খাবার
নোংরা ন্যাংটো ছেলেটা
মায়ের শতচ্ছিন্ন আঁচল টেনে ধরছিল বারবার,
-ও মা, খেতে দে!
মূহুর্তে লক্ষ হাউই হাওয়া ফালাফালা করে উড়ে গেল
আলো হয়ে গেল সুবেশ সুবেশার ভাগ্যাকাশ,
গুরুগম্ভীর অশোকার সূর্য উচ্ছলিত ব্যাঙ্কোয়েট হল
দাঁড়িয়ে পড়লো, ব্যান্ডে বাজলো জাতীয়সঙ্গীত,
যাজক এগিয়ে এলেন রাজদন্ড-মুকুট হাতে-
নতুন রাজা অভিষিক্ত হলেন।
মখমলি সোফায় সামন্ত রাজা রানীরা
যারা কদিন আগেও হবুরাজাকে ল্যাজে খেলাচ্ছিলেন,
দিচ্ছিলেন সংবিধানসম্মত মাপা হাততালি,
রাজার মুখে প্রোটোকলসম্মত মাপা হাসি।
দেশী বিদেশী দিলখুশ খাদ্যপাহাড়ের সামনে
অজস্র সুগন্ধী বক্তৃতার পর
রাজা এগিয়ে এলেন-
নখের ডগায় একটু খাবার খুঁটে রাজা গন্ধ শুঁকলেন।
ঝলসে উঠলো চারপাশে ফ্ল্যাশবাল্ব-
ছলকে উঠলো খবরের রঙীন শিরোনাম-
এত খাবার থাকতে রাজা নিলেন করলাসেদ্ধ…!
আহা! মেরা রাজা মহান হ্যায়…!
ছেলেটা মার কাছে খেতে চাইছিল
ঝলসানো ইঁদুর কিম্বা কন্দমূল।
সে ভাত কখনো চোখেই দেখেনি।
__________________________
(একটা পুরোনো লেখা এখনো প্রাসঙ্গিক।)
সমকালীন ভাব-ভাবনার কবিতা সৌমিত্র চক্রবর্তী। নতুন রাজা অভিষিক্ত হলেও জনমানুষের ভাগ্য কতটা বদলায় এখনও আমাদের দেখবার বাকি আছে। জন্মই যেখানে দূর্ভাগ্য।
ঠিকই বলেছেন কবি সুমন আহমেদ।
এই আয়োজন সবই প্রহসের ঘরে উঠবে কিনা জানি না; তবে রাজার সুমতি হোক।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। ভালোবাসা।
কঠিন এই বাস্তবতা।
মেনে নিতে হবে কবি বোন শাকিলা তুবা। কিছু করার নেই।
চমৎকার একটি কবিতা। শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন কবি।
আপনিও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন কবি অর্ক ভাই। ভালোবাসা।
আপনার কবিতায় আমাকে সবসময়ই মুগ্ধ করে শ্রদ্ধেয় কবি দাদা
আপনার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, শুভকামনা সবসময়।
ভালোবাসা কবি নিতাই বাবু।
বেশ ভাবনাময় প্রকাশ কবি দা
ধন্যবাদ কবি লিটন ভাই।
বেশ ভাবনাময়। কঠিন বাস্তবতা।
ভালোবাসা কবি সাইদুর রহমান ভাই।