কেউ সুখে নেই

ওপাড়ার শালিকটার কথা মনে আছে কি তোর,
প্রতিবেশীর ছাদে শুকাতে দেওয়া ধান খেয়ে ফেলত?
আজ দেখলাম সিঁড়ির উপরে চুপ করে বসে আছে
মাছরাঙার মত গম্ভীর হয়ে, চঞ্চল আদুরে পাখিটা।

মনে কি আছে তোর, বিরেণদের বাড়ির পেছনে
পরিত্যক্ত মন্দিরে থাকা, কালো বিড়ালটার কথা?
কাল দেখছিলাম কেমন যেন বিষণ্ন হয়ে হাঁটছিল
ভাঙা কার্ণিশের ধারে।

আছে কি মনে তোর, সেই মেয়েটার কথা?
স্কুল থেকে ফেরার সময়
আমি ভুল করেও তার দিকে তাকালে
হিংসায় জ্বলে উঠতো তোর দু ‘চোখ।
সেদিন দেখলাম মুছে গিয়ে সেই হাসি,
মেয়েটা হয়ে গিয়েছে কেমন যেন নিশ্চুপ!

জানিস অনুসৃতা,
ইদানীং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবি-
আহ্নিক গতি মেনে চলা এ পৃথিবীতে,
ভাল নেই কেউ, কেউ সুখে নেই।

রোমেল আজিজ সম্পর্কে

শখের বশে কবিতা লেখা শুরু, কিন্তু নিজেকে কবি বলে পরিচয় দেন না। প্রচুর বই পড়েন, বই পড়া পছন্দ করেন, শুধুমাত্র কবিতার বই নয় যেকোন বই। আর মাঝে মধ্যে টুকিটাক লেখালেখি। বর্তমানে শখের বশেই সম্পাদনার সাথে যুক্ত আছেন "দ্বিপ্রহর" কবিতা ও গল্প সংকলন এবং "দ্বিপ্রহর" ম্যাগাজিনের সাথে। প্রিয় কবি জীবননান্দ দাশ, এছাড়া রবীন্দ্রনাথ, বুদ্ধদেব বসু, হেলাল হাফিজ, শামসুর রাহমান, সুনীল, আবুল হাসানের কবিতাও প্রিয়। প্রিয় উপন্যাসিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। পড়ালেখা ছাড়া বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন, পছন্দ করেন একা একা বেড়াতে। পৃথিবীর সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ঘুম আর অপ্রিয় জিনিস ধর্মীয় তর্ক....

14 thoughts on “কেউ সুখে নেই

  1. ইদানীং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবি-
    আহ্নিক গতি মেনে চলা এ পৃথিবীতে,
    ভাল নেই কেউ, কেউ সুখে নেই।

     

    * বাস্তবতার মাঝেও শুভ কামনা সবার জন্যে… https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

  2. দারুণ একটি প্রেজেন্টেশান। বলার ভঙ্গিমাটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে মি. কবি। 

  3. আহ্নিক গতি মেনে চলা এ পৃথিবীতে,
    ভাল নেই কেউ, কেউ সুখে নেই।    
    আহ ! দারুণ 

  4.  এই কবিতায় অসাধারণ একটি মেসেজ পেলাম!

    সুখ আসলে একটা  জটিল সমীকরণের মতো মনে হয় আমার কাছে।

    সুখ মানুষের জীবনে আসে কিন্তু তখন সে বোঝে না যে সে সুখে আছে!

    সুখের পরেই কিন্তু দুঃক্ষের পালা! এটা এই জগতের নিয়ম।

    তাই সুখের সময়টা দ্রুত শেষ হয়ে গেলে সে বুঝতে পারে সুখে নেই।

    সুখ আর দুঃক্ষ এর সময় সমান কিন্তু মনে হয় সময় এখানে পার্শিয়ালটি করছে, একটা দ্রুত চলে যায় অন্যটা ধীর গতিতে চলে।

    তাই যেহেতু সুখের সময়টা টের পাওয়া যায় না এবং দুঃক্ষের সময়টাই দীর্ঘ তাই মনে হয় সুখে আমরা থাকি না!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।