দেয়ালা

কে ককন কিভাবে কার মাথায় কিলিয়ে কাঁঠাল পাকিয়ে খাবে কিম্বা কার নখ বড় হলো, কার বউ অবলিক বর রোজকার একঘেয়ে ঘষা ছেড়ে তৃতীয় লিঙ্গের সঙ্গে লিঙ্গরাজ টেম্পল বেড়াতে গেল ফুরফুরে অফারের ডিও মেখে, এসব বিন্তিরিং সাবজেক্টে আমার এক্টুও দিলচসপি নেই। ফেস্বুকে যখন এসচিলুম তখন ছাতার মাতা এই সমাজ জালের গাঁটে গাঁটে কি চক্কর না জেনেই এসচি ওই যে ঠ্যালার নাম গঙ্গারাম পোবাদের ঘিজতাঘিজাং নাছোড় নাচের হুজুগে। এক্টু এক্টু করে শিকলুম হ্যানা সন্ধি ত্যানা বিচ্ছেদ। আর দেকলুম কি তুখোর সব কলমবাজ থুক্কু মাউস কিম্বা আঙুলবাজ! দেকতেই রহ্ গিয়া। জীবনে যাদের এক্কলম লেকা নাকউঁচু পত্রিকায় ছাপা হয়নি কিম্বা হবেও না, তাদের লেকা দেকলে মুক হাঁ হয়ে থাকতেই থাকবে, বন্ধ হবেনা। কি দারুণ লেকে গো! আত্মজীবনী লিকচে, তো নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেকচি, এত ফাস্টোকেলাস তরতরে ভাবনা কলকেতার এ ওয়ান ম্যাগাজিনেও পাব কিনা সন্দ।

গপ্পো লিকচে কয়েকজন বেশ ভালো। আর এন্তার কিলবিলে হিলহিলে কবিতা থেকে এক্কান ছাকনিতে ছেঁকে পড়, দেকবে বেশকিচু কবিতা অম্বুজা সিমেন্টের জোড়কেও টক্কর দেবে। তবে হ্যাঁ, তুমি যদি ভালোটুকু ছেড়ে হাবিজাবি হাতপাকানো গুলোকেই ফেস্বুকীয়ান লেকা বল, তাইলে রকবাজি স্টপ। দেক, যকন এত ভালো আচে, তাদের ছেড়ে ভ্যানতারাং ড্রেন তোলা মাল দেকতে পাল্লুম না। সময় আচে, সময়ের ফুটো আচে, আরাচে দুই সময়ের টেক্টনিক প্লেটে ইয়াব্বড় কিলবিলে ফাটল। ওই দুম্বো ফাঁকে পা ফাঁসলেই মুস্কিল। চ্যাটিংস্যাটিং আর দিন্রাত লাল লাল টমেটো মার্কা টিন হার্টের গুডিগুডি মর্ণিং নাইট ছেড়ে এবেলা কিচু পড়ে নাও দিকি! না পল্লেও ক্ষতি নেই কারো, কিন্তু ওই গুজব ছড়ানোর নাটমন্দিরি পিএনপিসি কোরোনা। কে ককন খ্যাঁক্কোরে কাম্রে দেবে বলা যায়!
এবার তা’লে বুজলে তো ভালো না’লে চলুক যেইসি আপকি মর্জি।

জুকুদা ঝিন্নাবাদ! ফেস্বুকদা অমর রহে!

সৌমিত্র চক্রবর্তী সম্পর্কে

পরিচিতিঃ জন্ম বিহারের এক অখ্যাত বনাঞ্চলে বাবার চাকরীস্থলে। রসায়নে স্নাতকোত্তর এবং ম্যানেজমেন্ট পাশ করে কিছুদিন সাংবাদিকতা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মচারী। একাধারে নাট্যকার, কবি এবং গল্পকার। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, পুস্তক পর্যালোচনা, বিভিন্ন ধরনের লেখা ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকায় ও সংবাদপত্রে। উৎপল দত্ত সহ বহু বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বের কাছে শিখেছেন থিয়েটার। বহু বিচিত্র ও ব্যাপ্ত ময় তাঁর জীবন। বন, জঙ্গল, পশু, পাখি, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে তাঁর দীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়। কবিতা ও বিভিন্ন লেখা লেখিতে তিনি মস্তিস্কের থেকে হৃদয়ের ভুমিকাকে বড় করে দেখেন। কবিতা, গল্প, নাটক এবং মুক্তগদ্য মিলিয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়। প্রকাশিত গ্রন্থগুলি হলো বইছে লু, থিয়েটার কথা, তিতলিঝোরা, নীলপাখিকে উড়ো চিঠি, রাত্রি আমার নৈশপ্রিয়া, ব্রিজের নীচে বৃষ্টি, ২ একাঙ্ক, প্রতিলিপি এবং বেবুশ্যে চাঁদ, খণ্ড ক্যানভাস। ইতিপূর্বে অঙ্গন সহ কয়েকটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। বর্তমানে অক্ষর বৃত্ত পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। নেশা ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ।

2 thoughts on “দেয়ালা

  1. ইন্টারেস্টিং শব্দ বাচন। শুভেচ্ছা প্রিয় কবি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

  2. দারুণ শব্দ চয়নে মনোমুগ্ধকর লেখা। পাঠে মুগ্ধ হলাম, দাদা। দারুণ ইন্টারেস্টিং! 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।