রক্তের বুদ্বুদ

রক্তের বুদ্বুদ

মন্দ কি, যদি খরা উত্তপ্ত দাহে
বরফের মত বিগলিত হয় দেহের শাখা প্রশাখা
খা খা রোদ, নিস্তব্ধ দুপুরের বুক ভেদ করে
গলিয়ে দেয় প্রস্থর হৃদয়; নির্বাণ অহমিকা।

আকাশের জ্বল জ্বলে চোখ রাঙানিতে
জাগে যদি রক্তের বুদ্বুদ, অস্থির টগবগ
মন্দ কি; দাহের দাবানলে পোড়ে পতিত হয়
মজ্জার মরীচিকা।

অনল বিম্বের তীব্র রেখা
কালিমা মাখা হৃদ অলিন্দে বিদ্ধ হোক উল্কার বেগে
প্রবহমান লাভার মত ছড়িয়ে যাক –
প্রান্তরে থেকে প্রান্তরে
অলিতে গলিতে…… তনুতে অণুতে

মন্দ কি?
পোড়ে যদি অন্ধ সব অহমিকা!
…… তারপর যখন বৃষ্টি নামবে
যখন গলিত লাভা গুলো ভেসে যাবে,
যখন সবুজ প্রান্তর উদ্ভাসিত হবে,
যখন ফিরবে সোনালী সেই হাসি;
তখন মানুষ চিনতে পারবে মানুষ!

কবিতার বাঁকে বাঁকে নদীর কল কল ধ্বনি
হিজলের ঠোঁটে আকাঙ্ক্ষিত চুম্বন আর অমৃত সেই প্রেমের বানী।

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

3 thoughts on “রক্তের বুদ্বুদ

  1. অসাধারণ এবং মনোমুগ্ধকাড়া একটি লিখা। বিনম্র সালাম জানবেন স্যার। শুভ সন্ধ্যা।

  2. মন্দ কি?

    পোড়ে যদি অন্ধ সব অহমিকা!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।