তিনি একজন কবি ( গদ্য কবিতা )……………
তিনি একজন কবি
মোহাম্মদ ইকবাল সুনিপুণ শব্দের শৈল্পিক কারিগর শব্দের গাঁথুনিতে বানান কল্পনার ঘর,
নদী আকাশ অরন্য পাখি চাঁদ জোছনা কেউ নয় কবির পর,
শব্দ বিন্যাসে কবি বানান নিজস্ব পৃথিবী সময় কথা বলে যায় নিরবধি,
কবির কবিতার শব্দ উচ্চারণ করা মাত্রই
মনের ভেতর এসে ভর করে অদ্ভুত শিহরণ,
আমরা উপলব্ধি করি মমতায় আঁকা কোমল কোনো মূর্তিকে যাকে অনুভব করে তিনি লিখেন,
তাঁর কলমের শব্দ গড়ে উঠে কবিতার বিস্তীর্ণ ভূমি,
তাঁর চিন্তায় শব্দের স্রোত নিত্য বহমান,
যাঁর চেতনায় পৃথিবীর বিচিত্র রঙ লীলা রূপ রস বৈচিত্র্য খেলা করে এবং
তাঁর জন্য সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অপরিমেয়।
.
তিনি একজন কবি —
তাঁর কাব্য প্রতিভার সাহিত্য চর্চার জোরেই তিনি চিরকালের হাসি-কান্না, জীবনবোধ, বিন্যাস, প্রেম-বিরহ, ক্ষোভ-আক্ষেপকে
শব্দের নান্দনিক স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে কবিতা গড়ে তুলেন।
তিনি কেবলই কবিই নন তিনি একাধারে সত্য ও সুন্দরের পূজারী, দার্শনিক, ভবিষ্যতদ্রষ্টা, বিজ্ঞানীও বটে,
তিনিই পারেন নিজের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বিশ্বাস, উপলব্ধি ও অনুভবগুলো
দেশকালের সীমানা পেরিয়ে বহুদূর ছড়িয়ে দিতে,
তিনি সীমানা মানেন না, তিনি নিয়মে-কানুন, তাঁবেদারির তোয়াক্কা করে না,
তিনি নিরন্তর ছুটে চলেন কবিতার জন্য,
কবিতার অন্বেষণে তাঁর দিন-রাত কাটে,
কবিতার সৌন্দর্য আবিষ্কার নেশায় মত্ত তাঁর ঘুম কেড়ে নেয়,
তাঁর চিন্তার জগতে তখন দ্বিতীয় কোনো বিষয় থাকে না কবিতাই তাঁর তৃপ্তির নিঃশ্বাস।
.
তিনি একজন কবি —
যার রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতা,
তিনিই পারেন শব্দ দিয়ে বুকের মধ্যে অনুভূতির নতুন নতুন নহর সৃষ্টি করতে,
পৃথিবীর বিচিত্র ভাব কবি হৃদয়কে আন্দোলিত অভিভূত করে তোলে,
কবির চেতনা করে তোলে তীক্ষ্ণতর স্পর্শকাতর।
মানব জীবন ও প্রকৃতির ক্ষিপ্ত-বিক্ষিপ্ত সৌন্দর্যবোধ, বেদনাসিক্ততার যখন মনে-মননে ভর করে
তখন কবি শব্দের গাঁথুনীকে গড়ে তোলেন তার কবিতা,
কবি জীবনের প্রতিভা আঁকেন, কান্না হাসির অনন্ত জীবন ভাবেন, ভালোবাসা দেন, জীবন দেন,
দর্পনে শত মুখ দেখেন কবিতা লেখার সময় কবি রাষ্ট্রপতির চেয়ে বড়।
.
তিনি একজন কবি —
কবি মাত্রই বেখেয়ালী, আনমনা, ঘোরগ্রস্ত, কল্পনাবিলাসী মানুষ,
তিনি বলেন আমি লিখি আত্মার নির্দেশে কবিরা কখনো মিথ্যা বলে না,
কবি প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করে চলেন জীবনের গূঢ় রহস্যকে, উন্মোচন করেন সত্যকে,
সৃষ্টির আনন্দে উল্লাসিত কবি উন্মাদনা পান, কবিতায় খুঁজে পান আপন ঠিকানা,
এ কথা সত্য যে,
সাহিত্যে কবির সম্মান অনেক উপরে,
একজন কবি যখন হেঁটে যান আমাদের উচিত তাঁর সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যাওয়া।
শত শত বছর আয়ু কী কবির প্রাপ্তি নয় ??
কাব্যিক বোধ মানুষের মন কে রাঙায় নাড়া দেয় উপলব্ধি করা যায় পৃথিবী কত রূপময় ছন্দময়,
যদি কবিতা লেখা না হতো তাহলে নিরসে নির্বাসিত হতো পৃথিবী,
পাখিরা গান গাইতো না কোনো প্রেমের চিঠি লেখা হতো না, ফুটতো না কোনো ফুল,
আর এই ফুল ফোটানো আর সুন্দর পৃথিবী গড়ার কাজই করেন তিনি।
.
তিনি একজন কবি —
তাঁর কবিতায় ফুঠে উঠে তাঁর দেশ, কবি তাঁর ঐতিহ্যের ধারক,
কবি তাঁর মাটি ও মানুষের কথা বলেন, সুন্দর আর মুগ্ধতার কথা বলেন,
তিনি সত্য আর ন্যায়ের কথা বলেন, তাঁর স্বদেশকে সারা বিশ্বে তুলে ধরতে,
কবিতার বিনিময়ে তিনি বেঁচে থাকবেন শত শত বছর,
তিনি একজন কবি এক কিংবদন্তি একটি জাতির জন্য এটি গৌরবের একটি দেশের জন্য সম্পদ,
তিনি নিজেকে নির্মাণ করেছেন তিলে তিলে
তার নির্মিত কাব্যিক প্রাসাদ বেশ উঁচু,
তিনি একজন কবি একজন অসাধারণ মানুষ
তিনিই মোহাম্মদ ইকবাল…………..
— ফারজানা শারমিন মৌসুমি
০৩ – ০১ – ২০২০ ইং
তিনি একজন কবি মোহাম্মদ ইকবাল।
তাঁর চিন্তার জগতে তখন দ্বিতীয় কোনো বিষয় থাকে না কবিতাই তাঁর তৃপ্তির নিঃশ্বাস। অভিনন্দন জানাই কবি কে। সমাজ সংস্কারে তাঁর শব্দ-সকল হোক শক্তির উৎস।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে…………………
কবি'র প্রতি আমাদের সশ্রদ্ধ সম্মান। গদ্য কবিতায় তুলে ধরার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে…………….
তাঁর প্রতি সশ্রদ্ধ সম্মান কবি আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে…………….
শব্দ বিন্যাসে কবি বানান নিজস্ব পৃথিবী সময় কথা বলে যায় নিরবধি,
কবির কবিতার শব্দ উচ্চারণ করা মাত্রই মনের ভেতর এসে ভর করে অদ্ভুত শিহরণ।
কবি মোহাম্মদ ইকবাল এর প্রতি ভালোবাসা।
অসংখ্য ধন্যবাদ…………….
অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় কবি দিদি ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ……………..