আমাদের ধর্ম পালন দেখে খুবই দুঃখ লাগে। নিজের সুবিধার্থে ইসলামকে আমরা ব্যবহার করছি। যেমন, জ্বিল হজ্জ মাসের প্রথম তারিখ থেকে কোরবানী ঈদ উপলক্ষ্যে অনেকে দাঁড়ি-গোঁফ কাটেনি। আমি তাদের প্রশ্ন করলাম, কেন তারা কাটেনি? উত্তরে আমি বিব্রত হই। এই সময়ে দাঁড়ি-গোঁফ কাটলে আল্লাহ নাকি গোনাহ দিবে। এই কেমন যৌক্তিরে ভাই? হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, এক মুঠো সমপরিমান দাঁড়ি রাখতে, আর যদি দাঁড়িতে ক্ষুর লাগানো হয় তাহলে নবী (সঃ) গলায় ক্ষুর বসানো সমান গোনাহ হবে। অথচ বর্তমানে ধর্ম কে নিজের মত সাজিয়ে যুক্তি দিয়ে নিজেকে মুসলমান দাবী করছে। আপনি আল্লাহর হুকুম পালনে নামাজ পড়ছেন কিন্তু হিন্দু নাপিত দিয়ে দাঁড়ি চাটাই করে উনার বন্ধু নবী করীম (সঃ) কে অপমান করছেন। এইটা কি আপনাদের অজ্ঞতা নাকি আল্লাহর সাথে ভন্ডামীর পরিচয়?
পশ্চিম পাকিস্তানীরা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীদের মুসলমান মনে করতো না। কারণ বাঙালিদের আচার-আচরণ ও সংস্কৃতি বিধর্মীদের সাথে মিল। তাই তারা পূর্ব পাকিস্তানীদের উপর নির্যাতন চালিয়ে ছিল। অথচ পশ্চিম পাকিস্তানীরা চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, খুন ধর্ষণ তথা যত অপকর্ম ইসলামে নিষেধ করেছে সে সকল অপকর্মের সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল আর নিজেদের মুসলমান দাবী করে পূর্ব পাকিস্তানীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছিল। বর্তমানেও ঠিক বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ সকল অপকর্ম করবে আর তখনই তাদের মুসলমানিত্ব দেখাবে আপনি যখন যৌক্তিক প্রতিবাদ করবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রামীন সমাজে নামাজ পড়া মানুষগুলোকে আমরা ভালো মনে করি, কিন্তু অন্তরালে তার কুৎসিত চরিত্রটা আমরা দেখি না। শুধু নামাজ পড়লেই যদি সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করানো যেত তাহলে কোরআন-হাদিসে এতো বিধিনিষেধ নাজিল হতো না। আর মানুষেরও মৃত্যু হতো না।
কিছু লোক আছে যারা নামাজ পড়ে আমি ভালো হয়ে গিয়েছি প্রমাণ করার জন্য। আর কিছু লোক আছে বয়স হয়েছে আর কত! তাই। আল্লাহকে ভয় করে যদি নামাজ পড়তো তবে আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ সকল অপকর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখতো।
আপনি বা আপনারা তো নামাজ পড়েন, তাহলে কয়েকটা জিনিস থেকে আপনারা নিজেদের বিরত রাখতে পারেন কি-না দেখি। যেমন, লোভ-লালসা, হিংসা-পরশ্রীকাতরতা, গীবত-পরনিন্দা, সামাজিক অন্যায় বিচার এবং অন্যের অনিষ্ট সাধন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا رَأَيْتُمْ هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ، وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ، فَلْيُمْسِكْ عَنْ شَعْرِهِ وَأَظْفَارِهِ.
অর্থ : উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন যিলহজ্বের দশক শুরু হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে কুরবানী করবে সে যেন তার চুল নখ না কাটে। সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৭৭; জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫২৩
.
সূত্রঃ মাসিক আল-কাউসার সেপ্টেম্বর ২০১৫
এই হাদীস আমিও জানি। কিন্তু কি বুঝাইতে চেয়েছি আপনি তা না বুঝে এই হাদীস দিলেন। আগে বুঝন তারপর না হয়……
আমি কোন তর্ক্তে যাব না তবে হক কথা বলেছেন
শুধু নামাজ পড়লেই যদি সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করানো যেত; তাহলে কোরআন-হাদিসে এতো বিধিনিষেধ নাজিল হতো না। আমরা যেন আমাদের জাগতিক লোভ-লালসা, হিংসা-পরশ্রীকাতরতা, গীবত-পরনিন্দা, সামাজিক অন্যায় বিচার এবং অন্যের অনিষ্ট সাধন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখি। ____ আমীন।
চীন গিয়ে সৌদিয়ান হালাল খাবার খোজে কিন্তু চীন যায় কোন নামী দামী পণ্য নকল করতে। হা হা
”কিছু লোক আছে যারা নামাজ পড়ে আমি ভালো হয়ে গিয়েছি প্রমাণ করার জন্য। আর কিছু লোক আছে বয়স হয়েছে আর কত! তাই। আল্লাহকে ভয় করে যদি নামাজ পড়তো তবে আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ সকল অপকর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখতো।” – অসাধারণ বলছেন প্রিয় লেখক। আসলে আমাদের উপলব্ধি আজও সেকেলে।