দৃষ্টি

দৃষ্টি

ক্রমশঃ অনুগামী হয়ে উঠছে দৃষ্টি
ছেলেবেলার বন্ধু ফেরদৌস যাকে ফেদু বলে ডাকা হতো
কোমল ঘাসের ডগা হয়ে গোঁফগুলো সবে বাড়ছিল
বলেছিল, এখনই ব্লেড ছোঁয়ানো যাবে না
নাকের নীচে স্বেদবিন্দু আটকে থাকা কটা রোঁয়া
তখনো শর্মির চোখের মমতা নিয়ে ততটা ভালবাসতে পারিনি।

ষোলো থেকে চল্লিশ অব্দি সে হেঁটেছে ওর পাশে
এখন শর্মির চোখে ক্রোধ, বলে, ‘ভালবাসা কি? সবই মায়া!’
মায়া খুঁজি আশেপাশে, কোনায়-কোনায়, সাজানো ঘরদোরে
মায়া বসে আছে শর্মির ভাজা লুচিতে
চৌদ্দ আর ষোলো বছরের দুই কিশোর-কিশোরী
ছায়ানটের ঘাসে ভালবাসার ফুল আজো কি ফোটে?

নিবিষ্ট ফেরদৌস গানের খাতায় ব্যাবসা লিখে নিচ্ছে
আনমনে চেয়ে থাকি ব্রাশের মতো শক্ত গোঁফগুচ্ছের দিকে
প্রতিদিনের ব্লেড পোঁচে তরল চিবুক আর ততটা নরম নেই
ও বলেছে, ‘শর্মি আমার খুব প্রিয় একটা বোন আজ’
দাম্পত্যকে ভাইবোনের মায়া বেঁধে ওরা ভালবাসার গল্প ভুলে গেছে
অথচ আমার দৃষ্টি বন্ধুকে ভালবেসে ক্রমেই সমকামী হয়ে উঠছে।

2 thoughts on “দৃষ্টি

  1. ডিফরেন্ট টাইপ লিখা। গল্পের মতো করে লিখাটিকে অনবদ্য করে গড়ে তুলেছেন।
    বেশ। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

  2. নিবিষ্ট ফেরদৌস গানের খাতায় ব্যাবসা লিখে নিচ্ছে
    আনমনে চেয়ে থাকি ব্রাশের মতো শক্ত গোঁফগুচ্ছের দিকে
    প্রতিদিনের ব্লেড পোঁচে তরল চিবুক আর ততটা নরম https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif
    অসাধারণ

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।