৬৭।
শুয়ে শুয়ে সারাদিনের ছবি ভাবতে চাইলেন। না, ভেবে আর কি হবে? এই ভাবেই যখন চলবে চলুক না! কি আছে ভাবার? তার চেয়ে মেনে নেয়াই ভালো। মেনে নিতে না পারলে কষ্ট আরও বাড়বে। মনের মধ্যে কোথায় যেন এই মেনে নেয়াতে একটু দ্বিধা লাগছে। কিন্তু কেন? এতো পরিশ্রম কি পারবো? টিকে থাকতে হবে! এই করে যদি নিজেই শেষ হয়ে যাই তাহলে চলবে কি করে? ডায়াবেটিসটাই তো দিলো আমাকে শেষ করে। মাথা ব্যথা হলে ওষুধ খেয়ে ব্যথা সারাতে হয়, মাথা কেটে আর ব্যথা সারান যায় না। তা হলে কি করা যায়? মারুফ বলেছিলো সামনের কাজ খুঁজে দেখতে, কিন্তু আমি কিভাবে খুঁজবো কাকে চিনি আমি? দেখা যাক কয়েকদিন। শুক্র শনিবার গেলো। সামনের কয়েকটা দিন দেখি কেমন। হাত দু’টার দিকে চোখ পড়ল, সব গুলি আঙ্গুল কাটা কাটিতে ভরা, কয়েকটা নখ ভেঙ্গে গেছে, আঙ্গুল গুলি কালো দাগে ভরা দেখে তাকিয়ে রইলো। রাশেদ সাহেব তুমি কি পারবে এভাবে? গ্রেভির ডেকচি, রাইসের ডেকচি নাড়া চারা করতে হচ্ছে। আজকেই কোমরে টান লেগেছিলো কখন কি হবে বলা যায়? মানুষ কি সবসময় সাবধানে চলতে পারে? ভাল হবে তুমি সামনে কাজের চেষ্টা কর। বুঝলাম, কিন্তু—, আবার ঐ কিন্তু। আচ্ছা দেখিনা কয়েকদিন। দাঁড়াবার জায়গা যখন হয়েছে তখন অবস্থা বুঝে ব্যবস্থাও একটা হবে। কয়েক দিন একটু মেনে নিতেই হবে, উপায় নেই। এখানে আমার কে আছে এমন কেও নেই যে আমাকে সব কিছু করে দিবে। আমিও কিছু জানি না চিনি না একেবারে নতুন, কিছুদিনের অপেক্ষায় থাকতেই হবে। সময়ই বলে দিবে কখন কি করতে হবে। ঘড়িতে পৌনে দুইটা বেজে গেছে। না আর না এবার উঠতে হয়। উঠে নিচে যেয়ে দেখে আলু দিয়ে রুই মাছ রান্না হয়েছে তাই দিয়ে সেহেরি খেয়ে এসে ওষুধ খেয়ে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে কাত হয়ে ছাদের দিকে তাকিয়ে একা একা মনে মনে কথা বলছিলেন।
নুরুল ইসলাম এসে বললো -চলেন ভাই সাহেব খেয়ে আসি।
-আমি এইমাত্র খেয়ে আসলাম, রাতে ভাত খাইনি তাই একটু তাড়াতাড়িই খেয়ে নিলাম আপনি যান।
নুরুল ইসলামের সাথে এখনও আলাপ হয়নি। আস্তে আস্তে আলাপটা করে নিতে হবে এক রুমে থাকি দরকার আছে।
-আচ্ছা ভাই এ রুমে হিটার নেই?
-জানি না, আমিও নতুন এসেছি।
-তাই নাকি?
-হ্যাঁ।
-কবে?
-এইতো গত মাসের মাঝামাঝি মানে তিন সপ্তাহ চলছে।
-ও আচ্ছা। তাহলে কি করা যায়? ঠাণ্ডা লাগে একটু একটু শেষ রাতের দিকে। আপনার লাগে না?
-হ্যাঁ লাগে দেখি সেফ এলে বলতে হবে।
-কেন সেফ কেন আপনার সামনেও তো দুইজন মালিক আছে।
-তা থাকলে কি হবে ওরা এসব গুরুত্ব দেয়না। যাই আমি খেয়ে আসি।
-হ্যাঁ আসেন এসে যদি দেখেন আমি ঘুমিয়ে পরেছি তাহলে—
-না না ডাকব না, বুঝেছি ঘুমান আপনে। লাইট নিভিয়ে দিবো?
-হ্যাঁ ভালোই হবে।
হাতের সিগারেট শেষ করে নিভিয়ে ফেললেন।
16 thoughts on “নক্ষত্রে গোধূলি-৪৯”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
শুভেচ্ছা প্রিয়তমেষু!
পড়লাম প্রিয় বন্ধু। শুভেচ্ছা সহ ভালোবাসা।
গন্ধরাজ ভালবাসা।
উপন্যাসে যথারীতি হাজিরা। বিজয়ের শুভেচ্ছা কবি খালিদ ভাই।
শুভেচ্ছা। কয়েকদিন নেট এর বাইরে ছিলাম তাই যথারিতী কারো জবাব দেয়া হয়নি।
পড়ে নিয়েছি কবি খালিদ ভাই। বিজয়ের শুভেচ্ছা।
শুভেচ্ছা। বিলম্বিত জবাবের জন্য দুখিত!
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা কবি ঔপন্যাসিক খালিদ ভাই।
শুভেচ্ছা। কয়েকদিন গ্রামীন জীবন কাটিয়ে এসেছি।
বিজয়ের অভিনন্দন শুভেচ্ছা রেখে গেলাম দাদা।
বিলম্বিত জবাবের জন্য দুখিত!
শুভেচ্ছা নেবেন ভাই।
আপার জন্য একরাশ শুভেচ্ছা।