রেকলেস রেলপথ

ট্র্যাকের দুই লাইনে কৃষ্ণ রাধা ভাব
ঐশ্বরিক প্রেমের পাঠ নিয়ে স্নাতকোত্তর
মনের হরেকরকম্বা ভুলভুলাইয়া
তাদের গলিপথ শাখা প্রশাখা
উত্তল অবতলে অনায়াস চারণ
টরেটক্কা ছাড়াই স্লিপারের দল
এ ওর কথা চালাচালি করে
স্বভাবসুলভ পিএনপিসির টকঝালমিষ্টি তে;
গম্ভীরা অমাবস্যায় ট্রেন চলে গেলে
উত্তাপে ছাড়খার হাত তবুও
কিছুতেই পৌঁছে দিতে পারেনা
এ ওর নরম বাহুতলে বশ্যতায়
ব্যালাস্টের অট্টহাসি বিদ্রুপ
করে পাথুরে অরোমান্টিকতায়
চৌষট্টি কোটি লোকাচারের ক্লিপ
আর ফিসপ্লেটের রক্তচোখে
বাঁধা হাত ছটপটে ইচ্ছেয়,
বিবশ রাত্রি শেষ হয়ে এলে
নির্মেদ ঘুণধরা ঘুম জাপটায়
ট্র্যাক ছুটে চলে এঁকেবেঁকে
যদি কোনোদিন কোনো এক
শান্ত গোধূলি ছায়ায় প্লেটোনিক
প্রেমের শেকল ছুঁড়ে ফেলে
দু হাতের উষ্ণতায় ধরা যায়
আজন্ম চাওয়া সেই পরকীয়া মুখ!
*************

সৌমিত্র চক্রবর্তী সম্পর্কে

পরিচিতিঃ জন্ম বিহারের এক অখ্যাত বনাঞ্চলে বাবার চাকরীস্থলে। রসায়নে স্নাতকোত্তর এবং ম্যানেজমেন্ট পাশ করে কিছুদিন সাংবাদিকতা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী। একাধারে নাট্যকার, কবি এবং গল্পকার। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক পর্যালোচনা, বিভিন্ন ধরনের লেখা ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকায় ও সংবাদপত্রে। উৎপল দত্ত সহ বহু বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বের কাছে শিখেছেন থিয়েটার। বহু বিচিত্র ও ব্যাপ্ত ময় তাঁর জীবন। বন, জঙ্গল, পশু, পাখি, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে তাঁর দীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়। কবিতা ও বিভিন্ন লেখা লেখিতে তিনি মস্তিস্কের থেকে হৃদয়ের ভুমিকাকে বড় করে দেখেন। কবিতা, গল্প, নাটক এবং মুক্তগদ্য মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়। প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হলো বইছে লু, থিয়েটার কথা, তিতলিঝোরা, নীলপাখিকে উড়ো চিঠি, রাত্রি আমার নৈশপ্রিয়া, ব্রিজের নীচে বৃষ্টি, ২ একাঙ্ক, প্রতিলিপি এবং বেবুশ্যে চাঁদ, খণ্ড ক্যানভাস। ইতিপূর্বে অঙ্গন সহ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে অক্ষর বৃত্ত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। নেশা ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ।

3 thoughts on “রেকলেস রেলপথ

  1. অনেকদিন পর সৌমিত্র চক্রবর্তীর কবিতায় পুরোনো সেই মুগ্ধতা। কবিতার জয় হোক।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।