স্রেফ হাসা পাগলের লক্ষন কি

কোনও কারণ ছাড়াই আপনি কোনও দিন হেসেছেন? কোনও জোক শোনেননি, কেউ কোনও রসিকতাও করেননি, অথচ আপনি হাসছেন৷ কিন্তু এমনটাই ঘটাচ্ছেন অনেক মানুষ যাঁরা সিরিয়াসলি কারণ ছাড়াই হাসতে চাইছেন শুধু হাসবেন বলেই৷ তাঁরা মনে করেন হাসি হল সব সমস্যার সমাধান৷ কেন, জেনে নিন…

ভুগে ভুগে ক্লান্ত? স্রেফ হাসুনj

আমরা সকলেই জানি কাজের চাপ আমাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়৷ জেনে রাখুন, হাসি হল স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশনের অ্যান্টিডোট৷ পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে আমাদের ইমিউন সিস্টেমে হাসির একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ তাই সিদ্ধান্ত নিন স্ট্রেস আর টেনশনকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য এবার থেকে কারণ ছাড়াই হাসবেন৷ হাসলেই রোগ মুক্তি৷

কাজে উত্‍সাহ পাচ্ছেন না? স্রেফ হাসুন

আমরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময়ে কাজ করতে করতে কাজের প্রতি উত্‍সাহ হারিয়ে ফেলি৷ উত্‍সাহ ফিরিয়ে আনার একমাত্র রাস্তা হল যখনই সময় পাবেন সমস্যাকে তুড়ি মেরে হাসতে থাকুন সহকর্মীদের সঙ্গে৷ লক্ষ্য করবেন পর মুহূর্তেই আপনার স্ট্রেস লেভেল উধাও৷ প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই কর্মাধ্যক্ষের উচিত একটা লাফটার সেশন রাখা৷ এটা থাকলে প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে, বাড়বে সংস্থার লাভ৷

লেখা-পড়ার চাপে ভুগছেন? স্রেফ হাসুন

পরীক্ষায় ভালো নম্বরের জন্য বাবা-মা এবং গৃহশিক্ষকদের চাপে বাচ্চাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত৷ বাচ্চারা যদি নিজের মনে খানিক হেসে নেয় তাহলে শরীরে নতুন এনার্জি পাবে এবং লেখা পড়ায় আরও ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়বে৷ গবেষকরা বলেন হাসি শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় মনোনিবেশ এবং বুদ্ধি বাড়ানোর ব্যাপারে সহায়ক৷ অতএব, বাচ্চারা বাবা-মা এবং গৃহশিক্ষকদের ভয় না পেয়ে যদি তাদের সঙ্গে অকারণে খানিক হেসে নেয়, তাহলে তাদের উপকারই হবে৷ তাই তাদের হাসতে শেখা উচিত, শেখার জন্য হাসা উচিত৷

সম্পর্কের জটিলতায় ভুগছেন? স্রেফ হাসুন

আপনি পারিবারিক কিংবা লাভ-লাইফের সঙ্কটে ভুগছেন? এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে চান? এরকম জটিল ক্ষেত্রেও গবেষকদের প্রেসকিপশন হল চিত্‍কার করে হাসুন৷ আপনার নিজের সমস্যার কথা ভাবতে-ভাবতেই হাসুন৷ জোরে-জোরে হাসুন, সঙ্গে নিন যাঁকে ঘিরে সমস্যা তাঁকে৷ শুরুর দিকে আপনাদের দু’জনেরই অস্বস্তি হবে এই ভেবে যে মাথার বুঝি ঠিক নেই৷ কিন্ত্ত পরমুহূর্তে লক্ষ্য করবেন সেই অস্বস্তি কেটে গিয়েছে এবং অকারণে হাসতে দু’জনেরই ভালো লাগছে৷ ব্যাপারটা বেশ মজার তাই না? এটা প্রমাণিত সত্য যে হাসি একই সঙ্গে চাপ কমায় এবং যে কোনও ধরনের ব্যাধির সেরা ওষুধ৷ তাহলে অকারণে হাসিকে আমাদের জীবনের অঙ্গ করে নিতে আপত্তি কোথায়? তাই মন খুলে হাসতেই থাকুন৷ স্রেফ হাসুন৷

———-
কালের কন্ঠ। ১ফেব্রুয়ারী ২০১৬

5 thoughts on “স্রেফ হাসা পাগলের লক্ষন কি

  1. এত হাসলে যদি পাবলিকে কয় যে, মিয়া তুমার পাও কিংবা মাথা গোল নাকি?

    1. জি স্যার এর সম্ভবনাতো আছে। হা হা জা জা হা হা।

  2. প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই কর্মাধ্যক্ষের উচিত একটা লাফটার সেশন রাখা।
    এটা থাকলে প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে, বাড়বে সংস্থার লাভ। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    1. তুমি জানো নাই– আমি তো জানি
      কতোটা গ্লানিতে এতো কথা নিয়ে, এতো গান, এতো হাসি নিয়ে বুকে
      নিশ্চুপ হয়ে থাকি
      বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এই তো জীবন,
      এইতো মাধুরী, এই তো অধর ছুঁয়েছে সুখের সুতনু সুনীল রাত।

      অভিমানের খেয়া
      রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।