ছোট ভাই মিলিটারি ট্রেনিং এ দুর্দান্ত ভাল ফলাফল করেছে তাই জেনে মন ফুরফুরা করে অফিস থেকে বের হয়েছি। ভাবলাম উড়তে উড়তে বাসায় চলে যাই ছেলেটার কাছে। কিন্তু ঝামেলা পাকিয়েছে বিচ্ছিরি জ্যাম। রিক্সায় বসে আছিতো আছিই। এর মাঝে চোখ পড়ল উল্টো দিক থেকে আসা এক রিক্সায়। সেখানে এক জোড়া কপোত কপোতী তাবত দুনিয়াকে উপেক্ষা করে কঠিন আহ্লাদে ব্যস্ত। অন্যদিন হলে চোখ ফিরিয়ে নিতাম কিন্তু যেহেতু আজ আমার মন ফুরফুরা তাই আমি তাকিয়ে থাকলাম মজা দেখার জন্য। তাকিয়ে থাকলাম তো তাকিয়েই থাকলাম। অনেকক্ষণ পর মেয়েটার চোখ পড়ল আমার দিকে। সে চোখ সরিয়ে নিল। কিছুক্ষণ পর আবার তাকাল, তারপর আবার, তারপর আবার। এরপর ছেলেটাও কয়েকবার তাকিয়ে নড়েচড়ে বসল। তারপর কি হল জানিনা তারা দুইজন হঠাৎ করে ভদ্র হয়ে আকাশ বাতাস দেখতে লাগল।
আফসোস, আমারও মজা ফুরালো!!
11 thoughts on “চলতি পথের মজা!”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
আজকাল এমনটা একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। চারিদিকে অহরহ দেখে নিজেকেই লজ্জিত হতে হয়। এরা ইউরোপকেও হার মানিয়ে দিয়েছে।
কিছু বলার ভাষা নেই আসলে। দেখতে দেখতে এক সময় হয়ত আমরাও আর এগুলো নিয়ে ভাবব না।
মফস্বলে এমন সিনারিও জায়গা ছাড়া বেজায়গায় পাওয়া মুশকিল।
মন বিষণ্ণ থাকলে মন ভালো করে দেয়া এমন দৃশ্য মনে স্ফুর্তি জোগায়।
এখনো কিছু শুদ্ধ জায়গা নিশ্চয়ই আছে।
কে বলেছে নাই। আছে তো।
আপনার ছোট ভাইকে আমরা অভিনন্দন জানাই।
আর ইয়ে, মানুষের এইসব কুকর্মের দিকে তাকানো কি ঠিক!
আবার মনে হচ্ছে ঠিক। আপনার তাকানোতেই তো তারা ভদ্র-সদ্র হয়ে গেলো।
আরেহ কি বলেন। কোন এক সময় এসব দেখে মেজাজ খারাপ হত ঠিক কিন্তু এখন আমি সিনেমার পোস্টার দেখে যেমন মজা পাই এসব দেখেও তেমন মজা পাই।
বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন ….!
কঠিন বাস্তব!
আবার জন্মাতে ইচ্ছে করে।
অন্যের সুখ দেখতেও মাঝে মাঝে আনন্দ লাগে ।