জীবনের গল্প-১-এর শেষাংশ: থাকতাম মিলের শ্রমিক ফ্যামিলি কোয়ার্টারে। সময়টা তখন হতে পারে ১৯৭৩ সালের নভেম্বর নাহয় ডিসেম্বর মাস।
গ্রামের বাড়ি থেকে নারায়ণগঞ্জ আসার পর প্রায় মাসখানেক পর্যন্ত আমার কোনও বন্ধুবান্ধব ছিল না এবং মিলের ভেতরে থাকা শ্রমিক কোয়ার্টারের কোনও সমবয়সী ছেলে আমার সাথে কথাও বলতো না। আমিও মিলের ভেতরে থাকা ওঁদের সাথে বেশি মিশতাম না। কারণ আমার নোয়াখালীর ভাষা ওঁরা কেউ বুঝতো না। আমি কিছু বলতে গেলেই আরও চার-পাঁচজন হিহিহি করে হাসতো। ওঁরা আমাকে দেখলেই নোয়াখাইল্লা নোয়াখাইল্লা বলে হাসাহাসি করতে। আবার আমার চেহেরাটা বেশি সুশ্রী ছিল না বলে, ওঁরা আমাকে দেখে ভেংচি দিতো।
আসলে ওঁদের কোনও দোষ ছিল না। দোষ ছিল আমার কুশ্রীত চেহারার। আমার মুখমণ্ডল আরও দশজনের চেয়ে অন্যরকম ছিল। মানে কুশ্রী। চেহারা কুশ্রী হওয়ার কারণ হলো, আমার বয়স যখন চার বছর; তখন নাকি আমি গুটিবসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় তিনমাস পর্যন্ত মৃত্যুর সাথে লড়াই করে রোগমুক্ত হয়েছিলাম। শুনেছিলাম মা-বাবা ও বড়দাদা আর বোনদের মুখে। এই তিন মাসে গুটিবসন্ত রোগে আমাকে নাকি কঠিনভাবে আক্রান্ত করে ফেলেছিল। সেসময় আমাকে নাকি বাঁচিয়ে রাখার কোনও উপায়ই ছিল না। তবুও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় নাকি বেঁচে গিয়েছিলাম।
আমার শরীরে নাকি বসন্ত রোগের সাত জাতের মধ্যে সাত জাতই দেখা দেয়েছিল। আগেকার মানুষে বলতো, একজন মানুষের যদি একসাথে সৈয়দ, দাউদ, বরণ রোগ দেখা দিতো, তখন নাকি ওই মানুষটার মরণই হতো। তাই কথায় আছে, “সৈয়দ, দাউদ, বরণ, এই তিন জাত উঠলে হয় মরণ।” আমার শরীরে উঠেছিল সাত জাত। এগুলো হলো, “সৈয়দ, দাউদ, বরণ, ছালাকাটা, মসুরিকাটা লুন্তি ও বসন্ত।” এই রোগ ছিল ছোঁয়াচে রোগ। একবার এক গ্রামে বা মহল্লায় দেখা দিলে, তাহলে পুরো গ্রামের ঘরে ঘরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তো এবং শতশত মানুষ মারা যেতো। কিন্তু আমি বেঁচে গিয়েছিলাম, আমার মা-বাবার আপ্রাণ চেষ্টার কারণে এবং মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায়। বলে বলে রাখা ভালো যে, আমার এই রোগের কারণে অন্যকোনো পরিবারের মানুষ তখন এই ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হয়নি। এই রোগের রুগী শুধু আমি একাই ছিলাম।
আমার শরীরে যখন এই রোগ দেখা দেয়, তখন আমি গ্রামের বাড়িতেই ছিলাম। সাতদিন পর্যন্ত আমার মা গ্রাম্য কবিরাজ থেকে ঝাড়ফুঁক, ঔষধ ও পানি পড়া খাওয়ানোর পরও যখন আমি ভালো হচ্ছিলাম না, তখনই আমার মা নিকটস্থ পোস্ট অফিস থেকে বাবাকে টেলিগ্রাফ করে পাঠায়। বাবা তখন মায়ের পাঠানো টেলিগ্রাফ পেয়ে সাথে সাথে ধারদেনা করে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে এসে মা-সহ আমাকে অতি কষ্টে আমার সুচিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ নিয়ে যায়। মা আমাকে নিয়ে উঠলো, আদর্শ কটন মিলের শ্রমিকদের ফ্যামিলি কোয়ার্টারে থাকা পরিচিত একজনের বাসায়। আমাকে নিয়ে যাঁর বাসায় গিয়ে উঠল, ওই লোক ছিল আমার বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বাবার সাগরেদ। আমার এই ছোঁয়াচে রোগ হওয়ার পরও ওই লোক তাঁদের একটা রুম আমাদের জন্য ছেড়ে দিয়েছিল। যাতে আমার কোনো সমস্যা না হয়। ওই বাসায় থাকা খাওয়ার কোনও সমস্যা ছিল না। সমস্যা ছিল শুধু আমার চিকিৎসার সমস্যা। তখন আমার অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, আমাকে দেখে সবাই বলেছিল, আমাকে আর বাঁচানো যাবে না। নিশ্চিত মৃত্যু। আমার মা-বাবাও আমার আশা একরকম ছেড়ে দিয়ে নিকটস্থ ১নং ঢাকেশ্বরী কনট মিলের শ্রমিক কলোনিতে থাকা একজন কবিরাজের শরণাপন্ন হলেন। তিনি শুধু এই রোগেরই চিকিৎসা করতেন। গ্রামের বাড়ি থেকে আমাকে নারায়ণগঞ্জ আনাও হয়েছিল এই কবিরাজকে দেখানোর জন্য।
তখনকার সময়ে এদেশে এই রোগের কবিরাজি চিকিৎসা ছাড়া অন্যকোনো সুচিকিৎসা ছিল না। আমাকে যে কবিরাজ চিকিৎসা করেছিল, তিনি ছিলেন একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তিনি মাশীতলা দেবী’র সাধন করতেন এবং যেখানেই এই রোগ দেখা দিতো, সেখানেই দৌড়ে যেতেন। বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতেন। উনার চিকিৎসায় এই রোগ থেকে সেরে ওঠলে নামমাত্রও কিছু নিতেন না। আমার এই রোগ হওয়ার আগে থেকেই ওই সাধকের পরিবারের সাথে আমার মা-বাবার খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাই এই চিকিৎসক আমার সু-চিকিৎসার জন্য এবং আমাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমাদের বাসায় বসেই মা শীতলা দেবী’র পূজা করতেন এবং আমাকে চিকিৎসা করতেন। উনি প্রচুর মদপান করতেন। শীতলা দেবী’র পূজা সেরে উনি মদ পানের সাথে আমার শরীরও নাকি চেটে খেতেন। শুনেছি মায়ের মুখে।
সেসময় এই গুটিবসন্তের কারণে আমার সমস্ত শরীরই পচন ধরে গিয়েছিল। শরীরের পুরো অংশই ছিল মাংসবিহীন। চৌকির উপর কলাপাতা বিছিয়ে তিলের তেল কলাপাতায় মেখে সেখানে আমাকে শোয়াইয়ে রাখতো। এমনিতেই এই রোগ হলে একরকম চুলকানির মতো রোগ। এই রোগ হলে সমস্ত শরীরই চুলকায়। শরীর চুলকানির কারণে আমি নাকি সবসময়ই আমার দুইহাত দিয়ে মুখমণ্ডল-সহ সারা শরীর সারাক্ষণ খামচাতাম। এজন্য আমার হাত পা চৌকির চার পায়ার সাথে বেঁধে রাখা হতো। যাতে আমি হাত পা দিয়ে শরীর না খামচাতে পারি। তবুও মাঝে মাঝে হাত দিয়ে খামচানোর ফলে, আমার মুখমণ্ডলের মাংস (ত্বক) হাতের নখের খোঁচায় এদিক-সেদিক হয়ে গিয়েছিল। সাথে দু’চোখের মনিতেও গুটিবসন্ত উঠেছিল। তিনমাস মৃত্যুশয্যা থেকে সেরে উঠার পর অন্তত বছরখানেক আমি অন্ধ মানুষের মতো দু-হাত নেড়ে-চেড়ে চলতাম। ওই কবিরাজের সাজেশন মতো পুকুরে জন্মানো বড় আকারের শামুকের জল প্রতিদিন তিনবেলা কয়েক ফোঁটা করে দেওয়ার পর আমার চোখ আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মুখমণ্ডল থেকে সরে যাওয়া মাংস(ত্বক) আর সমান হয়নি। আমার চেহারা এখনো কুশ্রী।
এই কুশ্রী চেহারা আর নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষার কারণে আদর্শ কটন মিল অভ্যন্তরে থাকা সমবয়সী ছেলেরা আমাকে দেখে একরকম ঘৃণাই করতো। হাসতো, ভেংচি দিতো। এতে আমার খুব রাগ হতো। অনেক সময় বেশি রাগ হয়ে যেতো। তখন মিল অভ্যন্তরে অনেক ছেলেকে ধামধুম মেরে নিজেদের বাসায় এসে বসে থাকতাম। আর বাড়ি থেকে সাথে আনা পুরানো বইগুলো নিজে নিজেই পড়তাম। এভাবে আস্তে আস্তে নিজে নিজেই নারায়ণগঞ্জের কিছু আঞ্চলিক ভাষা রপ্ত করে ফেললাম। বাসার বাইরে যেতাম। মিলের ভেতরে স্থায়ীভাবে থাকা সমবয়সী ছেলেরাও আস্তে আস্তে আমাকে কাছে ডাকতে শুরু করলো। ওঁদের সাথে খেলতে বলতো। আমিও ওঁদের সাথে মিশতাম, খেলতাম। যখন যা-ই করতাম, বাসায় এসে নিয়মিত পুরানো বইগুলো একা একা নেড়ে-চেড়ে পড়তাম। স্কুলে ভর্তি করে দেওয়ার জন্য মায়ের কাছে কেঁদে কেঁদে বলতাম। মা শুনতেন, কিন্তু আমার কথায় সায় দিতেন না। কারণ আদর্শ কটন মিলের ফ্যামিলি কোয়ার্টারে সব ফ্যামিলিদের মধ্যে আমরাই ছিলাম একেবারে নিকৃষ্ট ফ্যামিলি। মানে অভাবগ্রস্ত ফ্যামিলি।
তখন আমাদের সংসার ছিল মা-বাবা, দাদা-বৌদি, দুকজন ভাতিজা, একজন ভাতিজী, অবিবাহিত দুই বোন ও আমি-সহ মোট নয়জন সদস্যের বিরাট এক সংসার। ইনকাম করার মতো ছিল আমার বাবা আর বড়দাদা। তাও ছিল নামমাত্র বেতন। মাসের প্রত্যেক দিনই তিনবেলার মধ্যে শুধু দুপুরবেলাই আমাদের কপালে ভাত জুটতো। আর দিনের দুইবেলার মধ্যে কোনো-কোনো সময় শুধু একবেলা খেতে পারতাম। আর একবেলা থাকত হতো আকাশ পানে চেয়ে। তখন মিল কর্তৃপক্ষ থেকে প্রত্যেক শ্রমিক ও স্টাফের রেশন কার্ড দেওয়া ছিল। আমাদেরও ছিল। বাবারও ছিল। বড় দাদারও ছিল। রেশন কার্ডে শুধু চাল, গম, চিনি পেতাম। আমাদের সংসার মাসের অর্ধেক সময় রেশন কার্ডের উপর নির্ভর থাকতো। কোনো-কোনো সময় নগদ টাকা না থাকার কারণে রেশন তুলতে পারতাম না। তখন সামান্য লাভে রেশন বিক্রি করে দিতে হতো। ওই রেশন বিক্রির লাভের টাকা দিয়ে অন্য কারোর রেশন থেকে গম কিনে নিতাম। সেই গম থেকে আটা করে সকাল-বিকাল আটার রুটি খেতাম। সময়টা তখন ১৯৭৩ সালের শেষদিকে। এরই মধ্যে দেশে দেখা দিতে শুরু করলো দুর্ভিক্ষ। এমন অবস্থার মধ্যে আমাকে আবার স্কুলে ভর্তি করানো যেন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ালো। তবুও আমার পড়ার আগ্রহ দেখে সংসারের অভাব অনটনের মধ্যেও ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে আমার বড়দাদা নিকটস্থ দক্ষিণ লক্ষ্মণ খোলা ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি করে দেয়।
তখন দেশের চারদিকে দুর্ভিক্ষ! জায়গায় জায়গায় মানুষ না খেয়ে মরছে, এমন খবর সবসময়ই সবার মুখে মুখে থাকতো। সেসময় আমাদের মতো কষ্ট এদেশে আর কেউ হয়তো করেনি। দুইবেলা আটার জাউ ছিল আমাদের সংসারের নিয়মিত খাবারের তালিকায়। আর দুপুরবেলা চালের সাথে বেশি করে আলু কুচি দিয়ে ভাত রান্না করা হতো। মানে চালের উপর চাপ কমানো। চাল কম, আলু বেশি। সেসময় অভাব অনটন যে কী তা আমি এতো বুঝতাম না। আমি স্কুলে যাওয়ার সময় তামার দুই পয়সার জন্য মায়ের কাছে চেয়ে কাঁদতাম। কোনও দিন পেতাম। কোনও দিন আবার পেতাম না, কাঁদতে কাঁদতে বই বগলে নিয়ে স্কুলে চলে যেতাম। স্কুলে গিয়ে দেখতাম আরও দশজন সমবয়সী মনের আনন্দে আইসক্রিম খেতো, বুট ভাজা খেতো, এটা খেতো, সেটা খেতো। আমি চেয়ে চেয়ে দেখতাম, আর চোখের জল ফেলতাম। তবুও পারতপক্ষে কোনও দিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করিনি। আমি আমার ক্লাসে সবসময়ই নিয়মিত ছিলাম। ঘরে খাবার না থাকলেও, আমি বান্দা স্কুলে যেতাম।
সেই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১নং ঢাকেশ্বরী কটন মিলের হাইস্কুলে ভর্তি হলাম ঠিক, কিন্তু সংসারের অভাব অনটন আমাকে দুর্বল করে তোলে। স্কুল থেকে বাসায় আসার পর যখন দেখতাম ভাতের হাঁড়িতে ভাত নেই, তখন কাউকে কিছু না বলেই ঘর থেকে বেরিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী ঘেঁষা আদর্শ কটন মিলের খেলার মাঠের এককোণে নিরিবিলি বসে থাকতাম অথবা সমবয়সী বন্ধুদের সাথে খালি পেটে খেলায় মেতে থাকতাম। অনেকসময় সন্ধ্যাবেলা বন্ধুদের সাথে লক্ষ্মণখোলা জনতা ক্লাবে টেলিভিশন দেখতে চলে যেতাম। তখন আদর্শ কটন মিলে টেলিভিশন ছিল না। তখনকার সময়ে টেলিভিশনের খুবই দাম ছিল, মান ছিল, সম্মান ছিল। এখনকার মতো ঘরে ঘরে, মহল্লার আনাচে-কানাচে, হাটবাজারে টেলিভিশন ছিল না। টেলিভিশন ছিল সাতরাজার ধন, মানিক রতন। যা ছিল স্বপ্নের ব্যাপার-স্যাপার।
অনেকসময় টেলিভিশন দেখতে গিয়ে লক্ষ্মণখোলার স্থানীয় ছেলেদের হাতে মাইর-গুতা খেয়ে বাসায় ফিরতাম। বাসায় এসে দেখতাম রাতের খাবার তখনও জোগাড় হয়নি। না খেয়ে ওমনি বই নিয়ে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে থাকতাম। অনেক রাতে বড় দিদিরা ভাত খেতে ডাকতো। কোনও দিন ওঠে খেতাম। কোনও দিন আর উঠতাম না। না খেয়েই ঘুমিয়ে থাকতাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে জল দেওয়া পান্তাভাত খেয়ে আবার পড়তে বসতাম। স্কুলে যাবার সময় হলে শীতলক্ষ্যা নদীতে স্নান করে তাড়াতাড়ি স্কুলে চলে যেতাম। স্কুল ছুটির পর বাসায় এসে কোনও দিন দেখতাম ভাতের হাঁড়িতে ভাত আছে, কোনও দিন দেখতাম ভাত নেই। এভাবেই সেসময়কার দিনগুলো আমাদের অতিবাহিত হতে লাগলো। দেশের দুর্ভিক্ষও তখন আস্তে আস্তে হাত নেড়ে দূরে যেতে লাগলো। কিন্তুক আমাদের সংসারে লেগে থাকা দুর্ভিক্ষ তখনও দূর হয়নি। বারোমাসি দুর্ভিক্ষ আমাদের সংসারের লেগেই থাকলো। সেসময় স্কুলে যাওয়ার মতো পোশাকও আমার ছিল না। বাবা ও বড়দাদা মিল থেকে পাওয়া রিজেক্ট কাপড় দিয়ে বড়দি’র হাতে বানানো জামা- হাফপ্যান্ট পরে স্কুলে যেতাম। পায়ের স্যান্ডেলও ছিল না।
চলবে…
জীবনের কথা গুলো তুলে আনতে গিয়ে আপনি যে অসম্ভব এবং প্রখর স্মৃতির পরিচয় দিচ্ছেন সেটা পড়লেই বোঝা যায়। অসংখ্য বিষয়াদি একেবারে বিশদ আলোচনা করেছেন। আমি বিশ্বাস করি আপনার প্রয়াস শুধু শব্দ-সম্পত্তি নয়; সম্পদ হয়ে থাকবে। শুভেচ্ছা মি. নিতাই বাবু। ভালো থাকবেন দোয়া রাখি।
আমার দুই নাতিন ও এক নাতির জন্য লিখে রাখছি, শ্রদ্ধেয় দাদা। ওরা বড় হয়ে পড়তে পারবে, জানতেও পারবে।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
আবারও পড়লাম নিতাই দা অনেক শুভেচছা রইল
সাথে আছেন দেখে ভালো লাগছে, দাদা। আশা করি সাথেই থাকবেন। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি লিটন দাদা।
চমৎকার ভাবনায় সৃজনশীল লেখা ।
সাথে আছে দেখে ভালো লাগছে, দাদা। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।