নাগরিক ধুলোর বিকেলে
সন্তর্পণে আমি একবুক
পাহাড়ী আকাশ পুষি।
কেউ যেন টের না পায়!
অসুস্থ এ দমবন্ধ নগরের
মানুষের অবয়বে প্রেতাত্মারা
যদি জেনে যায়,
একবুক নীলাকাশ ছুঁয়ে
আমি ধ্যানরত শান্ত এক
বিলের ধারের মৌন দুপুরের,
তবে ওরা অপারগতার প্রতিশোধে
খুবলে নেবে আমার
হৃদপিণ্ড থেকে মন,
চোখ থেকে সত্যের জ্যোতি,
হাসির থেকে আনন্দ,
শরীর থেকে সম্ভ্রম।
ভুল করেও বোলোনা ওদের,
মানুষ নামের আগাছার
জঞ্জালে জঞ্জালে ভরে যাওয়া
এ শহরে দাঁড়িয়ে আমি খুঁজছি
পাইন বনের স্নিগ্ধ শীতলতা,
চন্দনের সৌরভ আর দিগন্তজোড়া
আকাশ ছোঁয়া কিছু চিরহরিৎ বৃক্ষ।
চুপ করে থাকো, চুপ, চুপ।
বোলোনা কাউকে একথা
জেনেছো তুমি।
আমার স্বপ্নের উঠোনে
তুমিও এসে দাঁড়ালে,
ওরা খুবলে খুলে নেবে
তোমার আচ্ছাদন,
ঠুকরে খাবে তোমার
চোখের মনি শ্বাদন্ত
নখরে খাঁমছে-পিষে।
খুবলে নেবে আমার হৃদপিণ্ড থেকে মন,
চোখ থেকে সত্যের জ্যোতি,
হাসির থেকে আনন্দ,
শরীর থেকে সম্ভ্রম।
অসাধারণ লিখেছেন কবি আপা।
ব্যাথাটুকু সয়ে খুব যত্ন নিয়ে কবিতার গড়ণ তৈরী করেছেন কবিবোন রোখশানা রফিক।
ভালো কবিতা। শুভেচ্ছা রাখলাম আপা।
কবিতাটির শুরুটা কিন্তু অসাধারণ হয়েছে দিদি ভাই।
'নাগরিক ধুলোর বিকেলে সন্তর্পণে আমি একবুক পাহাড়ী আকাশ পুষি।
কেউ যেন টের না পায়!' ___ চমৎকার এবং সুন্দর লিখেছেন আপা। শুভ সন্ধ্যা।
অসাধারণ প্রকাশ আপা।
কবির জন্য অনাবিল শুভেচ্ছা। সাথে শুভকামনাও থাকলো।
আপনার সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্য কবিতার উচুঁমান যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
একবুক
পাহাড়ী আকাশ পুষি। দারুণ