কবিতা পাঠ–১
আজকের কবিতা–মুখোমুখি,
কবি–আমিনুল ইসলাম,।
প্রথমেই শ্রদ্ধেয় কবির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি,যে ওনার কবিতাটি আমি আমার মত ব্যাখ্যা করার জন্য,,!কেন না কবির ভাবনার সাথে আমার ভাবনা নাও মিলতে পারে,,!প্রিয় কবি আমি একজন পাঠক, আর পাঠক হিসবে আমি আমার স্বল্প জ্ঞানে আলোচনার করার চেষ্টা করেছি যাতে করে আমি কিছু শিখতে ও জানতে পারি,,তাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন,!
“মুখোমুখি” শিরোনামে কবিতা একটি মুগ্ধ কর বিরহ প্রেমের কবিতা। এ কবিতায় কবি একটি প্রেমের সুন্দর উপখ্যান তুলে এনেছেন,!
কবির প্রেমিক মন সর্বদায় প্রিয় মানুষের পাশে থাকতে চায়,খুব কাছাকাছি থাকতে চায়,প্রিয়ার অভিমানী মুখটা যতই লুকিয়ে রাখুক না কেন কবির প্রতি থেকে তবুও সে থাকতে চায়,,,!
যদিও শংকা থাকে কবির মনে কখন কি হয়ে যায় দুজনার,,!তারপরও কবি জানে যে তার মনের মানুষের এমন বসাতে ই সুখ অনুভব হয়,,যা কিনা কোনো কিছুর বিনিময়ে পাওয়া সম্ভব নয়,!এটা হাজার হাজার বছরের সাধনার বিষয়,!
কবি যখন দেখলেন যে তাঁর প্রিয়া প্রেম নিবেদনে
বিরুপ প্রকাশ করছে,তখন কবি প্রিয়াকে এখানে
এ কথাও বলেছেন,
“তুমি জানো কি মুখোমুখি বসার উপলদ্ধি,!”
এখানে কবি সরাসরি প্রশ্ন করেছেন তার মনের মানুষকে,,!কেন কবির প্রতি তার এত অভিমান,এত অবহেলা,কবি জানতে চেয়েছেন!
কবি আরো জানতে চেয়েছেন য়ে কিভাবে চোখে চোখ রেখে ভাব বিনিময় করতে হয়,ইশারায় কিভাবে না বলা কথাগুলোর প্রক্রিয়া জানানো হয়,,!কবির প্রেমিকা কি আদৌ এগুলো জানে কবি তাঁর প্রিয়ার কাছে অনেক আকুল কন্ঠে জানতে চেয়েছেন,,!
কবি যখন বুঝতে পারলো যে তাঁর মনের মানুষ কিছুই বলবে না তখন নিজেই তাকে বুঝিয়েছন এমন সব শব্দ দিয়ে যাতে করে যেন তার বুঝতে কোনো সমস্যা না হয়,,!সত্যি তাই প্রিয় মানুষদের এমন মধুর করেই বুঝাতে হয়,, কবি সেটা জানেন,,,!
তাই তো কবি কাগজের বুকে কবির ভালোবাসা বা ফুলের সাথে সূর্যের ভালোবাসা,জলের সাথে চাঁদের ভালোবাসা আরো কত কিছু,,!কবি বুঝিয়েছেন ভালোবাসা কখনো মিথ্যে আাশা নয়,ভালোবাসা হলো চিরন্তন সত্য,স্বপ্নবুকে স্বপ্ন আঁকা,চাতক পাখির মত,!
অতপর কবি যখন দেখলেন কোনো কিছুতেই প্রিয়ার মন ফিরানো গেলো না,তখন কবি বেশ বিরহ আবেগ কণ্ঠে বলে গেলেন প্রিয় মানুষকে
”পাশাপাশি বসে,পাশাপাশি চলে,শুধু মাত্র সহচর হওয়া যায়,কখনো প্রেমিক হওয়া যায় না,,”
এখানে কবি অনেক দুঃখ ও কষ্টের সাথে এমনটা বলেছেন,,!কারণ তাকে অনেক ভালোবাসে তাকে অনেক স্বপ্ন বুকে বেঁধেছেন,!কিন্তু দেখলো কবির ভালোবাসার কোনো মূল্যায়ন হচ্ছে না তখন কবি
এ কথা গুলো তাঁর প্রিয়াকে শোনালেন,,!
শ্রদ্ধেয় কবি খুব সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় তার মনের মানুষকে বুঝিয়েছেন ভালোবাসার মানে,!
এতে আশা করি কবির প্রিয় আর কখনো অভিমান করে থাকবে না কবির প্রতি,,!
নিম্নে কবিতাটি পড়ার সুবিধার জন্য তুলে ধরা হলো,!
মুখোমুখি
——-আমিনুল ইসলাম
কিছু সময় বাধ্য হয়ে কাছাকাছি আসা,
অভিমানী মুখ অপেক্ষা করেও পাশাপাশি বসা।
পাশাপাশি বসতেই জেগে উঠে অস্বস্তিবোধ
ঘটতে পারে কাঁধে কাঁধে সংঘর্ষ
হতে পারে হাতে হাতে স্পর্শ
গায়ে হেলান পড়ার ভয়
মুখোমুখি বসাতেই তোমার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ।
তুমি জানো কি মুখোমুখি বসার উপলব্ধি!
চোখে চোখ রেখে ভাব বিনিময়,
মনের কথাগুলো ইশারায় প্রকাশে অভাবনীয় প্রক্রিয়া।
বাতাসের সাথে নিশ্বাসের শব্দের প্রেরিত বার্তা,
কম্পিত ঠোঁটের সান্নিধ্য লাভের প্রচেষ্টা।
দেখেছো কি তুমি চেয়ার টেবিল মুখোমুখি অবস্থান !
কাগজের বুকে কবির ভালোবাসা আদানপ্রদান!
কবিতা আর পাঠকের মুখোমুখি প্রণয়!
সূর্যমুখী আর সূর্যের ভাব বিনিময়।
দেখেছো কি দর্পণের মুখোমুখি যৌবনের প্রতিচ্ছবি!
নদী স্বচ্ছজলে চাঁদের জলছবি,
স্নিগ্ধ আলো বিনিময় রবি -শশী,
চাতকের পিপাসা নিবারণে নয়ন উর্ধমুখী।
পাশাপাশি বসে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হয় সহচর
প্রেমিক হওয়া বড়োই দুস্কর।
কবিতাটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে,,!আশা করবো আপনাদেরও ভালো লাগবে,!
কবির কলম চলুক দূর্বার গতিতে এই দোয়া করি,,!
©সুজন হোসাইন
২৪/০৯/১৮
শেয়ার করার জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ কবি দা।
মাঝে মাঝে যার যার মত মতামত লিখলে ভাল হয়।

* সুন্দর আয়োজন…


কবির ভাবনার সাথে আপনার ভাবনা নাও মিললেও আপনার প্রয়াস প্রসংশিত হোক।
কবি আমিনুল ইসলাম এর কবিতা এবং আপনার আলোচনা সত্যই মুগ্ধ করার মতো।
সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো