একদিন খুব ভোরে রৌদ্র কিনতে গিয়েছিলাম সূর্যের হাটে,
ওমা!
গিয়ে দেখি বৃষ্টি বিক্রি হচ্ছে মেঘের দরে,
আলো রয়ে গেলো আমার অধরা হয়ে
ধুসর মনে চলে গেলাম সাগর পারে
মন খারাপের ভেলায় চড়ে;
ইচ্ছে হলো তোর জন্য কিছু বালি কিনে নিয়ে যাই
যেই না মুঠো ভরে বালি তুলে নিলাম
অমনি এক বিশাল ঢেউ ডুবিয়ে দিলো আমায়,
শরীর থেকে লবণ ঝাড়তে গিয়ে দেখি
টনে টনে লবণ বিক্রি হচ্ছে কান্নার দরে
এক ফোঁটা কান্না হাতে নিতেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসলো আমার
না কেনা হলো বালি, না লবণ
খালি হাতে চলে এলাম সন্ধ্যার কাছে
মনে মনখারাপ সঙ্গী করে;
ওখানে এসে দেখি বিষণ্ণতার হাট বসেছে সূর্যের লালে
দিগন্ত নীল মাঠ জুড়ে চলছে রাত্রির দেদার বেচাকেনা
আর আকাশ হাটে একটি মাত্র শুকতারা
ব্যাপক দাম হাঁকাচ্ছে তারার ব্যাপারী,
কেও কেও জ্যোৎস্না কিনে নিয়ে যাচ্ছে চাঁদের থলেতে ভরে
আমি অন্ধকার দামে কিছু স্বপ্ন কিনে হাঁটা ধরলাম তোর ঘরে;
তুই কি ঘুমিয়ে গিয়েছিস?
আচ্ছা, ঘুমা;
আমি স্বপ্নগুলো রেখে যাচ্ছি তোর চোখের কোণে
ঘুম ভেঙে ঠোঁটে লবণ অনুভব করলে বুঝবি চুমু খেয়েছিলাম ভালোবেসে
তারপর চলে এসেছি বহু, বহুদূরে
নিঃস্ব হয়ে, নিঃসঙ্গতা সঙ্গী করে;
আমি কখনো ক্রেতা হতে পারি নি রে,
না দিনের, না রাতের
না মেঘের, না বৃষ্টির
না চাঁদের, না তারার
না প্রেম, না ভালোবাসার
না হতে পেরেছি বিক্রেতা;
সারাজীবন চোখ ভরা জ্যোৎস্নার স্বপ্ন নিয়ে চোখ জ্বালিয়েছি প্রখর রোদে
আর বুক ভরা ভালোবাসা নিয়েও কাওকেই রাখতে পারি নি বুকে করে।
সারাজীবন চোখ ভরা জ্যোৎস্নার স্বপ্ন নিয়ে চোখ জ্বালিয়েছি প্রখর রোদে
আর বুক ভরা ভালোবাসা নিয়েও কাওকেই রাখতে পারি নি বুকে করে।
অসাধারণ যাযাবর ভাই।
কী সুন্দর করেই না লিখেছন। মন ভরে যায় কবি জীবন বাবু।