মুজিব
ক্লান্ত দুপুর মেঘে ডাকা বিদীর্ণ অাকাশের নিচে
পৃথিবীর সন্ধানে ছুটেছে পূর্ব বাংলা এদিকে-ওদিকে।
মর্মস্পর্শী কড়া রৌদ্রের প্রখরতাকে পুঁজি করে
কালবৈশাখীর ধ্বংসলীলার ন্যায় থেকেছে অাতংকে।
শত বৎসরের মর্মপীড়া,
অদূরের গগণ-বিদারী অপার বঙ্গোপসাগর ভেদ করে
ধ্বংসের বিভৎসতার ক্রন্দন ভেসে যায় সীমাহীন পাড়ে।
পশ্চিমাকাশে উড়ে অাসা ধ্বংসাত্মক জন্তুদের হস্তে
বিভীষিকাময় অন্ধকার নেমে অাসে সোনালির প্রান্তরে।
দেখেছি সেদিন!
শীতলক্ষ্যার তীরে দাঁড়ানো তোমার রক্তাক্ত অগ্নি ঝরা মার্চে
থরথর করে কেঁপে উঠেছে পূর্ব বাংলা ক্ষণে ক্ষণে ।
সেখানে শুনেছিলে তুমি পোয়াতি নারীর করুণ অার্তনাদ
যেখানে পড়েছিল হাজার বছরের বিদ্ধ বিদ্ধ লাশ।
মৃত্যুর হাতছানি জনমনে নাড়া দেয় ক্ষণে ক্ষণে
জলন্ত নিকোটিনের মতো সেখানে পুড়ছে মানুষ ধুঁকে ধুঁকে।
মরছে মানুষ বিপ্লবের মন্ত্রে হাহাকারের সুরে সুরে মানুষ পোড়ার গন্ধে ভেসে যায় পূর্ব বাংলার অাকাশে- বাতাসে।
হঠাৎ প্রলয়ঙ্কারী,
অন্ধকার নিশীথে এসেছিল বুড়িগঙ্গার প্রেসিডেন্ট হাউজে
সেখানে ছিলে তুমি নিষ্পলক অাবেগে অকুন্ঠ চিত্তে।
যেখানে ছিলে তুমি সাড়ে সাত কোটি জনতার মুক্তির দূত
সেখানে চেয়েছিল তারা হুশিয়ারি জনতার করুণার সুর।
পিঁপড়ার ঝাঁকের মতো কুড়ে কুড়ে নিয়েছে সব লুটে
হতাশা অার নিরন্ন মানবের সমস্ত গৃহে গৃহে থেকে।
সেখানে দেখেছি তোমায় সীমাহীন অাকাশের নিচে মিছিলে মিছিলে
ব্যাঘ্রতার হুঙ্কারে করেছ বেপরোয়া স্লোগানে স্লোগানে।
দেখেছি সেদিন তোমায়,
বসন্তের রঙ্গিন রৌদ্রতায় করেছে জেল বন্দি
থামেনি জনতা রুখেছে ওদের সব ফন্দি।
করেছ জনতা মুজিব মুজিব মেঘের গর্জে গর্জে
রুখেছে পাকাও হঠেছে ওদের মুক্তির মন্ত্রে মন্ত্রে।
করেছে উদ্ধার বরেছে তোমায় দুঃশাসনের বাংলায়
করেছে জনতা সোনার বাংলা রক্তে রঞ্জিত সবুজ পতাকায়।
সহস্র শুভেচ্ছা এবং শ্রদ্ধা জানাই।
ধন্যবাদ
মুজিব আমাদের প্রেরণা।
মুজিব আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী। তার অবদান অনস্বীকার্য।
দূর্দান্ত লিখেছেন কবি জাকির হোসাইন বিপ্লব ভাই। একরাশ ভালোবাসা।
আপনার জন্য শুভকামনা ভাই।
Thanks