রাজধানীর এক পুলিশ চেকপোস্টে ভিপিএন, প্রক্সি ও সার্ভারকে আটক করা হয়েছে। মোটর সাইকেলে পুলিশ বক্স অতিক্রম করার সময়ে তাদের আটক করা হয়।
ভিপিএন, প্রক্সি আর সার্ভারকে মোটর সাইকেলসহ আটকের সংবাদে দেশের সকল মিডিয়া চেকপোস্টে হাজির হয়েছে। পুলিশের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিশ্বজয়ের ভাব নিয়ে ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন।
একজন হাবিলদার একটা তথ্য জানাতে বহু কষ্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলার সুযোগ পেলেন-
: স্যার, আমরা যে ভিপিএন, প্রক্সি আর সার্ভারকে আটক করেছি তারা বলছে..
: তোমাদের অভিনন্দন, তাদের কোন কথা শুনবেনা। যা বলার রিমান্ডে বলবে। এখন শক্ত করে বেঁধে রাখ।
: কিন্তু স্যার, তারা বলছে যে-
: তারা কি বলছে যে তারা ভিপিএন, প্রক্সি, সার্ভার নয়। তারা আসলে ফেসবুক, গুগোল আর হোয়াটসএপ!
: না, স্যার, তারা বলছে যে তাদের নাম..
: তাদের নাম? ভাইবার, ম্যাসেঞ্জার আর ইউটিউব!
: না, স্যার, তারা বলেছে তাদের নাম ভূপেন পোদ্দার, রক্সি গোমেজ আর সারোয়ার হোসেন। সার্জেন্ট স্যার ভূপেনকে ভিপিএন, রক্সিকে প্রক্সি আর সারোয়ারকে সার্ভার সন্দেহে আটক করেছেন।
: ধ্যাত, বলিস কি! ভূপেন? মানে সংখ্যালঘু, রক্সি গোমেজ? সেও সংখ্যালঘু! হারামাজাদারা করেছিস কি! সারোয়ার অবশ্য সংখ্যাগুরু, দাড়ি থাকলে জঙ্গী বলে চালিয়ে দেয়া যাবে।
: জ্বী স্যার, কিন্তু বাকী দুজনকে নিয়ে একটা কিছু ভাবুন..
: তারা সংখ্যালঘু – এটা ভালো করে চেক করেছিস?
: স্যার, আমি তাদের প্যান্ট খুলে চেক করেছি। কিন্তু সার্জেন্ট স্যার ভালো করে হাতিয়ে হাতিয়ে দেখে বললেন প্লাস্টিক সার্জারী করে ছোটকালে ফেলে দেয়া অংশ জোড়া লাগিয়েছে, তারা আসলে আইএস এজেন্ট।
: তবে, তিনজনকে সরাসরি আমার রুমে নিয়ে আয়, চেক করে দেখি, আহা কতদিন আয়েশ করে ঐসব হাতাই না.. নস্টালজিক.. নস্টালজিক..
আধাঘন্টা পরে টিভি মিডিয়া আর অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিউজ হল-
‘ব্রেকিং: প্রক্সি, সার্ভার ভিপিএন আটক: রুদ্ধদ্বার কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন মন্ত্রী।’
অদ্ভুতুরে এক সমাজে আমাদের সহবাস।
সবাই সামনের দিকে হাঁটে। আর আমাদের পা ভূতের মত উলটো, সামনের দিকে পা বাড়ালে পিছনের দিকে চলে যাই।
অসাধারণ প্রকাশ।
অনন্য প্রকাশ
ভালো লিখন।
* বেশ চমৎকার…