আনসময়ে

আনসময়ে

যাব বললেই যাওয়া যায়?
পা বাড়ালেই কুডাক ডেকে
মুখের ওপর দরজা বলে “চোপ”!
যাব ভাবলেই ভাবলেশহীন
মাছের চোখ থুতু ছেটায়।
যাওয়ার কথা পাড়তে গেলেই
আগাপাস্তলা দুরমুস
বইতে থাকে টাইফুন।

পায়ের আঙুল রাস্তা ছুঁলেই
রাস্তা নিজেই গুটিয়ে যায়,
শিরদাঁড়ায় নামতে থাকে
প্রতিদ্বন্দ্বী বরফকুচি।
যাব বললেই মানুষমুখ
অবসাদে নেকড়ে হয়।

প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই
বন্দুকনল ঘুরেই ফায়ার।
শব-বিষাদ আঁকড়ে ধরে
যাওয়া হয়না যাব বললেও।

সৌমিত্র চক্রবর্তী সম্পর্কে

পরিচিতিঃ জন্ম বিহারের এক অখ্যাত বনাঞ্চলে বাবার চাকরীস্থলে। রসায়নে স্নাতকোত্তর এবং ম্যানেজমেন্ট পাশ করে কিছুদিন সাংবাদিকতা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী। একাধারে নাট্যকার, কবি এবং গল্পকার। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক পর্যালোচনা, বিভিন্ন ধরনের লেখা ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকায় ও সংবাদপত্রে। উৎপল দত্ত সহ বহু বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বের কাছে শিখেছেন থিয়েটার। বহু বিচিত্র ও ব্যাপ্ত ময় তাঁর জীবন। বন, জঙ্গল, পশু, পাখি, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে তাঁর দীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়। কবিতা ও বিভিন্ন লেখা লেখিতে তিনি মস্তিস্কের থেকে হৃদয়ের ভুমিকাকে বড় করে দেখেন। কবিতা, গল্প, নাটক এবং মুক্তগদ্য মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়। প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হলো বইছে লু, থিয়েটার কথা, তিতলিঝোরা, নীলপাখিকে উড়ো চিঠি, রাত্রি আমার নৈশপ্রিয়া, ব্রিজের নীচে বৃষ্টি, ২ একাঙ্ক, প্রতিলিপি এবং বেবুশ্যে চাঁদ, খণ্ড ক্যানভাস। ইতিপূর্বে অঙ্গন সহ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে অক্ষর বৃত্ত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। নেশা ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ।

11 thoughts on “আনসময়ে

  1. পায়ের আঙুল রাস্তা ছুঁলেই
    রাস্তা নিজেই গুটিয়ে যায়,
    শিরদাঁড়ায় নামতে থাকে
    প্রতিদ্বন্দ্বী বরফকুচি।———-

  2. "পায়ের আঙুল রাস্তা ছুঁলেই
    রাস্তা নিজেই গুটিয়ে যায়,
    শিরদাঁড়ায় নামতে থাকে
    প্রতিদ্বন্দ্বী বরফকুচি।
    যাব বললেই মানুষমুখ
    অবসাদে নেকড়ে হয়।"—-অসাধারণ বিনির্মাণ !

  3. প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই
    বন্দুকনল ঘুরেই ফায়ার।
    শব-বিষাদ আঁকড়ে ধরে
    যাওয়া হয়না যাব বললেও।

     

    * শুভ কামনা নিরন্তর… https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।