেস্টঃ
“ওরে নবমী নিশি ! না হৈওরে অবসান।
শুনেছি দারুণ তুমি, না রাখ সতের মান।।
শুভ নবমী। শব্দনীড় এর পক্ষ থেকে আপনাকেও নবমীর শুভেচ্ছ।
ধন্যবাদ প্রিয় খালিদ উমর দা। শুভেচ্ছা।
বুঝে নিলাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ধন্যবাদ বাবু দা। শুভেচ্ছা।
আমিও কপি পেস্ট করলাম ।
“ওরে নবমী নিশি ! না হৈওরে অবসান।
শুনেছি দারুণ তুমি, না রাখ সতের মান।।
নবমীর শুভেচ্ছা আপু । ভালো থেকো ।
ধন্যবাদ প্রিয় দিদি ভাই।
শুভেচ্ছা। 
না না! মানি না। আমার কাছে সবাই কপি পেস্ট করা শিখলে কেমনে চলে? আমি কি কপি পেস্ট এর স্কুল খুলছি?
শেষ প্যারাটা বেশি ভালো লেগেছে।
শুভ নবমী।
বলতে চেয়েছি, কথাগুলি মনে দাগ কেটেছে !
খুশি হলাম মিড দা। এবার দশমী এলো বলে। নমস্কার।
ওয়াও ! চমৎকার করে লিখেছেন।
নবমী তিথির মধ্য দিয়ে আসুক শুভক্ষণ। বিনাশ হোক অশুভ'র।
বিসর্জনের ত্যাগে ধরা হোক শুদ্ধ।
আমি আজ সন্ধ্যার পরে মন্দিরে গিয়েছিলাম। পূজা উপভোগ করেছি।
পূজার শুভেচ্ছা দি'ভাই।
“কামক্রোধৌ ছাগবাহৌ বলিং দত্ত্বা প্রপূজয়েৎ”।
সর্ব মঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।
শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরি নারায়ণী নমস্তুতে।।
অর্থ:
হে দেবী সর্বমঙ্গলা, শিবা সকল কার্য সাধিকা,
শরণযোগ্য, গৌরি ত্রিনয়নী, নারায়ণী তোমাকে নমস্কার।