ট্যাগ আর্কাইভঃ সনেট

অন্ধকারের বিজ্ঞাপন

কাণার হাটবাজারে, কানায় কানায় ঠেলাঠেলি
মঞ্চ করে মাইক বাজিয়ে করছে গালাগালি
এখানে দিন কাণা, পরের ক্ষেতে দিচ্ছে হানা
ওখানে রাত কাণা আলোর পথে দিচ্ছে মানা
কেউ দেখি ভাই হয় মাজহাব কাণা
কেউ দেখি পীর খোঁজে হয় ফানা ফানা
নবীর প্রেমের কথা বলে নবীরে ফেলে দূরে
যে জন বড় জনা তাকিয়ে দেখি কাণার ভীড়ে

ডক্টর কাণা অহংকারে, মোল্লা কাণা অবিচারে
আমি কবি বলে, দোষ আসে আমার নীড়ে
কাণায় কয় কাণারে কাণা পথ তোর ভালা না
জ্বালিয়ে নিয়ে আলোর বাতি তাদের দেখিনা, না

আলো ভেবে নিব আলো এই করি পন,
দেখি, ধর্ম নামে অন্ধকারের বিজ্ঞাপন।

এমন আলোর ঝিলিক

এমন আলোর ঝিকিল দেখে তোমাকে কে কোথায়
খুজে পাবে আর; ছিল বসে তালগাছের তলায়
পুকুর পাড়ে ক্ষুধায়, কেউ নেয়নি খবর তার
থুত্থুরে বৃদ্ধার, ছেলে মেয়ে নিয়ে আপনা সংসার
ঘর, আছে মহা ঝামেলায় এই বাংলার গ্রামে-
আমাকে পাঠালে চিঠি ভরে মহাপ্রকৃতির খামে;
আউশধানের চাল, পুটিমাছ জলপাই টকে
রেধে নিয়ে ঝোলের সাথে মসুরের ডালে- এ মাকে

আহা, অনেক যত্নে যেই খাওয়ালাম নিজ হাতে,
তৃপ্তির যে আলো চোখে মুখে উঠলো ফোটে চকিতে-
সেই আলোতে আমি তোমায় দেখলাম হে আল্লাহ
অজান্তে এসে ছিলে দৃষ্টিতে তুমি, সুবহানাল্লাহ!

যাই মসজিদে এবাদত করতে তোমার বটে
এমনি করে তো কখনও কেথাও উঠোনি ফোটে!
(সনেট লেখার প্রচেষ্টা চালালাম)

আবার এলো যে সন্ধ্যা

আবার এলো যে সন্ধ্যা
(সুন্দরী সিরিজের কবিতা)

সন্ধ্যা এলো নীড়ে ফেরা পাখির পাখনায় ভর করে
নীড় ছোট আকাশতো বড়- ভুলে গিয়ে, ইদুরের মতন
গর্তে ঢুকে যায়, অথচ ছিল তাদের ঘিরে
বিশালতা আর উদারতা, পিছুটান এমনি হৃদয় ক্ষরণ !
আমিও এইখানে বটগাছটার নিচে বসে থাকি সন্ধ্যায়
তখন কৃষাণ বাড়ি ফিরে নদীটির তীর দিয়ে হেটে
তখন আকাশ লাল, আমি আসি এখানে স্মৃতির ব্যাথায়
এইখানে সুন্দরী বসেছিল পাশে তারপর গিয়েছিল ছুটে।

বৃহৎ কাজ বড় দায়িত্ব সংসার সব ছেড়ে এইখানে এসে
পড়ন্ত বেলায় চোখ বুজলে সুন্দরী, চোখ খুললে নাই-
বসে থাকি মরুচিকায়! জানতে চাও কোন সুন্দরী সে?
আমাকে দিয়েছিল স্পর্ধা প্রথম সৃষ্টির বেহেশতেই।

তারপর পৃথ্বী সংসার হলো ছাড়খাড় রাজ্য জয় রাজ্য ক্ষয়
অসীম সাহস দুরন্ত আবেগ, পুড়ে ছাই হলো কত যে ট্রয়!