জীবনের গল্প-১৩-এর শেষাংশ: দুইদিন পর থেকে কাজ জয়েন্ট করবো বলে, অফিস থেকে বের হলাম। নিচে এসে সব তাঁতিদের সাথে দেখা করে মিল থেকে বের হওয়ার সময় মিস্ত্রি আমার হাতে ২০০/= টাকা দিয়ে বললো, এটা আজকের কাজের মজুরি। ২০০/= টাকা থেকে কানাইকে ১০০/= টাকা দিয়ে মিল থেকে বের হয়ে বাসায় চলে গেলাম।
বাসায় গিয়ে বড় দাদাকে সবকিছু জানালাম। বড়দাদা খুশি হলেন। মাও খুশি হলেন। পরদিন সকালে ফাইন টেক্সটাইল মিলে গিয়ে কানাইকে নিয়ে কাজ করলাম। কাজ সেরে বড় দাদাকে সাথে নিয়ে ম্যানেজার সাহেবকে জানিয়ে দিলাম, আমি ফরিদপুর যাওয়ার পর যেই লোক কাজ করেছিলো; আগামীকাল থেকে ফতুল্লার ঐ লোকই এখানে কাজ করবে। জানানোর পর ম্যানেজার সাহেব রাগ করিনি। রাগ না করার কারণও ছিলো, কারণ হলো, ফাইন টেক্সটাইল মিলের কাজ হলো চুক্তিতে। ভীম প্রতি ৭০ টাকা। এতে প্রতিমাসে আমি ২০০০/= টাকার বেশি রোজগার করতে পারতাম না। আর এখন যেখানে যাচ্ছি সেখানে বেতনভুক্ত। কাজ হোক আর না হোক, মাস শেষে আমার মূল বেতন হতে আসবেই। ম্যানেজার সাহেব আমার বেতন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, বেতন কত? বললাম, ‘বেশি না স্যার, মাত্র ৬০০০/= টাকা। তা শুনে ম্যানেজার সাহেব খুব খুশি হলেন।
এরপর ফতুল্লা গেলাম, কথা বলে রাখা ওই লোককে খুঁজতে। তাঁকে খুঁজে বের করে আগামীকাল সকাল থেকেই ফাইন টেক্সটাইল মিলে কাজ করার জন্য বললাম। তিনি তাতে রাজি হলেন, খুশিও হলেন। আমরা দুইজন বাসায় রওনা দিলাম। বাসায় যাওয়ার পথেই কানাইর সাথেও ওঁর বেতন নিয়ে ফয়সালা করে ফেললাম। কানাইকে প্রতিমাসে ১৫০০/= টাকা দিতে হবে। ও অবশ্য ২০০০/= টাকা চেয়েছিল। কিন্তু আমি ওঁর সারাদিনের টুকটাক খরচ আমার উপর নিয়ে ওঁকে ১৫০০/= টাকায়ই রাজি করলাম। কনাইরও এটা ছিলো প্রথম বেতনভুক্ত চাকরি। তাই আর ও বেশি মন খারাপ করেনি বরং খুশিই হয়েছিলো। এর পরদিন থেকেই ওয়েল টেক্সে কাজ করা শুরু করি। দুইদিন পরই মিলের দুইজন অপরিচিত শ্রমিক আমাকে ডেকে নিয়ে গেলো মিলের বাইরে। মিলের বাইরে গিয়ে এক চায়ের দোকানে আমাকে বসতে দিলেন, তাঁরাও বসলেন। তাঁদের একজনের নাম, মোহাম্মদ হাসেম মিয়া। আরেকজনের নাম, নূরমোহাম্মদ।
আমি মনে মনে ভাবছি, তাঁরা কি আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করবে নাকি! কিন্তু না, তাঁরা আমাকে বললো, ‘আপনি এখানে এসে সব শ্রমিকদের বাঁচালেন। এতে আমরা খুবই খুশি! তবে দাদা একটা কথা ছিলো–যদি কারোর কাছে না বলেন, তাহলে আপনাকে খুলে বলতে পারি!’ তাঁদের কতা শুনে আমি বললাম, ‘বলুন, কী বলতে চান?’ আমার কথায় তাঁরা হাসলে! বললে, ‘আমরা একটা কাজ করতে যাচ্ছি, আশা করি আমাদের সাথে থাকবে।’ জিজ্ঞেস করলাম, ‘তা এমন কী কাজ যে, আপনারা আমার সহযোগিতা চাচ্ছে?’ বললেন, ‘আমরা অলরেডি মিলে শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করে ফেলেছি! তার কাগজপত্র দুইএক দিনের মধ্যে হতে আসলেই, আমরা মিল গেইটে সাইনবোর্ড টাঙাবো। এখন খরচ বাবদ আপনাকে সবার সমতুল্য পরিমাণ চাঁদা দিতে হবে।’ তাঁদের কথা শুনে আমি ভেতরে ভেতরে খুবই খুশি হলাম! তারপর জিজ্ঞেস করলাম, ‘চাঁদা কত?’ বললো, ‘বেশি না দাদা, মাত্র ৭০০/=টাকা।’ আমি বললাম, ‘আমিতো কেবমাত্র মিলে জয়েন করলাম দাদা। ৭০০/= টাকা নিতে হবে আমার বেতন হলে।’ আমার কথায় তাঁরা দুইজন খুশি হয়ে বললো, ‘আচ্ছা দাদা, তা আপনি বেতন হলেই দিবেন; কিন্তু এব্যাপারে কারোর সাথে কিছু বলবেন না। যদি বলেন, তাহলে হয়তো এক কান, দুই কান হতে হতে মালিকের কানে চলে যেতে পারে। তাতে আমাদের সকলের সমস্যা হতে পারে!’ এই বলেই চা দোকান থেকে উঠে মিলে গিয়ে কাজ করলাম।
মিলের কাজ সেরে সারাদিন পর বাসায় গেলাম। মিলের ইউনিয়নের ব্যাপারে বড় দাদার সাথে আলাপ করলাম। আমার কথা শুনে আমার বড়দাদা খুশি হলেন! এর কয়েকদিন পরই মিলের গেইটে বড় একটা সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হলো। সাইনবোর্ডে বড় অক্ষরে লেখা, ওয়েল টেক্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন তা দেখে মিল মালিক নিয়াজ সাহেবের মাথা নষ্ট হলেও, মিলের শ্রমিকদের হইহুল্লোড় আনন্দ-ফুর্তি শুরু হয়ে হলো। মিল মালিক নিরুপায় হয়ে একসময় শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া মেনেও নিলো। মিলের সব শ্রমিকদের চাকরিও পাকাপোক্ত হলো। একসময় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ঘন্টা বেজে উঠলে, ফাইন টেক্সটাইল মিল থেকে ঐ কালাম একদিন আমার সাথে দেখা করতে ওয়েল টেক্সে আসে। কালাম এসে এই ঈদে ওঁদের বাড়ি বেড়াতে যেতে অনুরোধ করলো। আমি ঈদের ছুটিতে ওঁদের বাড়িতে যাবো বলে কালামকে কথাও দিলাম। কালাম খুব খুশি হয়ে বাড়ি চলে গেলো।
এর দুইদিন পরই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। এর আগেই কানাইকে বলে রেখেছিলাম, ঈদের দিন সকলেই সেজেগুজে ওঁদের বাসা থেকে আমার বাসায় চলে আসতে। কানাই আমার কথার বরখেলাপ করলো না, ঈদের দিন সকালে ঠিক সময়ে কানাই আমার চলে আসলো। আমি মায়ের কাছে বলে-কয়ে কানাইকে সাথে নিয়ে সুবচনীর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। মিনিবাসে চড়ে গেলাম ফতুল্লা। নামলাম ফতুল্লা লঞ্চঘাটের সামনেই। লঞ্চঘাটের টোল দিলাম জনপ্রতি আট আনা করে দুইজনের ১টাকা। বালিগাঁওর লঞ্চ ফতুল্লা ঘাটেই যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলো। তাড়াতাড়ি লঞ্চে উঠে দুইজন উপরেই দাঁড়ালাম। লঞ্চ ছাড়লো। ফতুল্লা থেকে সুবচনী যেতে কয়েকটি ঘটে যাত্রী ওঠানামা করে। ফতুল্লার পর বক্তবলী। এরপর কাঠপট্টি, বেতকা, তালতলা, সুবচনী। সবশেষে বালিগাঁও। কালাম এর আগের বার যাওয়ার সময়টা ঠিক রেখে সময়মতো লঞ্চঘাটে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। লাঞ্চ সুবচনী ঘাটে ভিড়ানোর পর আমারা লঞ্চ থেকেই দেখি কালাম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লঞ্চের যাত্রীদের দিকে তাকাচ্ছে। আমরা লঞ্চ থেকেই কালামকে হাতে ইশারা দিয়ে সুবচনী ঘাটে নামলাম। লঞ্চ থেকে নেমেই আমি কানাইর হাতে ৩০০/= টাকা দিয়ে বাজারের ভেতরে পাঠালাম, পান-সুপারি-সহ কিছু মিষ্টি ও কিছু ফলফলাদির জন্য। আমি আর কালাম একটা চা দোকানে ঢুকলাম, চা-বিস্কুট খাওয়ার জন্য। তখন দুপুর পেরিয়ে বিকাল হতে চলছিল। কানাই আমার কথামতো সবকিছু ঠিকঠাক মতো কেনাকাটা করে চায়ের দোকানে আসলো। চা-বিস্কুটের দাম দিয়ে দোকান থেকে বের হয়ে কালামদের নিজেদের নৌকায় গিয়ে উঠলাম। নৌকার মাঝি সেজেছে কালাম নিজেই। নৌকা চলছে হেলেদুলে।
বর্ষাকালে সুবচনীর খালটা ঠিক নদীর মতো দেখা যায়। সেসময় খালে খুব স্রোত থাকে। সুবচনীর খানটা যখন পাড় হচ্ছিলাম, আমার তখন ভয়ে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। আমার মনের ভয়টা টের পেয়েছে আমার বন্ধু কানাই। কানাই আমাকে শক্ত করে ধরে বসল। তবু আমার ভেতর থেকে ভয় যাচ্ছিল না। খাল পাড় হয়ে নৌকা যখন ফসলি জমির ওপর দিয়ে ছুটলো, তখনই আমার মন থেকে কিছুটা ভয় দূর হলো। নৌকা চলছে, আর আমি নৌকা থেকে আশে-পাশে থাকা গ্রামের ঘরবাড়িগুলো দেখছিলাম, মন ভরে। নৌকা থেকে পানির নিচের দিকে চেয়ে দেখি, বর্ষার স্বচ্ছ পরিস্কার পানির ওপর থেকে জমির নিচ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। পানির নিচে কতরকমের উদ্ভিদ ঢেউয়ের সাথে হেলে-দুলে নাচছে। নৌকা চলছে, কথাও চলছে কালামের সাথে। আমি নৌকার কার্নিশে বসে পানির সাথে জলকেলি খেলা খেলছি। কখনও আবার ভেসে থাকা জাতীয় ফুল শাপলা টেনে তুলছি। এভাবে নৌকা চলতে-চলতে একসময় আমরা কালামদের বাড়ির সামনে চলে আসলাম।
বাড়ির ঘাটে নৌকা ভেড়ার আগেই কালাম বলছে, ‘এসে গেছি ওস্তাদ! কালামের কথা শুনে ঘাড় উঁচু করে তাকিয়ে দেখি, এ কী কাণ্ড! এখানে এত মানুষ কেন? আমি কালামকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কালাম, বাড়ির ঘাটে এত মানুষ কেন?’ কালাম বলল, ‘ওস্তাদ, আপনারা নারায়ণগঞ্জের মানুষ। আবার হলেন আমার ওস্তাদ! তাই এতো মানুষ! এর আগে আমাদের বাড়ি এসেই তো সবার মন জোগাড় করে ফেলেছেন। আপনারা আসবেন, তা আমি নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি এসেই গ্রামের সবাইর কাছে বলেছিলাম। আবার আজ নৌকা নিয়ে বাড়ি থেকে সুবচনী যাওয়ার সময়ও বাড়ির সবার কাছে বলে গিয়েছিলাম। তাই পাশের বাড়ির পোলাপানও ঘাটে অপেক্ষায় আছে। নামেন নামেন ওস্তাদ!’ ১০/১২ জন ছেলে-বুড়ে দেখে নিজের কাছে কেমন যেন শরম-শরম লাগছিল আমার। তবু নির্লজ্জের মতোই কানাই আর আমি নৌকা থেকে নেমে পাড়ে ওঠলাম। নৌকা থেকে নামার সময় মিষ্টি আর ফলগুলো কালাম হাতে নিয়ে নিল। সেদিন কালামদের ঘরটা আগে থেকেই পরি-পাটি করে রাখা হয়েছিল। ঘরে গিয়ে বসার সাথে সাথে সামনে দিল দুই গ্লাস সরবত। সাথে আমাদের নেওয়া কিছু মিষ্টিও দিলো। কানাই আর আমি খেলাম। কালামের মা বড় ভাবীর সাথে কথা বললাম। কালামদের ঘর থেকে বের হলাম। সামনেই ঠাকুরবাড়ির বিশাল পুকুর। আমার উদ্দেশ্য হলো ঘাটে গিয়ে কিছুক্ষণ বসবো।
কালামদের নয়াবাড়ি গ্রামটি দেখতে ঠিক সেন্টমার্টিনের একটা দ্বীপের মতো। আয়তনে বেশি একটা বড় না হলেও জনসংখ্যার দিক দিয়ে কম নয়। পুরো গ্রামটির মাঝখানেই ঠাকুরবাড়ির এই বিশাল পুকুরটি। প্রতিদিন সকাল-বিকাল পুরো গ্রামের লোক এই পুকুর ঘাটলায় বসে আড্ড দেয়। খেলা-ধুলাও চলে। কেউ লুডু। কেউ ষোলগুটি। কেউ তাসখেলা।আমরা পুকুর ঘাটে আসার সময় কালামের বড়ভাই সালামও আমাদের সাথে ছিল। তখন ঘাটলায় চলছিল গ্রামের ছেলে-বুড়োদের আড্ডা। বর্ষাকাল, গ্রামের মানুষের কাজকর্ম নেই, তাই সময় কাটানোর আড্ডা। আমাদের দেখেই সবাই তাকিয়ে আছে। দুই-একজন লোক আবার হাতের তাস রেখে দিয়ে ওঠে দাঁড়াল। সিঁড়ি ঘাটলায় যাদের দেখতে মুরুব্বির মতো, তাদের নমস্কার জানালাম। যাঁরা এর আগের বার আমাদের দেখেনি, তাঁদের মধ্যে একজন লোক কালামের বড় ভাইকে জিজ্ঞাসা করল, ‘ওরা কারা? বাড়ি কোথায়? কী করে?’ আরও অনেক কিছুই জিজ্ঞাসা করলো। কালামের বড়ভাই, মুরুব্বিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলল, ‘এরা একজন আমার ছোট ভাই কালামের ওস্তাদ, আরেকজন বন্ধু। কালাম যেই মিলে কাজ করে, সেই মিলের ওস্তাদ। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। ঈদের বন্ধ পেয়ে আমাদের বাড়ি এসেছে বেড়াতে।’ কালামের বড় ভাইয়ের কথা শুনে মুরুব্বি দুইজন হ্যাণ্ডশেক করলো। সিঁড়ি ঘাটলায় বসতে বললো। আমরা দুইজন বসলাম।
আমি ঘাটে বসেই সত্যগুরুর বাড়িটির দিকেই বেশি ফলো করছিলাম। কারণ, বাড়িটি দেখতে খুবই সুন্দর ছিল, তাই। আগের দিনের তৈরি বাড়ি, সাথে তিন চারটা ঘর। আবার বাড়ির ভেতরে একটা বড় ঠাকুরঘ। পুকুরের শানবাঁধানো ঘাটলা! বাড়ির চারদিকে গাছগাছালি ভরা। আমরা ঘাটে বসা থাকতেই ওই বাড়ি থেকে দুটি মেয়ে আসলো। ওদের দেখে আমার ধারণা হয়েছিল, ওরা দুই বোন। ধারণা সঠিক কি না, তা যাচাইয়ের জন্য কানাইকে বললাম, ‘কানাই, মেয়ে দুইটি কে? তুই সালাম ভাইয়ের কাছ থেকে একটু জেনে নে।’ কালাম তখন ঘাটলায় ছিলো না। কালাম গেছে আবার সুবচনী বাজারে। আমাদের সাথে বসা আছে কালামের বড়ভাই সালামা মিয়া। আমার কথায় কানাই সালাম ভাইকে ডেকে নিয়ে গেল একটু আড়ালে। কিছুক্ষণ পর কানাই আমার কাছে এলো।
আমি কানাইকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কিরে কানাই, সালাম ভাই কী বললো?’ আমার কথার উত্তরে কানাই বললো, ‘সালাম দাদা বললো, ‘তোকে এই গ্রামেই বিয়ে করাবে, বুজলি।’ আমি বললাম, ‘বলে কী? তো মেয়ে কোথায়? মেয়ে দেখাতে বল! যদি আমার পছন্দ হয় তবে বিয়ে করতেও পারি! আমার মায়ের খুবই কষ্ট হচ্ছে রে কানাই। বিয়েটা তাড়াতাড়িই করতে হবে।’ কানাই আমার কথার জবাবে বললো, ‘মেয়ে তো কয়েকবারই এখানে বসে বসে দেখেছিস। এবার বল, পছন্দ হয়েছে কিনা?’ আমি কানাইর কথায় অবাক হয়নি! কেন হয় নি? সত্যিই তো, মেয়েতো কয়েকবারই দেখেছি। কিন্তু ভালো করে তো দেখতে পারলাম না। আচ্ছা আবার আসুক! মনে মনে এই বলেই বেশ কিছুক্ষণ ঘাটে বসে থাকতাম, আবার দেখার আশায়। এরমধ্যেই কালাম বাজার থেকে এসে হাজির হল। কালাম পুকুর ঘাটে এসেই বললো, ‘ওস্তাদ বাড়ি চলেন খাবেন!’ কালামকে খুবই ব্যস্ত দেখা যাচ্ছিল!
চলবে…
স্মৃতি ভারে ভাস্বর প্রতিটি এপিসোড। অসম্ভব স্মৃতি মেধায় ঘটনার বিবরণী যেভাবে উঠে এসেছে তাতে মনে হয়েছে … এই তো সেদিনেরই কথা। সব যেন জীবন্ত।
আমার কাছেও মনে হয় সে-দিনেরই কথা। জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোতে ফিরে তাকালেই এরকম মনে হয়, শ্রদ্ধেয় দাদা। সুন্দর মন্তব্যে জন্য শুভকামনা থাকলো।
ধন্যবাদ আপনাকে share করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, দাদা।
আবারও পড়লাম প্রিয় নিতাই দা
পড়েছেন শুনে খুবই খুশি হলাম শ্রদ্ধেয় দাদা। শুভকামনা থাকলো।
আমি বিস্মিত হচ্ছি আপনার জীবনের অধ্যায় গুলো পড়ে। আজকেও অফলাইনে কয়েকটি পর্ব পড়েছি। বুক চেড়া দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এসেছে কখনও কখনও। ভাল থাকুন দাদা
আমার জীবনের গল্প আপনি পড়েছেন বলেই আমার লেখা স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করি। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি দিদি।