আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশু নির্যাতন রোধে কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও ভয়াবহ যৌন নির্যাতন ও নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে পারছেনা শিশুরা। দেশের ভবিষ্যৎ ফুলের মতো শিশুদের মমতা আর ভালোবাসা দিয়ে সমাজের প্রতিটি নাগরিকের যেখানে গড়ে তোলার কথা সেখানে এই সমাজেরই কিছু বিকৃত রুচি সম্পন্ন মানুষ রুপি পশু তাদের ওপর চালাচ্ছে জঘন্যতম নির্যাতন। এমনকি ঘৃণ্য এই অপরাধের হাত থেকে মানসিক প্রতিবন্ধি শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। দেশব্যাপী শিশুদের ওপর হওয়া নির্যাতনের ধরণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় শুধু অপরিচিত ব্যক্তি নয় পরিচিত, নিকটাত্মীয় প্রতিবেশীর দ্বারাও শিশুরা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এদের কেউ শিশুদের জোর করে আবার কেউবা খাবার বা খেলনার প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে এ অত্যাচার চালাচ্ছে।
শিশু নির্যাতনঃ
শিশু নির্যাতন দুইভাবে হয়ঃ
ক্স মানসিকভাবে, ও
ক্স শারীরিকভাবে
মানসিকভাবে নির্যাতনগুলো হয় শিশুকে নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে কোন কিছু দ্বারা চাপ সৃষ্টি করে। বিভিন্ন লাঠি/অস্ত্র দিয়ে তাকে নানাভাবে আঘাত করা হলে শারীরিকভাবে শিশু নির্যাতিত হয় এবং একই সাথে মানসিকভাবেও। বাংলাদেশের শিশু নির্যাতনের অন্যতম চিত্র দেখা যায় রাস্তায় বড় হওয়া শিশু, যৌনকাজে যারা নিযুক্ত তাদের সন্তান এবং যাদের বাবা-মা ডিভোর্স তাদের এবং যেসব শিশু অন্যের ঘরে কাজ করে।
শিশু নির্যাতনের ধরণঃ
শিশু নির্যাতনের মধ্যে অন্যতম কারণ হল দরিদ্রতা। বাংলাদেশে দরিদ্র পরিবারের শিশুরা বেশীরভাগ সময়ই অর্থাভাবে শিক্ষার সুযোগ পায় না। ফলে অর্থের যোগান দিতে গিয়ে অল্প বয়সেই রোজগারের জন্য নামতে হয়। শিশুদেরকে মালিকরা কম বেতন দিয়ে থাকে এবং অনেক সময়ই তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করা হয়।
আর একটি কারণ আছে, তা হলো অবাদ যৌনাচার আচরণ শিশুদের দিয়ে। বেশিরভাগ শিশুদেরকে ক্রেতার কাছে বিক্রয় করা টাকার বিনিময়ে এবং ক্রেতারা তাদেরকে যৌনতার কাজে বাধ্য করে। এমনকি শিশু হত্যার চিত্রও অত্যন্ত ভয়াবহ। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিসংখ্যান অনুযায়ী। চলতি বছরের প্রথম দেড় মাসে সারাদেশে বিভিন্নভাবে খুন হয়েছে ৪৫ জন শিশু। গেল বছরের বছরের প্রথম দুইমাসে শিশু হত্যার সংখ্যা ছিল ৪৮। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে একজন করে শিশু খুন হচ্ছে।
পরিসংখ্যাণ থেকে দেখা যায়, বাড়ছে শিশু ধর্ষনের প্রবণতা। ২০১৬ সালে তিন শতাধিক শিশু ধর্ষনের শিকার হয়ে যায় বছরের ওেমাট ধর্ষনের মোট অর্ধেকের। ধর্ষনের শিকার হওয়া শিশুদের অর্ধেকের বয়স ১২ বছরের নিচে। এদের মধ্যে ছয় বছরের কম বয়সী শিশুও রয়েছে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন শিশুদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও বাড়ছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, ২০১৬ সালে ধর্ষনের ঘটনা ৭২৪টি। এর মধ্যে ৩০৮টি শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫৭টি শিশুর বয়স ১২ বছরের কম। ছয় বছরের নিচে আছে ৪৬টি শিশু।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে শিশু অধিকার সুরক্ষায় আইন-২০০৩ থাকলেও তার যথাযথ প্রয়োগ নেই। পথশিশুরা তো বটেই। এমনকি পরিবারের নিরাপদ গন্ডির মধ্যে থেকেও শিশুরা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাছাড়া গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদেরও এ নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। মূলত এ বিষয়গুলোর প্রতি নজরদারী এবং নির্যাতন রোধে দেশে প্রচলিত সংশ্লিষ্ট আইনের প্রয়োগ না থাকায় শিশুদের ওপর হওয়া এই নৃশংসতা রোধ করা যাচ্ছে না।
আসুন আমরা সবাই শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করি। এবং সংশ্লিষ্ট আইনের প্রয়োগ কাজে লাগিয়ে সুষ্ঠ সমাজ গঠনে উৎসাহিত হই এবং অন্যকেও উৎসাহিত করি
আসুন আমরা সবাই শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করি। এবং সংশ্লিষ্ট আইনের প্রয়োগ কাজে লাগিয়ে সুষ্ঠ সমাজ গঠনে উৎসাহিত হই এবং অন্যকেও উৎসাহিত করি।
পোষ্টটি শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ জানাই;
এমন ঘৃণ্য কাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাই।
ধন্যবাদ আমার শ্রদ্ধাভাজন অগ্রজ মামুনুর রশিদ ভাই।
আসুন আমরা একত্রে হাতমিলিয়ে এসব রুখে দেই।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু।
সব অন্যায় তো বটেই তারপরও যে করেই হোক শিশু নির্যাতন বন্ধ করতেই হবে।
এর কোন অন্যথা নেই; নেই বিকল্প। সুস্থ্য ধারায় বিকশিত হোক সমাজের প্রাথমিক স্তর।
ধন্যবাদ, শ্রদ্ধাভাজন মুরুব্বী। আশা করি সবার সহযোগীতায় সম্ভব এসকল সামাজিক সমস্যা দূর করা।
সকলের মানসিক সহযোগিতায় সবই সম্ভব।
আসুন আমরা সবাই শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করি। এবং সংশ্লিষ্ট আইনের প্রয়োগ কাজে লাগিয়ে সুষ্ঠ সমাজ গঠনে উৎসাহিত হই এবং অন্যকেও উৎসাহিত করি
শুভেচ্ছা নিবেন, শ্রদ্ধেয় ফকির আবদুল মালেক ভাই, আশা করি আমরা সবাই মিলে এগিয়ে আসবো।