আমি শিখেছিলাম প্রতি নিয়ত লড়তে- বিদ্রোহে
শিখেছিলাম আদর্শের ধর্মে চেতনার বর্মে- বিচক্ষণতায় বাঁচতে
হোঁচট খেতে খেতে শিখেছিলাম দুর্গম পথ চলতে, ক্ষয়ে- অবক্ষয়ে
নিজেকে দাঁড় করেছিলাম হুজুগের গা ভাসানো স্রোতের বিপরীতে;
ঘাতে- প্রতিঘাতে ধুকতে ধুকতে- শিখেছিলাম মানুষ চিনতে
মানুষ খুঁজতে খুঁজতে হেঁটেছিলাম কাল কালান্তর- তেপান্তরের মাঠে
হাটে- ঘাটে… ধুয়ো উঠা চায়ের আড্ডায় নিরন্তর গল্প কথায়…
একটি যুদ্ধের গল্প
যুদ্ধগ্রস্ত প্রেমের গল্প-
গল্পের বাঁকে বাঁকে নিজেকে মেখে মেখে- মনে মনে এঁকেছিলাম সংকল্প;
কখনো স্মৃতি, কখনো জ্বলজ্যান্ত উপলব্ধি
গল্পের শাখা প্রশাখায় দেখেছিলাম রক্তে আঁকা মানচিত্রের প্রতিচ্ছবি!
বাদে- অনুবাদে জেনেছিলাম সাধ ও সাধ্যের দৌরাত্ম্য
কত রত্ন কত চন্দ্র শিলা পুড়েছে আত্ম দহনে –মননে মজ্জায়
দ্রোহে বিদ্রোহে রেখেছি জড়িয়ে একিই আদর্শ- ছাড়িনি মৃত্যু শয্যায়!
মরতে মরতে বেঁচেছিলাম অসংখ্য বার
কিন্তু বাঁচার জন্য মরেছিলাম একবার
দেখেছিলাম সময়ের কল কব্জায় জমেছে বিস্তর মরীচিকা
ঘুণপোকার মিছিলে ভেতর টায় পড়েছে সুড়ঙ্গ, হয়েছে রিক্ত-পাকা
খোলসের আবরণে মিশে একাকার আপন পর সব
শিখতে পারি নি ভুলে যেতে বিহঙ্গ শৈশব।
প্রতীক্ষার অনন্ত প্রহর কাটিয়েছি নিঃসঙ্গ বিরহে
কেউ জানে না কোন যন্ত্রণা সহে সহে জ্বালিয়েছি আলোর প্রদীপ শূন্য গৃহে;
গৃহের আমি ছিলাম না কখনো, ছিলাম মত্ত পথের ডাকে
শৌর্যে – বীর্যে ছিলাম পুরুষ, আজো আছি- থাকবো অনন্তলোকে…।
দা উ দু ল ই স লা ম
গল্পের শাখা প্রশাখায় দেখেছিলাম রক্তে আঁকা মানচিত্রের প্রতিচ্ছবি! আমাদের মানচিত্র।
কত রত্ন কত চন্দ্র শিলা পুড়েছে আত্ম দহনে –মননে মজ্জায়
দ্রোহে বিদ্রোহে রেখেছি জড়িয়ে একিই আদর্শ- ছাড়িনি মৃত্যু শয্যায়!
শক্তপোক্ত কবিতা। বিজয়ের শুভেচ্ছা কবি দাউদ ভাই।
একটি যুদ্ধের গল্প
যুদ্ধগ্রস্ত প্রেমের গল্প-
গল্পের বাঁকে বাঁকে নিজেকে মেখে মেখে- মনে মনে আঁকার এক সংকল্প। অসাধারণ।
অসাধারণ লিখেছেন প্রিয় কবি দা। আনন্দ লাগছে এই ভেবে যে, ইদানিং আপনাকে নিয়মিত শব্দনীড়ে আমাদের মধ্যে পাচ্ছি। অভিনন্দন জানাই আবারও। শুভেচ্ছা।
মানুষ খুঁজতে খুঁজতে হেঁটেছিলাম কাল কালান্তর- তেপান্তরের মাঠে
হাটে- ঘাটে… ধুয়ো উঠা চায়ের আড্ডায় নিরন্তর গল্প কথায়…
ভালোবাসা কবি দাউদ ভাই।
আছি শৌর্যে বীর্যে… পৌরুষে।
আপনার জন্য শুভকামনা কবি দাউদ ভাই।