আমি রক্তাত্ত বেরিয়ে আসি মায়ের জরায়ু ছেড়ে
ইস্পাতের চিল উড়ে গেল ছুই-ছুই, তালগাছটার ঠিক উপর দিয়ে
দু’টা চক্কর দিয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছুটে গেল দানব
আওয়াজ ছড়িয়ে এবং বদলে গেল দৃশ্যপট-
উঠানে বিছানো ধান খাওয়া মগ্ন কাক কা কা রবে উড়ে গেল
এলোপাথাড়ি, লড়াইরত বিড়াল দুটি ছুটে গেল পাশাপাশি একই
নিরুদ্দেশে। এবং গরু, বাছুর, ছাগল আর মানুষের পাল দিকভ্রান্ত
ছুটাছুটি শুরু করল অত্যাসন্ন রক্তপ্লাবন আশংকায়-
এবং রেল লাইন, কালবার্ট, সেনাক্যাস্প পরিণত হলো ধ্বংসস্তুপে
এবং দুই দশক ব্যাপী ক্ষমতার স্বাদে অভ্যস্থ,
গত নয় মাসে দুর্দান্ত ক্ষমতাধর ফইজুদ্দি হাজী মুখ থুবরে
পড়ে রইল বড় রাস্তার পাশের বটগাছের তলায়
এবং অনিয়মিত বাহিনীর ভালোবাসা-ঘৃনা-উল্লাস-অগ্নি উত্তাপে
পিছু হটা পিচাশ আত্মসমর্পনের জন্য খুজে ফিরল নিয়মিত বাহিনী-
এবং আমি তখনো দৃশ্যপটে আসিনি
আমার আগমনের পুর্ণ প্রস্তুতি তখনো সম্পন্ন হয়নি
আমি তখনো মায়ের দেহের সাথে একীভূত।
ভাষাগত সংঘাতে জমাটবাধা রক্ত থেকে আমার সূচনা
আত্মস্বীকৃতির অভিপ্রায়ে মাংসপিন্ডে রূপান্তর
এবং অসমাপ্ত প্রস্তুতিপর্ব
আমার মায়ের দেহে পানি নেমে এলো, ফুলে ফুলে উঠল তার হাত, পা
অনর্থ রক্তপাত, অগ্নিদগ্ধতায় গৃহহারা হয়ে ছিটকে এলো মাঠের সবুজে
এবং প্রসববেদনা-
প্রস্তুতির আরো কিছু ছিল বাকী
জুলুম, রক্তাত্ত- হুলস্থুলে হলো না সময় ।
আমি রক্তাত্ত বেরিয়ে আসি মায়ের জরায়ু ছেড়ে
সবুজ মাঠে লালের চিৎকার আর দগদগে ক্ষত
মাছি ভোঁ ভোঁ, চারিদিকে সারাদিন সারারাত
মাথার ভিতর, পচন ধরে আসে,
মাছি ভোঁ ভোঁ, চারিদিকে সারাদিন সারারাত।