আমার একটা শহর ছিলো

একটা শহর ছিলো,
গুমোট অন্ধকারে ডুবে থাকতো।
হুতুম প্যাঁচার মতো
রাত্রি’র নিরবচ্ছিন্ন ছায়া হয়ে।

শিমুলের সবুজ পাতার ফাঁকে
জোনাকির আনাগোনা,
সুরের পাখি কুকিলের বসন্ত গান।
দূরের ল্যাম্প পোস্টের মিটিমিটি আলোর রশ্মি,
উজানে মাঝির দাঁড়টান
ডুবে যেতো হাজার বছরের ক্ষত।

শহরে উৎসবে দু’একটা মোমবাতি ক্ষণস্থায়ী (অবসরে) নিজের মতো করে ডুবে যেতো নির্জন বিলাসিতায়। রাত জাগা কাকের বিচরণ, ভাঙ্গা কণ্ঠে আত্মচিৎকার মিলিয়ে যায় গভীর হতাশায়।

অহংকার, আহমিকা জ্বলন্ত শিখার মতো প্রহার করে বিজলির দ্যুতি। কাঠবিড়ালি গাছের ডালে ছুটাছুটি করে প্রকৃতির নিয়মে। অন্ধকার আচ্ছন্ন পথ, শহরের অলি-গলি, সমুদ্রের মতো বিশালতায় নোঙর করে।

রাজপ্রসাদ, বিশ্ববিদ্যালয়, সভা সেমিনার কক্ষ, ক্যাফেটেরিয়া ডুবে গেছে অন্ধকারে।
এ যেনো এক অন্ধকার রাজ্য।
উৎসবের মতো কোলাহলে ডুবে যাওয়া শহর।

শান্ত চৌধুরী সম্পর্কে

নিঃসঙ্গতা যখন ঠুকরে খায় দুমড়ে মুচড়ে কাবু করে দেহের বাহীর ভিতর প্রবল সংজ্ঞাহীন অবগাহন। ১ সেপ্টেম্বর, ১৭ ভাদ্র বাংলা ( জন্ম তারিখ )।

3 thoughts on “আমার একটা শহর ছিলো

  1. এ যেনো এক অন্ধকার রাজ্য।
    উৎসবের মতো কোলাহলে ডুবে যাওয়া শহর।
    __ বাহ্। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।