আজ থাক পারমিতা
দেখেছ, ফুটপাত এঁকেবেঁকে সদর দরজা পেরিয়ে
বিছানায় গা এলিয়েছে, বাইরে এখন কার্ফিউ।
আজ তবে রোমান্টিক কথা থাক, হয়ে যাক
যত পেন্ডিং কেজো কথার চাষ,
কত তেল, কত চাল, মেয়ের স্কুলে
এ মাসেই অ্যাডমিশন, ছেলের বকেয়া
হস্টেলফিজ, অফিসের বসের সর্বশেষ
গালমন্দ আর তোমার ফিমাসের পেট ব্যাথার চক্র,
আজকের এজেন্ডায় এক দুই তিন
দেগে একে একে মাতি তুলকালাম বার্ষিক ঝগড়ায়।
আসছে ভ্যালেন্টাইন ডের চক্করে মেয়ের
পড়ার বইয়ের ভাঁজে গোলাপী লাজুক চাউনি,
মোবাইলে কথার সময়ে ছেলেকে যেন কেউ
ডেকে উঠলো সুরেলা স্বরে, হাঁটুর বয়সী
মেয়েটার সঙ্গে আমার আধবুড়ো বন্ধুর টুকটাক
আর হাইকিতে ঘনঘন হৃদয়গরল,
থাক তবে এসবও ঘন কালো পোচের ভেতরেই।
বাইরে গুলির শনশন বন্ধ জানলার
কাচের শার্সি পেরিয়ে ডিস্টার্ব করেনা একটুও,
উত্তরের সদ্য শিশুর জরায়ুতে আটকে যাওয়া কদর্য কামের গরল
আর একরত্তি থেঁতলে যাওয়া মাথা
রাতের শান্তি ভেঙে আমাদের ঝগড়ায় ইন্টারাপ্ট
করেনা একটুও, প্রতিদিন নতুন খবর শুনতে
শুনতে ভোঁতা হয়ে যাওয়া কানের লতি।
আজ আর কোনো রোমান্টিক কথা নয় পারমিতা,
আজ শুধুই কাজের কথা হোক।
অমিত কারু বাসনায় জীবন বহু বহুদূর, মুখোমুখি নয়, নিমিত্তে নিমজ্জিত সব সুখ সুরাসুর। তবু থাক পারমিতা। চমৎকার লিখা উপহার প্রিয় কবি সৌমিত্র। শুভ সকাল।
রাতের শান্তি ভেঙে আমাদের ঝগড়ায় ইন্টারাপ্ট
করেনা একটুও, প্রতিদিন নতুন খবর শুনতে
শুনতে ভোঁতা হয়ে যাওয়া কানের লতি।——–চমৎকার বলেছেন কবি দা
অনেক শুভ কামনা রইল
চমকদার প্রকাশশৈলী
দারুণ।
আজ আর ওইসব কথা নয়! আজ হোক বর্তমান নিয়ে কথা।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।
কবিতা যেকোনো ভাবে লিখতে চাইলে লেখা যায়।যখন কবিতায় থাকে অভিজাত্যপূর্ণ শব্দের প্রতিশ্রুতি তখন কবিতা আর কবিতা থাকেনা। কবিতা হয়ে ওঠে জীবন্ত মানুষের কণ্ঠস্বর। দারুন লাগলো দাদা আপনার কবিতাটি।ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য