সমস্ত দিন আমায় কেবল রাখিস চোখে ধরে,
ডাকিস কাছে রাখিস বেঁধে স্নেহের কড়া ডোরে ৷
এই করে না,ওই কোরো না – ওদিক যেও না না,
কেউ বোঝে না কি চাই আমি -শুধুই নিষেধ মানা।
ভাল্লাগে না মাগো তোদের আদর বাড়াবাড়ি,
বাড়ির সাথে আড়ি দেব- বাড়ির সাথে সাথে আড়ি ৷
ডাকছে অপু-দুর্গা আমায় – ডাকছে ইছামতি,
হাতছানি দেয় মাঠ -ঘাট ও বন- দখনে হাওয়ার গতি ৷
ডাকছে আমায় বৈঁচি ঘেটু বন্য ফুল আর ফলও,
দেয় ইশারা শাপলা শালুক- পদ্মদিঘির জলও৷
খেলব আমি ওদের সাথে আমায় দেমা ছাড়ি’,
বাড়ির সাথে আড়ি আমার বাড়ির সাথে আড়ি ৷
আম কাঁঠাল আর জামের বনে ঘুরব সারাবেলা,
ওরাই আমার মিতা, ওদের সাথেই আমার খেলা ৷
বটের ছায়ার শ্যামল মায়ায় ঘাসের বিছান পাতি’,
ক্লান্ত হয়ে বসলে হবে পাখপাখালি সাথি।
বন্ধু বলে ধরবে এ’হাত তাল সুপারীর সারি,
বাড়ির সাথে আড়ি আমার বাড়ির সাথে আড়ি ৷
সন্ধে হলেই সাঁঝের পিদিম জ্বালবে জোনাক পোকা,
আকাশ ফুলের বাগান জুড়ে ফুটবে তারার থোকা |
চাঁদের বুড়ি আমায় পেয়ে চরকা কাটা ভুলে,
বসবে আমার গা ঘেঁষে তার গল্পঝুলি খুলে।
ফুলপরীদের সঙ্গে দেব অচিন দেশে পাড়ি,
বাড়ির সাথে আড়ি আমার বাড়ির সাথে আড়ি ৷
বেশ সাবলীল শব্দের ব্যবহার লিখনীতে।
বরাবরই আপনার লিখা ভীষণ পছন্দ করি। শুভ কামনা প্রিয় কবি শংকর দেবনাথ।