নিরঞ্জন বলেছিল,
“ভালোবাসতে যাবি না কখনো”;
শুনে আমি শুধু নীরবে হাসতাম।
আমি তো জানতাম —
নিরঞ্জন ছিল অভিশপ্ত দেবতার মতো,
যে পাওয়ার খুব কাছে গিয়ে
হারাতো সবই।
.
স্কুলে ফুটবল খেলার সময়,
ফুটবলরূপী জাম্বুরাটা
একে একে সবার পায়ে যেত;
খুব কাছ দিয়ে গেলেও
পা আর ছোঁয়া হতো না,
নিরঞ্জনের।
.
লেখাপড়ায় সবচেয়ে ভাল ছেলেটা
পরীক্ষায় ফার্স্ট হতো না কেন,
তা ছিল আমাদের কাছে
চরম রহস্যাবৃত।
.
এক মেঘ রৌদ্দুর ভরা অলস দুপুরে
শ্মশান জলে ভেসে যাওয়া
রক্তজবা দেখতে দেখতে,
নিরঞ্জনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম-
“তুই কি কখনো ফার্স্ট হতে পারবি না?”
কিছুক্ষণ চুপ থেকে, শুধু বলেছিল-
“আমার ফার্স্ট হওয়া মানে তো,
বিপাশার চোখের জল !”
4 thoughts on “নিরঞ্জনের না বলা কথা – ১”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
লিখাটি বেশ জীবন্ত মনে হলো। যেন জীবন থেকে নেয়া। অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে সমাপ্তি অংশবিশেষ। ___ শব্দনীড়ে আপনাকে স্বাগতম মি. রোমেল আজিজ।
মুরুব্বী আপনাকে ধন্যবাদ, এইটা সিরিজ কবিতার প্রথমটা, আশাকরি আস্তে আস্তে সবগুলো শব্দনীড়ে প্রকাশ করবো ।
খুউব সুন্দর লেখা। অভিনন্দন কবি দা। স্বাগতম।
ধন্যবাদ আপনাকে