ট্রেন্ডি এখন হেলমেটও
পথে ঘাটে বাইকারের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনাও। কি নারী কি শিশু! কেউ বাদ যাচ্ছে না। তাই আমাদের চলাফেরায় সচেতন হওয়া জরুরী। বাইক চালাতে মানা নেই কিন্তু সাবধানে ! বিপদ এড়াতে হেলমেট অনেক ভুমিকা রাখে। হঠাৎ করেই অনেকে বাইক নিয়ে পথে নেমে যান কিন্তু মনে রাখেন না হেলমেটের কথা। তাদের জন্য এখন বাজারে এসেছে ফ্যাশনেবল হেলমেট। চাইলে নকশা করিয়েও নিতে পারেন ।
বাজারে নানা রঙের, নানা ডিজাইনের হেলমেট রয়েছে। ইদানীং চাইলে হেলমেটে নকশাও করিয়ে নিতে পারেন। তবে কেনার সময় সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে, হেলমেটটি মাথায় ঠিকভাবে বসছে কি না। মান ফিট করছে কি না। আঁটসাঁট হেলমেটে অস্বস্তি হতে পারে, আর অস্বস্তি নিয়ে বাইক না চালানোই ভালো। শুধু সুন্দর বা স্টাইলিশ দেখে হেলমেট কেনা ঠিক নয়। বেশি খরচ হলেও ভালো মানের হেলমেট কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ। কেনার সময় অবশ্যই দেখতে হবে, হেলমেট যেন মাথা থেকে চোয়াল পর্যন্ত ঢেকে রাখে। কেনার আগেই দেখে নিতে হবে সামনের প্লাস্টিকের স্বচ্ছ ঢাকনার ভেতর দিয়ে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে কি না। সব ধরনের হেলমেট আরামের এবং যেকোনো দুর্ঘটনা থেকে মাথা রক্ষা করার কথা ভেবে তৈরি করা হয়। শিশুদের হেলমেট কেনার সময় দেখে নিন সেটা আরামদায়ক কি না। শিশুদের মাথার মাপ অনুযায়ী হেলমেট তৈরি করা হয়।
তরুণেরা ফ্যাশনেবল হেলমেট পছন্দ করেন। গতানুগতিক গোলাকার হেলমেটের বাইরে একটু ভিন্ন আকৃতির হেলমেট তাঁদের প্রিয়। এসব হেলমেটের সামনের অংশটা একটু চোখা।
টেকসই ভারী হেলমেটও নিচ্ছেন অনেকে। কোনোটির চোখের সামনের অংশ খোলা, আবার কোনোটিতে কাঁচ বসানো। আছে স্বচ্ছ কাঁচ ও পোলারাইজড (মার্কারি নামেও পরিচিত) কাঁচ দেওয়া হেলমেটও। অনেক দোকানে রয়েছে নকশা করা হেলমেট। আবার কয়েকজন আছেন যারা হেলমেটে রঙিন নকশা করে দেন।
দেশি ও বিদেশি হেলমেট পাওয়া যায় বাজারে। থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত, চীন, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসে হেলমেট। সুরক্ষা ও ডিজাইনের ওপরই হেলমেটের দাম নানা রকমের হয়ে থাকে। সাধারণত হালকা-পাতলা সামনের কাঁচ বা প্লাস্টিক হেলমেট কেনা যাবে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকায়। এ ছাড়া ভালো মানের হেলমেট কিনতে পারবেন ১ হাজার ৩০০ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে। নারীদের হেলমেটগুলোর দাম ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। কাঁচহীন হেলমেট ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা।
হেলমেটের যত্ন-আত্তি : হেলমেটের মোট চারটি স্তর। সবার ওপরে প্লাস্টিক বা ফাইবারের শক্ত খোলস, তার নিচে কর্কশিটের আবরণ, এর নিচে ফোম, সবার নিচে থাকে কাপড়ের আচ্ছাদন। তাই তো যত্নটাও প্রয়োজন একটু বেশি। মোটরসাইকেল হেলমেট সবসময়ই শুকনো আর অপেক্ষাকৃত উষ্ণ স্থানে রাখুন। বাসায় ফিরে হেলমেটের কাঁচ কিছুটা তুলে রাখুন। এতে ভিতরে বাজে গন্ধ ও লাইনিঙ্গে ফাঙ্গাস পড়তে পারে না। অনেক হেলমেটে ফোমসহ কাপড়ের আচ্ছাদন খুলে ধুঁয়ে পরিষ্কার করা যায়। চাইলে হেলমেটের ভিতরটা ডিটারজেন্টে ডুবিয়ে, ডেটল বা স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ব্যবহারের আগে ভিতরটা খুব ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। হেলমেটের সামনের কাঁচ পরিষ্কার রাখতে প্রতিদিন একবার হলেও পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে এক দিন হাতে সামান্য সাবান লাগিয়ে কাঁচটার দুই পাশে পরিষ্কার করে আবার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে পারেন। সাবান ব্যবহার করতে না চাইলে পানি আর হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
বাজারে নানা রঙের, নানা ডিজাইনের হেলমেট রয়েছে। ইদানীং চাইলে হেলমেটে নকশাও করিয়ে নিতে পারেন। তবে কেনার সময় সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে, হেলমেটটি মাথায় ঠিকভাবে বসছে কি না। মান ফিট করছে কি না।
সহায়ক সচেতনতা পোস্ট উপহার পেলাম বোন।
আপনার পোস্টের ডিটেইল আমার কাছে সবচেয়ে বেশী আকর্ষনীয় মনে হয়। অফুরান শুভেচ্ছা সুরাইয়া নাজনীন।
*

