শীতের রোঁয়া ওঠা সিরসিরে চাদরটা সাটারের স্পীডে নামিয়ে সন্ধেটাও নামলো ঝুপ্পুস-
আর যতো কিলবিলে চিন্তাগুলোও হিজিবিজি টানে আঁকতে শুরু করলো মনখারাপী বিমূর্ত।
পুরনো তক্তাপোষের ওপরে শতচ্ছিন্ন শতরঞ্জিতে যে ছায়ামানুষ উদাসী,
বড়জোর করুণা ছাড়া হয়তো তাকে কেউ কিছু দেয়নি – কেউ কিছু দেয় না।
চোখের কোটরে যে মাছের অক্ষিবলয় ভাবলেশহীন ধরাছোঁয়ার সাতশো হাত দূরছবি অস্তে-
সেই অবতলে এতটুকু স্পর্শের ক্ষমতা হয়নি কোনও স্বঘোষিত পিয়ামুখচন্দার।
সন্ধে নামে ভয়ে ভক্তিতত্ত্বে সাংবিধানিক অজস্র সংকটে প্রেম প্রেম খেলায়,
শুধু মোমপিয়ালী আলোর তুরতুর নাচে ছায়ামানুষ নির্ধারণ করে চরম ব্যক্তিগত উদাসীন জগৎ-
সব সম্পর্কসুতো টুকরো হয়ে ভাঙাছেঁড়া তক্তাপোষের নীচে পড়ে আছে দলাপাকানো।
1 thought on “শীতসন্ধের হিজিবিজি”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
‘শুধু মোমপিয়ালী আলোর তুরতুর নাচে ছায়ামানুষ নির্ধারণ করে চরম ব্যক্তিগত উদাসীন জগৎ-
সব সম্পর্কসুতো টুকরো হয়ে ভাঙাছেঁড়া তক্তাপোষের নীচে পড়ে আছে দলাপাকানো।’
__ এমনটাই হয় বোধকরি প্রিয়কবি প্রিয় সৌমিত্র।