ট্যাগ আর্কাইভঃ ফকিরের কবিতা

আমি রক্তাত্ত বেরিয়ে আসি মায়ের জরায়ু ছেড়ে

আমি রক্তাত্ত বেরিয়ে আসি মায়ের জরায়ু ছেড়ে

ইস্পাতের চিল উড়ে গেল ছুই-ছুই, তালগাছটার ঠিক উপর দিয়ে
দু’টা চক্কর দিয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছুটে গেল দানব
আওয়াজ ছড়িয়ে এবং বদলে গেল দৃশ্যপট-

উঠানে বিছানো ধান খাওয়া মগ্ন কাক কা কা রবে উড়ে গেল
এলোপাথাড়ি, লড়াইরত বিড়াল দুটি ছুটে গেল পাশাপাশি একই
নিরুদ্দেশে। এবং গরু, বাছুর, ছাগল আর মানুষের পাল দিকভ্রান্ত
ছুটাছুটি শুরু করল অত্যাসন্ন রক্তপ্লাবন আশংকায়-

এবং রেল লাইন, কালবার্ট, সেনাক্যাস্প পরিণত হলো ধ্বংসস্তুপে
এবং দুই দশক ব্যাপী ক্ষমতার স্বাদে অভ্যস্থ,
গত নয় মাসে দুর্দান্ত ক্ষমতাধর ফইজুদ্দি হাজী মুখ থুবরে
পড়ে রইল বড় রাস্তার পাশের বটগাছের তলায়
এবং অনিয়মিত বাহিনীর ভালোবাসা-ঘৃনা-উল্লাস-অগ্নি উত্তাপে
পিছু হটা পিচাশ আত্মসমর্পনের জন্য খুজে ফিরল নিয়মিত বাহিনী-

এবং আমি তখনো দৃশ্যপটে আসিনি
আমার আগমনের পুর্ণ প্রস্তুতি তখনো সম্পন্ন হয়নি
আমি তখনো মায়ের দেহের সাথে একীভূত।

ভাষাগত সংঘাতে জমাটবাধা রক্ত থেকে আমার সূচনা
আত্মস্বীকৃতির অভিপ্রায়ে মাংসপিন্ডে রূপান্তর
এবং অসমাপ্ত প্রস্তুতিপর্ব
আমার মায়ের দেহে পানি নেমে এলো, ফুলে ফুলে উঠল তার হাত, পা
অনর্থ রক্তপাত, অগ্নিদগ্ধতায় গৃহহারা হয়ে ছিটকে এলো মাঠের সবুজে
এবং প্রসববেদনা-
প্রস্তুতির আরো কিছু ছিল বাকী
জুলুম, রক্তাত্ত- হুলস্থুলে হলো না সময় ।

আমি রক্তাত্ত বেরিয়ে আসি মায়ের জরায়ু ছেড়ে

সবুজ মাঠে লালের চিৎকার আর দগদগে ক্ষত
মাছি ভোঁ ভোঁ, চারিদিকে সারাদিন সারারাত
মাথার ভিতর, পচন ধরে আসে,
মাছি ভোঁ ভোঁ, চারিদিকে সারাদিন সারারাত।

অন্যজীবনের স্বপ্ন

অন্যজীবনের স্বপ্ন
এই শহরে বন্ধি আমি, হারানো দিনের স্বপ্ন দেখি, দূরবর্তী কোন ভূমি রৌদ্রকরোজ্জ্বল যার পাদদেশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট নদী একে বেকে কল্ কল্ শব্দ ছড়িয়ে, ওখানে কাকেরা হুলস্থুল করে উঠে, ওখানে বৃষ্টির ফোটারা আসে স্বর্গীয় বার্তা নিয়ে। আমারই মতো এই শহরের অধিবাসীদের স্মৃতিতে রয়ে গেছে হাজারো সৌন্দর্যের উৎস বন্য-আদিম-মৌলিক। হে ধাবমান যাত্রী, কান্তিহীন কেবল ছুটে চলা, পাবে না পাবে না খুজে সেই শান্তি এখানে, যা হারিয়ে এসেছো।

আমার জানালার ওপাশে ব্রেক কষার কচ কচ শব্দ, মানুষের কোলাহল আর এয়ার কন্ডিশনারের গুঞ্জন। এসব চলমান থাকে রাত্রি থেকে সকাল আর সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত। ও মানুষ আর মানুষের বাচ্চারা! কেন এই কোলাহলে হারিয়ে যাও যেখানে হাহাকার পাথরের বিল্ডিংয়ে ঘুরপাক খেতে থাকে, না থাকে চান-সুরুয, না থাকে তারা আর আকাশ? কেন কৃত্রিম জীবনে জড়াও কৃত্রিম আলোতে? কেন নি:শ্বাসে নাও ধুলো আর যান্ত্রিক ধোয়া? কি খুজে পাও তুমি সাদা সার্ট আর টাইয়ে? তোমার সোনালী চুলের নিচের মাথাটায় ব্যবসায়ের বায়ু ঘুরপাক খায় কেন? যদি এই হয় সুখের দৃশ্যায়ন, আমি বলি,“ অ খোদা! আমাকে কখনো সুখী করো না।”

আর হ্যা, কেন আমি বন্ধি চারদেয়ালের কারাগারে? কেন আমি আমার জন্মস্থান ছেড়ে এসেছি চলে, সেই গ্রাম যেখান থেকে আমার স¤প্রসারণ? এখানে, বস্তুত:, আমার কর্মসংস্থান। এখান থেকে আমি আমার খাবার আর বস্ত্র কেনার অর্থ জোগান দেই। এখানে আমি কায়িক শ্রম থেকে মুক্ত। এবং এখানে আমার হৃদয় আর আত্মা মৃত। আমি কি নিরাপত্তার জন্য আত্মা বিক্রয় করব? জীবনের নিরাপত্তা? কতটুকু!

মানুষতো তার রুটি উত্তাপের জন্য, খাদ্য শিকারের জন্য আর উন্মুক্ত আকাশের তলে জীবনকে যাপনের জন্যে আগত। মানুষতো আগত দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকার জন্য ঝড়ের তান্ডবের মাঝে যখন বিদ্যুৎ চমকাতে থাকে তাকে ঘিরে, রত্রির আধার আলোকিত করার জন্য। মানুষতো আগত মুক্ত প্রবহমান বায়ুতে নি:শ্বাস নেবার জন্য এবং স্বচ্ছ, শীতল ঝর্ণার পানি পান করার জন্য।

সুতরাং এই চারদেয়ালে বন্দি আমি স্বপ্ন দেখি। যেন আমি পাহাড়ের যে দিকটায় সমুদ্রের হাওয়া এসে আছড়ে পড়ে ওখানে বাসা বাধা এক শিকারী পাখি। যেন আমি ঈগলের উড়ন, ভল্লুকের ওঙ্কার। যেন আমি পাহাড়ের পাদদেশ ঘেষে গিয়াছে যে সমুদ্র নালী সেখানে দাড়িয়ে জল খেতে থাকা এক একলা হরিণ। আমি সমুদ্রের গর্জনে মত্ত থাকি, ঝর্ণার স্বচ্ছ জলে মিটাই পিপাসা। গহীন বনে বাধা মৌচাকের ক্রমাগত গুণ-গুণ গানে মত্ত থাকা আর হেটে যাই নিরব বন-প্রান্তর। আমি স্বপ্ন দেখি নিরানী করা ঘাসের স্তুপে বসে, পূর্ণ চাদের আলোয় অথবা তারা খচিত আকাশের নিচে যা সময়ের সূচনা হতে ক্রমাগত স¤প্রসারিত হয়ে যাচ্ছে। আমি রাত্রির নিরবতা উপভোগ করি। আমি দুধ ঘাসের মিষ্টি গন্ধ শুকি। আমি এই নিরবতা আর বিশালতা ছেড়ে আসব না ফিরে যতক্ষণ না ঈশ্বরের উপস্থিতি টের পাই।

না, আগামী কাল আমি এই শহর ছেড়ে দিব, একজন মানুষের ঠিকানা খুজে পাবার জন্য।

সিনায় সিনায় জিকির উঠে

সিনায় সিনায় জিকির উঠে

ফকির আবদুল মালেক

পাগলটাকে আটকাও … কেউ বললে, ভ্রক্ষেপ করিনি,
সরাসরি লাশ শায়িত খাটের পাশে দাড়িয়ে বললাম-
শেষ দৃশ্য বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় উপস্থিত
সমবেত জনতা, তাহাদ আলী সন্ত্রাসী ছিল…
তবুতো অনেকে ভিনদেশে দিয়েছে পাড়ি ,
তাহাদ আলী মাটিকে আকড়ে ছিল বৃক্ষের মতো আজীবন,
ডোবার পাড়ে উপোড় হয়ে পড়ে থাকা লাশটার মুষ্ঠিবদ্ধ মাটি
তোমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে !!

-আগেই বলেছি পাগলটাকে আটকাও, ওকে শিকলে বেধে রাখো…..
যেন স্রষ্টার –কুন-ফা-ইয়া-কুন,
কয়েকজন যুবক আমাকে জনহীন প্রান্তরের বৃক্ষে
শিকল দিয়ে বেধে লাশ নিয়ে চলে গেল, শেষ গন্তব্যে, মাটিতেই।

উদিত চন্দ্রিমায় দিন হজম হয় রাত্রির উদরে
গুটিয়ে নিলো ব্যাঙ তার উল্লাসিত জিহ্বা পোকার সর্বনাশে
মাটিতে সাতার দিয়ে একে বেকে ছুটে যায় সাপ
চোখের রাডারে দেখে নিয়ে এদিক ওদিক
ভেজী যায় ধরনীর বুকে সুড়সুড়ি দিয়ে।

খাদ্যচক্রের এইসব রূঢ় সত্য আমার ভাবনাকে
তাড়িয়ে নিয়ে যায় ভয়াবহ রক্তপাতের দিকে,
একটা চরমপন্থী পথনির্দেশনা আমার ভাবানাকে
তীরের মতো ছুড়ে নিয়ে যায় বাস্তবতার সন্নিকটে ।
জোৎস্নার ফোয়ারা টিকটিকির রক্ত বলে ভ্রম হয়।
তবু ক্রশ ফায়ারের তাহাদ আলী লাশ মাথার ভাবনাকে
বক্ষে নিয়ে আসে…

সিনায় সিনায় জিকির উঠে -মানুষ, মানুষ ইছমে-আজম,
সকল ধর্ম-মতবাদে পড়ে টান
শিকল ছিড়ে রক্ত ঝরে নূহের প্লাবন সমান।

ঘাস

মুঠো ভর্তি ঘাস নিয়ে বাচ্চা ছেলেটি জিজ্ঞেস করল ‌-ঘাস কি?
একতারায় জীবনের তার নাড়তে নাড়তে বাউল বলল
-জীবনের মানে কি?
আমি কারোর উত্তর দিতে পারিনি, কিভাবে পারব,
আমিতো বেশি জানি না তাদের চেয়ে।

বচ্চা ছেলেটিকে তবু বললাম- দেখো আমাদের মাথায় যেমন চুল হয়,
তেমনি পৃথিবীর বুকে ঘাস হয়।
কি বুঝলো, হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেলো, বলল -বুঝেছি,
-ঘাস হচ্ছে পৃথিবীর চুল।

সেদিন গোরস্থানে গিয়েছিলাম, উদাম উদ্যম ঘাসগুলি নড়ছিল,
জীবনের উচ্ছ্বাস দেখতে পেয়েছিলাম তাদের প্রতিটি কম্পনে।
এই ঘাসগুলোর উচ্ছ্বাস
মৃত মানুষের সব- বৃদ্ধ-বৃদ্ধার শরীরের মাংস থেকে উৎসারিত
যুবক-যুবতীর, বালক-বালিকা কিম্বা যে শিশু জন্মেছিলো
পরিপুষ্ট হতে পারেনি তাদের মাংস থেকে-
ঘাসগুলো আমাকে বলল- তারা মৃত্যু খায় আর দোলে আনন্দে
আমি ঘাবড়ে গিয়ে বললাম-
বাউল, বাউল- জীবনের মানে গোরস্থানের বাবড়ি চুলের
অহংকারী কম্পন, টুং টাং একতারার সুরের মাতাল মূর্ছনা।

বাউল হাসতে হাসতে বলল- কিছুই বুঝলাম না
আমি বললাম- আমিও না।

(একটি অশ্লীল কবিতা) আমি শহরের অন্দর মহলে ঢুকে পরি

আমি শহরের অন্দর মহলে ঢুকে পরি (গদ্য-কবিতা)

একজন না-নর না-নারী কিম্বা হা-নর হা-নারীকে নিয়ে এই শহরে কোথায় যাই?
টি এস সি-তে আড্ডা দিতে দিতে হঠাত্ অনুপমা, আমি উধাও,
রিক্সায় আইসক্রীম খেতে খেতে
টনির ম্যাছে ঢুকেছি কতবার, সেই টনি বললে -ছি!

আবাসিক যেই হোটেলটিতে ঢুকলে তরল অনল
আর শারীরিক ফুর্তির আয়োজন করে দিত এক ফুত্কারের মত ইঙ্গিতে
সেই রমিজ ঠোঁটে নিয়ে চিপটির
সুদৃশ্য বর্নালী বললে-এতটা নিচে নামতে পারি না , স্যার।

পরিত্যাক্ত এক পাবলিক টয়লেটে যেতেই
লাল ফিতার রমনী ক্ষীপ্ত হয়ে উঠলো
‘হিজড়াগুলোর জ্বালায় দিন দিন খদ্দের হারাতে হচ্ছে’ বলে।

অবশেষে পার্কে বসে বাদাম চিবুতে চিবুতে
সে তার হৃদয় মেলে ধরল, কান পেতে শুনি –
একটি দাঁড় কাক অনবরত কা কা ধ্বনি তুলে যাচ্ছে সৃষ্টিছাড়া কর্কশতায়,
হৃদয়জমিন ফেটে চৌচির খাঁ খাঁ রোদ্দুরের তপ্ততায়,
বৃষ্টি এসে একটা ঘাসও জন্মায় না, কখনও আকাশ ফুড়ে এসিড বৃষ্টি
আসে, দেহ ঝলসে যায়।

আমি শহরের অন্দর মহলে ঢুকে পরি, শহরকেই বেআব্রু করে ফেলি।

এই শহরে স্বর্ণলতার অলংকার গলায় দুলিয়ে চড়ুইভাতি খেলার দৃশ্য বেমালুম অদৃশ্য,
ডুবো জলে সাতার কেটে মাছ ধরার উচ্ছ্বাস কোথাও পাই না খুজে।
এই শহরে নরেরা সব আপন নারীতে কান্ত, ব্যাংক লকারে জমা পরে
সারি সারি হৃদয়, ছিনতাই হয়ে যায় প্রেমিক-প্রেমিকার দেহ।
এই শহরে শিকারের দৃশ্যাবলী কসাইখানায় বন্দী,
প্রকৃতিকে সযত্নে লুকিয়ে রাখার প্রবণতা সুস্পষ্ট,
তবু আমি আদিগন্ত আঁধারচুম্বী অরণ্যে- মানুষখেকো বাঘের
হাড় চিবুনোর দৃশ্য কিম্বা মানুষের উদ্দাম নৃত্য মৃত বাঘ ঘিরে,
তেমনি দৃশ্য দেখি, রাজপথে- মানুষের লাশ ঘিরে মানুষের উল্লাসে।

সৃষ্টির উল্লাসে শহরকে বেআব্রু করতেই
জড়ায়ুহীন ক্লীবের ক্রন্দন শুনতে পাই যা আমি শুনেছিলাম
পার্কে বসে বাদাম চিবুতে চিবুতে না-নর না-নারী কিম্বা হা-নর হা-নারী
রূপী প্রকৃতির ব্যতিক্রম অস্তিত্বের হৃদয়ে।

অবশেষে জেনেছি মানুষ যৌন কাতর এক প্রাণী বিশেষ

প্রার্থনায় যাই-
হুরের বর্ণনায় কেপে কেপে উঠি,
যখন ছিল ভাষাগত বৈষম্য- ঈশ্বর আর আমার
কি এক অপার্থিব ভাব-উন্মোষে স্বর্গের ভাব-কম্পন নিয়ে বেরিয়ে এসেছি,
আজ বুঝি টুটে গেল ভাষার বন্ধন-
দেখি, ঈশ্বর আমায় মদ,নারী যৌন-কাতরতার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন

ঈশ্বর কি চিনেননি আমায়?
জানেন না কি, সুর-মাধুর্যে আর শব্দের নন্দিত বিন্যাসের অস্পর্শিত
কম্পনে আমি সুখ পাই। কতকাল কবির কল্পলোকে ভাব ভালোবাসায়
বিচরণ আমার, কত সম্পদের আহ্বান দুরে ঠেলে দিয়ে আমি কেবল
সুর আর ছন্দ নিয়ে মেতে উঠেছি, এ আমার আজন্ম নেশা, আমার কাম্য সুখ।
ঈশ্বর কি জানেননি আমায়?

শীতের ভোরে যখন ঘুম প্রিয়, কে ডাকলো আমায় “আস-সালাতু …. ”
যে আমি কবিতার জন্য রাতের পর রাত জেগে কাটিয়েছি অলীক বিস্মরণে
কবিতাকে কোন শীত-সকালেতো ঘুমের চেয়ে প্রিয় হয়নি মনে কখনো,
সে-ই আমি কার ডাকে ছুটে যাই প্রর্থনালয়ে আর ফিরে আসি
মদ,নারীর যৌন কাতরতার স্বপ্ন নিয়ে
এ কোন উর্ধ্বমুখী পতন আমার?

গত শীত জুড়ে একটিও কবিতা লিখতে পারি নি আমি,
যারা আমার কবিতা পড়ে পুলকিত হয়, আর যাদের কবিতা পড়ে আমি সুখী হই
তাদের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না-
এইসব শীতগুলো গল্প এনেছিল হৃদয়ে
কত অজস্র গল্প জমে উঠেছে পৃথিবীর মনে তারা এসে ভিড় করেছে,
আর অজস্র খন্ড খন্ড আমাকে নিয়ে এসেছিল একটা বিশাল ক্যানভাসেÑ
সেই গল্পেরা আজ নেই কোথাও কেবল আমার স্মৃতির ভান্ডারে কিলবিল করতে করতে
আমার স্পষ্ট একটা চিত্র এনে দিয়েছিল সমস্ত স্বত্তা জুড়ে-
যাকে রূপ দিয়েছি অপার্থিব প্রেমের গল্পে , তার ভিতরগত প্রেরণায় আমি আঘাত
করেছি, শব্দের বাধনকে ভেঙ্গে গল্পের চালকের দেখেছি
দেহের কামনায় এক ভুবুক্ষ কামুকের মাতাল সন্তরণ…

প্রার্থনায় যাই
হুরের বর্ণনায় কেপে কেপে উঠি
দেখি, ঈশ্বর আমায় মদ,নারী যৌন-কাতরতার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন

অবশেষে জেনেছি মানুষ যৌন-কাতর এক প্রাণী বিশেষ।