কালবেলা

কালবেলা

গর্ত খুঁড়ে বেরিয়ে এলো গুমরানো এক সাপ
মানুষ চলে অন্ধ বাঁকে, সম্পর্কে তাপ।

জীবন যখন অন্যমনস্ক থাকে তখন সাবধানে থাকার ফর্ম্যাল কথা মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

বিষাদ, বড় বিষাদছায়া ঘিরেছে পৃথিবী। বহমান সময়ের স্রোত পিঠে বয়ে চলে ঘৃণার জ্বলন্ত লাভা।

ক্লান্ত পায়েই পথচলা
নির্বাক নদী সাক্ষী
মানুষ পোষ্য অভিযোজন
ঠাঁই বদলের পক্ষী।

সিগন্যাল হারালে কথা বলে ওঠে অভিশপ্ত রেললাইন। যে কোনো বন্যাপরিস্থিতি, কিম্বা অবচেতন মুড়ে রাখা

সকালেই…

ধন্যবাদের থেকে বেশি কিছু তাড়াতাড়ি আসেনি মাথায়
মাথা ছিল চিলেকোঠার বন্ধ দরজার ওপারে ধুলোমাখা চন্দন পালংকে
কতদিন ধুলো ঝেড়ে বসে নি কেউই
এক গ্লাস জল খেয়ে কাঁসাইতলির সুঘ্রাণ মেখে বলেনি, ধন্যবাদ! ভালো থেকো।

পূরবী রাগিনী তে পূরবাঁইয়া জাগায় মানুষকে। গাঁইয়ার সুরেলা গলা ছুটে যায় ক্লান্ত মহানাগরিক জানলার টোকা দিতে। ভোর হলো … দরজা খোলো গো গৃহস্থ!

সৌমিত্র চক্রবর্তী সম্পর্কে

পরিচিতিঃ জন্ম বিহারের এক অখ্যাত বনাঞ্চলে বাবার চাকরীস্থলে। রসায়নে স্নাতকোত্তর এবং ম্যানেজমেন্ট পাশ করে কিছুদিন সাংবাদিকতা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী। একাধারে নাট্যকার, কবি এবং গল্পকার। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক পর্যালোচনা, বিভিন্ন ধরনের লেখা ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকায় ও সংবাদপত্রে। উৎপল দত্ত সহ বহু বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বের কাছে শিখেছেন থিয়েটার। বহু বিচিত্র ও ব্যাপ্ত ময় তাঁর জীবন। বন, জঙ্গল, পশু, পাখি, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে তাঁর দীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়। কবিতা ও বিভিন্ন লেখা লেখিতে তিনি মস্তিস্কের থেকে হৃদয়ের ভুমিকাকে বড় করে দেখেন। কবিতা, গল্প, নাটক এবং মুক্তগদ্য মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়। প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হলো বইছে লু, থিয়েটার কথা, তিতলিঝোরা, নীলপাখিকে উড়ো চিঠি, রাত্রি আমার নৈশপ্রিয়া, ব্রিজের নীচে বৃষ্টি, ২ একাঙ্ক, প্রতিলিপি এবং বেবুশ্যে চাঁদ, খণ্ড ক্যানভাস। ইতিপূর্বে অঙ্গন সহ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে অক্ষর বৃত্ত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। নেশা ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ।

1 thought on “কালবেলা

  1. অসাধারণ মানের একটি কবিতা পড়লাম যেন। অভিনন্দন প্রিয় কবি সৌমিত্র। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।