প্রকাশলিপি
উল্টো বেরিয়ে সোজা হয়েই
দু ঠোঁটের পাতলা ফাঁকে অস্বস্তি জানিয়ে
বলেছিলাম ‘মা’,
কান্নার আওয়াজ ভেবে বহিরাগতরা
আনন্দে শ্যাম্পেন খুলেছিল।
এইভাবে পাঠভবনের দরজা খুলে
হাঁটিহাঁটি পা পা করে কখন যেন
চর্যাপদ-লুই-কুক্কুরী-চরিতামৃত-মঙ্গল
একে একে ধাপের পর ধাপ
স্বর্গের অন্তহীন সিঁড়ির নীচের অংশ
ছুঁয়ে নিজেকে অফুরান পণ্ডিত
ভাবতে শুরু করেছিলাম নিখাদ মূর্খতায়।
নিছক দেশীয় মাধ্যমের পাতি পড়ুয়ার
দুই সন্তান এখন ইংরেজির নামীদামি
ফুলঝুরি ছেটালে গর্বে মুখ লাল
করে নাকের পাটা ফুলিয়ে প্রতিবেশীর
দিকে তাকায় ওদের কনভেন্টি জননী,
প্রতিমূহুর্তেই আমার ইং উচ্চারণের ভুল
ধরে যে হাসিহাসি মুখে তাকায়,
কিন্তু ওরা কেউই গন্তব্য মানে জানেনা।
আমার চারপাশ এখন আগাছায় ভরা,
বিষ পার্থেনিয়াম লঘুগুরু জ্ঞান
না করেই ইয়াংকি আচার ঢুকিয়েছে অবাধে
আমারই একান্ত হেঁসেলে,
আমার গন্তব্য আমার শেকড়
সবই আবছায়া ধোঁয়ায় বসতি করে।
তাহলেও সব শেষ হয়ে এলে
অন্ধ জগতে পা রাখার আগেই
আরোও একবার মাথা নত
করে বলতেই হবে, আমি তো
তোমাকে ছাড়িনি, ও আমার
ভালবাসার বাংলাভাষা…
ও আমার ‘মা’!
'আমার চারপাশ এখন আগাছায় ভরা,
বিষ পার্থেনিয়াম লঘুগুরু জ্ঞান
না করেই ইয়াংকি আচার ঢুকিয়েছে অবাধে
আমারই একান্ত হেঁসেলে,
আমার গন্তব্য আমার শেকড়
সবই আবছায়া ধোঁয়ায় বসতি করে।'
অনুভব প্রকাশের শব্দ গুলোন অসাধারণ হয়েছে প্রিয় কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। পড়েছো জেনে ভালো লাগছে। ভালোবাসা।
শ্রদ্ধেয় সৌমিত্র দাদা, আপনার কবিতায় বাস্তবতা প্রকাশ পেয়েছে। শুভেচ্ছা জানবেন দাদা।
ধন্যবাদ প্রিয় কবি নিতাই বাবু।
Very nice poem.
খুশি হলাম সফি ভাই।
অভিনব ভাবনায় মুগ্ধ হয়েছি। জন্ম, প্রথম শব্দ, আনন্দ-উদযাপন এবং সব মিলিয়ে অসাধারণ বিষয়বস্তু খুব দামি লেগেছে।
আপনার কবিতার আধুনিক অবয়ব আমাকে সব সময়ই মুগ্ধ করে; এই লেখাটা বিশেষ ভাবে! কবিতাটার পরিপক্কতা এবং শেষের চমক সবাইকে খুব মুগ্ধ করবে!
সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ প্রিয় ডেজারট ভাই।
অপূর্ব প্রকাশ কবি সৌমিত্র দাদা। ভীষণ ভাল লিখেছেন।
অনেক ধন্যবাদ বোন হাসনাহেনা রানু।