যখন তুমি

যখন তুমি …

দগ্ধ সময়ের ফোঁড়ে মানুষ যখন
ক্লান্ত ও হতাশ হয়ে যায়…
তখন নিজেকে তুমি শান্ত ও ধীরস্থির রাখো ।

কারো প্ররোচনায় তুমি খামখেয়ালী হইওনা
না হয় একটু বেশীই ধৈর্য্যশীল হও…

মনে রেখো জীবন যেখানে
সেখানে ক্ষতিগ্রস্থ প্রণালীর সকল
উপকরণ মর্মে-মর্মে বিদ্যমান,

যেহেতু এই বিদ্যমান বিষয়গুলো
বিশাল অট্টালিকা কিংবা বিস্তৃত
পাহাড়ের মতো দৃঢ় এবং শক্তিশালী।

তুমি দূর্বল হলে এইসব অপশক্তি তোমাকে
নিজে থেকেই অত্যন্ত নিঁখুত এবং গাঢ় ভাবে
গ্রাস করতে থাকবে, এমনকী তাই হবে।

তুমি নম্র হও, কোনো বাকবিতণ্ড নয়
উত্তর খোঁজো এবং খুঁজতে থাকো…
খুঁজতে থাকো জীবন এবং যকৃত সময়ে মানে;

যে সকল প্রাচীন পাথুরে প্রাচীর
তোমার অভিমুখে ছুটে আসছে
বিশাল দেয়াল সৃষ্টি করছে
সেখানে তুমি অপেক্ষা করণা!

তুমি অপেক্ষা করো একটি জোয়ারের
একটি জলোচ্ছাস হয়তো তোমাকে
নবীন কোনো পথ দেখাবে, যেটা
তোমার জন্য প্রয়োজন ও অপেক্ষমান ।

সে তোমাকে তোমার গন্তব্যে নিয়ে যাবে
এবং খুব সুন্দর ভাবেই পৌছাবে
যেখানে একটি ভবিষ্যতের বাগান তৈরি
সেখানে তোমার মুক্তি অনিবার্যভাবে।

আর তোমার ভিতরে যেসব
মৌলিকগুণাবলি আছে
তাকে তুমি বিকশিত করো
তুমি তখন উড্ডীয়মান হবে

প্রস্ফুটিত রাতের তারকাদের মতো
অথবা রূপালী চাঁদের মতো
নয়তো সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করবে

সোনালী সূর্যের মতো
কোনো সঙ্কা নাই, তুমি আটকে পড়বে না।

যে বিভাবরী ভোর দেখেনা
যে সূর্য বোঝেনা বিকৃত রাতের মানে
সেখানে তোমার হস্তগত রয় সমস্ত সম্ভাবনা…

তুমি উপেক্ষিত হতে পারনা কোনো কিছুই
পারনা নিজেকে অবহেলিত ভেবে
একদম দূরে সরে যেতে,

তারচেয়ে বরং তুমি যুক্ত হও
উন্মুক্ত করো তোমার অন্তরের আবদ্ধতা
কোনো অধরাই তোমাকে ছুঁতে পারবেনা।

2 thoughts on “যখন তুমি

  1. ‘তারচেয়ে বরং তুমি যুক্ত হও
    উন্মুক্ত করো তোমার অন্তরের আবদ্ধতা
    কোনো অধরাই তোমাকে ছুঁতে পারবেনা।’

    আল্লাহতাআলা পরম দয়ালু এবং সর্বশক্তিমান। আমিন।

  2. কবিতার আকৃতিতে অনেক ভাল ভাল উপদেশ পাওয়া গেল।

    শুভ কামনা রইল

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।