ছন্দ থেকে মুক্তি মানেই ছন্নছাড়া।
মহাজগতে সবকিছুই ছন্দ মেনে চলে। ছন্দই প্রকৃতি। তাই কোনোকিছুই ছন্দহীন চলতে পারে না।
ছন্দহীনতা ধ্বংসের পূর্বরূপ।
পৃথিবী তার নির্দিষ্ট ছন্দগতিতে ঘুরছে। এর ছন্দপতন হলেই ধ্বংস ডেকে আনতে পারে।
কবিতাকে ছন্দ থেকে মুক্তি দেওয়া যায় না। গদ্যেরও নিজস্ব ছন্দ আছে। ছন্দ হল সুষম বাঁধাহীন চলার গতি। সেটা ঠিকঠাক না থাকলে পাঠক হোঁচট খাবে। ফলে পড়তে আর ভাল লাগবে না।
ছন্দ মানে লাইন শেষে অন্ত্যমিল নয়। অন্ত্যমিল বন্ধন হতে পারে।
ছন্দ আসলে বাঁধা-বন্ধন হীন মসৃন পথ। কবিতা তার থেকে সরে যাবে কীভাবে? তাহলে ভাব-শব্দ সব তো খেই হারিয়ে বিশৃঙ্খল হয়ে পড়বে। পাঠযোগ্যতা হারিয়ে ফেলবে।
আমরাও শিশুকাল থেকে ছড়ার ছন্দ আওড়াতে আওড়াতে ছন্দেছন্দে বেড়ে উঠি। তাই জীবন যখন ছন্দহীন হয় আমরা সইতে পারি না।
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কিছুই যখন ছন্দহীন নয় তখন কবিতা কেন ছন্দহীন হবে? আর আমরাই বা কেন তাকে প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে ছন্দহীন করতে যাব?
'মহাজগতে সবকিছুই ছন্দ মেনে চলে। ছন্দই প্রকৃতি। তাই কোনোকিছুই ছন্দহীন চলতে পারে না। ছন্দহীনতা ধ্বংসের পূর্বরূপ।' ___ কথায় পূর্ণ সহমত জ্ঞাপন করছি। ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন দাদা
ছন্দের সাথে নিবিড় সম্পর্ক হোক আপনার, আমার ও আমাদের সকলের! ভালো লিখেছন!
ধন্যবাদ
অর্থপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করেছেন শংকর দা।
ধন্যবাদ
আলোচনায় যুক্তি আছে দাদা।
ধন্যবাদ দিদি
খুব ঠিক বলেছেন। ছন্দ হারালে কোন কিছুই টিকেনা। এমনকি ঘরও না।
কবিতায় তো ছন্দ থাকতেই হবে- তা সে মুক্তছন্দ হোক অথবা পদ্যছন্দ হোক। ঝর্ণার মতো; মনলতার চোখের পাতা ফেলার মতো; হ্ৎপিন্ডের "লাবডাব" ধ্বনির মতো।।
একদম। ধন্যবাদ
কবিতাকে ছন্দ থেকে মুক্তি দেওয়া যায় না। গদ্যেরও নিজস্ব ছন্দ আছে। ছন্দ হল সুষম বাঁধাহীন চলার গতি। সেটা ঠিকঠাক না থাকলে পাঠক হোঁচট খাবে। ফলে পড়তে আর ভাল লাগবে না।

যদিও আমার নিজের ছন্দ জ্ঞ্যান কম কিন্তু আপনার কথায় সহমত পোষন করছি।
ধন্যবাদ
একটা গান আছে- "ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে" যেখানে ছন্দ নেই সেখানে আনন্দও নেই। ছন্দহীন কবিতা/ছড়া আমি পড়িনা বুঝিও না। আসলে যিনি লেখেন তিনি নিজেই যে কি বুঝে লেখেন জানিনা জানার চেষ্টাও করিনা।
ছন্দছাড়া তো কবিতা বা ছড়া বা গদ্য কিছুই হয়না। ধন্যবাদ
মহাজগতে সবকিছুই ছন্দ মেনে চলে। ছন্দই প্রকৃতি। তাই কোনোকিছুই ছন্দহীন চলতে পারে না।
*


ধন্যবাদ
আপনার ভাবনা এবং প্রকাশের সাথে সম্মতি প্রকাশ করছি।
ধন্যবাদ আপা
কিছু মনে করবেন না, আপনার সাথে পুরোপুরি একমত নই আমি।
কবিতার আসত্তি না থাকলে যতই ছন্দ মেনে কবিতা লেখা হোক না কেন সেই কবিতা কখনোই সার্থক হবে বলে আমার মনে হয় না। আর বৃত্ত মেনে লিখতে গেলে অথবা অন্তমিল রেখে লিখতে গেলে বেশিরভাগ কবিতাই অনেক কঠিন মনে হবে। যে কবিতায় কোন মেসেজ নেই তা আমার কাছে কবিতাই মনে হয় না। ধন্যবাদ
দিদি, কিছু মনে করবেন না, এই যে কথাগুলো আপনি লিখলেন, সুন্দর বাক্যবন্ধ্যে, এটাও কিন্তু একটা বন্ধন মেনে লিখলেন। ব্যাকরণের বন্ধন। তাই বিশৃঙ্খল হয়নি। আমি আপনার বক্তব্য সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছি, কারণ আপনি ব্যাকরণের বন্ধন মেনেছেন। আর আপনি ছন্দ আর অন্ত্যমিল বিষয়টা গুলিয়ে ফেলছেন। গদ্যেরও একটা ছন্দ থাকে। আর কবিতা কিন্তু দর্শনশাস্ত্র নয়। অনুভবরের। বোধের।
ভাল থাকবেন দিদিভাই
মহাজগতে সবকিছুই ছন্দ মেনে চলে। আমার এই মুহুর্তে গোল্ডেন রেশিও'র কথা মনে পড়ে গেল।
সুন্দর লিখেছেন দাদা
ধন্যবাদ
আমার কাছে মনে হয় কবিতা ছন্দহীন হতে পারে না! ছন্দ থাকবে। তবে ছন্দের ব্যাকরণ বা গ্রামার পরিবর্তন হতে পারে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী। সেই নতুন গ্রামারকে হয়তো আমাদের কাছে ভিন্ন কিছু মনে হতে পারে কিন্তু তাতেও ছন্দ থেকে যাবে।
জীবনানন্দের মতে, উপমাই কবিতার মূল! অন্যান্ন কবিদের মতে কবিতা অর্থপুর্ণ হতে হবে অর্থাৎ মেসেজ থাকতে হবে, অনেকের মতে, কবিতা বোঝার বিষয় নয় – কবিতা উপলব্ধির বিষয়।
যাইহোক, সময় একটা বড় ফ্যাক্টর। এক সময় যে বিজ্ঞানী তার সুত্র সঠিক প্রমাণ করেছেন, আরেক সময় অন্য বিজ্ঞানী সেই সুত্র ভুল প্রমাণ করেছেন।
ধন্যবাদ
ছন্দ প্রতেকটি সৃষ্টির শুরু শেষ পর্যন্ত ছন্দ যাকিছু করুন না কেনো ছন্দ হবে
ছন্দকে বুঝানোর জন্য সুন্দর কথা প্রকাশ করেছেন কবি দা————
ধন্যবাদ দাদা