ইন্দ্রাবতী ; তোমায় স্পর্শ করবো বলে
সাতরঙা জল ছুঁয়ে দেখবো বলে
সে কী আয়োজন আমার ;
কখনো নীল শাড়ির ভাঁজ খুলে দেখছি,
কখনোবা আকাশি রঙের শাড়িটা।
আচ্ছা, আকাশ যখন সমুদ্রে হেলে পড়ে
তখন গোধূলি আলোর কোন আভার খেলা
তোমাকে মুগ্ধ করে বলতে পারো ?
তুমি কথায় কথায় বলো – নীল পড়ো,
সেটা বোশেখ হোক, কিংবা বসন্ত ;
নীলে তোমার আছে তীব্র আকর্ষন।
ইন্দ্রাবতীর গা ছুঁয়ে সাতখানা জলপ্রপাত
কিভাবে ধেয়ে চলে,
তা দেখবার কী ব্যকুল প্রতীক্ষা আমার !
তাই যখনি সুযোগ পাচ্ছি একটা একটা করে শাড়ি
গুছিয়ে নিচ্ছি লাল ট্রাভেল ব্যাগে ;
কে জানে ; হয়তো রংধনুর মিষ্টি আলো
তোমার মনকে খানিক হলেও বদলে দিতেও পারে।
কিন্তু, বেরসিক ডাক্তার এক গাদা অষুধ লিখেই খালাস ;
এত্তো এত্তো ইনহেলার নিয়ে কী চব্বিশ ঘন্টা
কাটিয়ে দেওয়া যায় !
শ্বাসনালীর সাথে হৃদপিণ্ডের দারুণ রকম যুদ্ধ চলছে,
কিছুতেই অক্সিজেন যাচ্ছে না শরীরে ;
তাহলে বোধ করি সাতরঙা জল দেখা হবে না এ জন্মে।
এই শহরের বিষবাষ্পে ভেসে আছে কালো কার্বন
একটু একটু করে সময় কুড়িয়ে নিচ্ছি,
একটু একটু করে কাজ গুছিয়ে নিচ্ছি,
আমি চিত্রকুটের জল স্পর্শ করবো।
আমায় তুমি নিয়ে চলো ছিয়ানব্বই মিটার উঁচুতে,
আমি তোমার হাত ছোঁব না,
আমি তোমার ঠোঁট ছোঁব না,
কথা দিলাম ;
আমি তোমার ব্যক্তিগত বাঁধা হবো না।
কেবল আমার পাশে মূর্তি হয়েই দাঁড়িয়ে থেকো,
আমি একটিবার অমন ঝরতে পারা জলস্রোতিনী
ছুঁয়ে দেখতে চাই।
________________________________
চমৎকার প্রিয় কবি আপু।
ধন্যবাদ লিটন ভাই।
কেবল আমার পাশে মূর্তি হয়েই দাঁড়িয়ে থেকো,
আমি একটিবার অমন ঝরতে পারা জলস্রোতিনী ছুঁয়ে দেখতে চাই।
ধন্যবাদ প্রকাশক ভাইয়া ।
ইন্দ্রাবতীর গা ছুঁয়ে সাতখানা জলপ্রপাত
কিভাবে ধেয়ে চলে,
তা দেখবার কী ব্যকুল প্রতীক্ষা আমার ! আমাদেরও। শুভেচ্ছা জানবেন রোদেলা নীলা।
এখনো সেই প্রতীক্ষা নিয়ে বসে আছি ,থাকুন সুমন ভাই ।
ভালো লাগল কবিতাটি

ভীষণ সুন্দর উপস্থাপন;
প্রীতিময় শুভেচ্ছা ও ভালবাসা –
শুভেচ্ছা নেবেন দাউদুল ইসলাম ।
ইন্দ্রাবতীর গা ছুঁয়ে সাতখানা জলপ্রপাত
কিভাবে ধেয়ে চলে,
তা দেখবার কী ব্যকুল প্রতীক্ষা আমার !
বাহ্ কবি বোন রোদেলা নীলা।
ধন্যবাদ সৌমিত্র দাদা ।
ভালো কবিতা।
ধন্যবাদ শাকিলা তুবা ।
চমৎকার কবি দি।
ধন্যবাদ রিয়া রিয়া ।