ইট বালু খোয়া পড়ে থাকে রাস্তায়
কখনো সাজানো গোছানো
কখনো অবহেলায়;
ইমারতে ইদানীং নাকি রডের বদলে বাঁশের চটা
তাই হয়তো বাঁশের দাম বড্ড বেশী।
বাতাসে উড়তে থাকা ধুলোর মত
লাখো মানুষ ঘুরে বেড়ায় চারিদিকে,
কে চেনে কাকে?
হঠাৎ হঠাৎই মানুষে মানুষে পরিচয় ঘটে,
সম্পর্ক গড়ে ওঠে;
ঘর দেখেছ?
ঘর;
কত রকম ঘরই না আছে!
বাঁশের ঘর
টিনের ঘর
কাঠের ঘর
কিংবা মাটির ঘর,
ইমারত গড়ে ওঠা দেখেছ?
ঐ যে সভ্যতার বিবর্তনে গড়ে ওঠা ইট বালু রড সিমেন্ট এর জঙ্গল!
সম্পর্ক অনেকটা ইমারতের মত,
টেকনোলজির বিবর্তনে গড়ে ওঠা মানবীয় ইমারত;
ইট ভালো হলে সম্পর্কের ভিত ভালো হয়
বালু’তে লবণ না থাকলে সম্পর্কে নোনা পড়ে কম
সিমেন্ট এর মিশ্রণ শক্ত ইমারতে সবচেয়ে জরুরী
যেমন বোঝাপড়ার মিশ্রণ সম্পর্কে,
দেখো আবার ভুল করে রডের জায়গায় বাঁশের চটা দিও না
সম্পর্কের ইমারত ধ্বসে পড়তে সময় নেবে না;
ইমারত গড়ে তুললেই কি হয়ে গেল?
বসত গড়বে কে?
ইট-কাঠ কিংবা সম্পর্কের ঘরে;
সম্পর্কের ঘরে ঢুকতে থাকে একে একে রিপুগুলো,
ইমারতে একটু ধুম ধাম না হলে সম্পর্কের সার্থকতা কোথায়?
মানুষ আর মানুষের মাঝে সম্পর্ক বলে কথা!
এখানে স্বার্থ থাকবে
থাকবে অর্থ
থাকবে লোভ লালসা
প্রেম ভালোবাসা
ঈর্ষা দ্বন্দ্ব
নিত্যদিনের ঘ্যানঘ্যান প্যানপ্যান
হাঁড়িকুঁড়ি, বাসনকোসন আর মোবাইল ছোঁড়াছুঁড়ি
রাগ অনুরাগ আর ঘৃণা
দোষারোপ আর কান্না,
তবেই না সম্পর্ক!
আর নয়তো
……
……
……
……
বুঝিস না?
তুই বেটা মরা গাছ;
নদী পাড়ে বালুঘরে সুখস্বপ্ন দেখতে কার না ভালো লাগে?
একটা কবি কবি ভাব আসে
কাব্যের জ্যোৎস্নায় মন ভাসে,
তারপর!
ঘুম ভাংতেই ইমারতে শুয়ে বড় বড় হাই আসে
সম্পর্কের কিংবা ইট-কাঠের;
অনেক স্বপ্ন দেখা হয়েছে
এবার চল মন, কাজে চল,
ক্ষুধা কোন সম্পর্ক মানে না;
আর সম্পর্ক?
স্বার্থ আছে? তবে বাবা ঠিক আছে,
নিঃস্বার্থ?
ও তো বোবা শব্দ,
কোথায় মেলে?
ডিকশনারিতে;
যদি কেও একবেলাও অন্ন দেয় ভিখারিকে
সেও তো পুণ্যেরই স্বার্থে;
আমি সম্পর্ক বুঝি না,
বুঝি ক্ষুধা।
‘সম্পর্ক অনেকটা ইমারতের মত,
টেকনোলজির বিবর্তনে গড়ে ওঠা মানবীয় ইমারত;
ইট ভালো হলে সম্পর্কের ভিত ভালো হয়।’
জীবনবোধের লিখা গুলোন আপনার হাতে এমন সহজ এবং সরলে প্রকাশ হয়, যা খুব কম জনেই পারেন। আপনার প্রত্যেকটি লিখা স্বকীয় মূল্যবোধে অনেকের জীবনেই যায়।