লোডশেডিং। ভীষন গরম। মাঝরাতে ছাদে গিয়ে বসেছি। হঠাৎ আমার সামনে এসে দাড়াল লম্বা এক ভুত।
ভুত: ভুঁতেঁ বিঁশ্বাঁস কঁরেঁনঁ?
আমি: না, একটুও বিশ্বাস করিনা।
ভুত: ভুঁতঁকে ভঁয় পাঁন?
আমি: ভয় পাই মানে!! অবশ্যই পাই। তোমাকে দেখে ভয়ে সারা শরীর কাঁপছে।
ভুত: হিঁহিঁহিঁহিঁহিঁহিঁহিঁহিঁহিঁহিঁহিঁহিঁ ভুঁতে বিঁশ্বাঁস কঁরেঁন নাঁ অঁথঁচ ভূঁতকেঁ ভঁয় পাঁন হিঁহিঁহিঁহিঁহিঁহিঁহিঁহিঁ….
আমি: এ্যাই তুমি এই এলাকার এমপি-কে বিশ্বাস কর?
ভুত: মাঁথাঁ খাঁরাঁপ!! নাঁ, তাঁকেঁ এঁকটু্ঁও বিঁশ্বাঁস কঁরিঁনা।
আমি: এমপি-কে ভয় পাও?
ভুত: ভঁয় পাঁই মাঁনে। অবঁশ্যঁই পাঁই। উঁনাঁর কঁথা শুঁনেই সাঁরা শঁরীঁর ভঁয়ে কাঁপঁছে।
আমি: হা..হা…হা…হা..হা…হা…এমপি-কে বিশ্বাস করনা অথচ এমপি-কে ভয় পাও..হা..হা…হা…হা..হা…হা…
ভুত: আঁপনি আঁমাঁকে এমপি-এঁর সাঁথে তুঁলঁনা কঁরঁতে পাঁরঁলেঁন!!! আঁমাঁর মঁতন নিঁরীঁহ এঁকটা মাঁমঁদো ভুঁতকে এঁকা পেঁয়ে এঁভাবে অঁপমাঁন কঁরতে পাঁরলেঁন!!!! আঁপনি আঁমাঁর মাঁথা পুঁরো হেঁট কঁরে দিঁলেঁন…হেঁট মাঁথা আঁমি আঁর ঘাঁড়ের উঁপর রাঁখবো নাঁ…আঁপনি আঁমাঁর মাঁথা পুঁরো হেঁট কঁরে দিঁলেঁন…হেঁট মাঁথা আঁমি আঁর ঘাঁড়ের উঁপর রাঁখবো নাঁ…হেঁট মাঁথা আঁমি আঁর ঘাঁড়ের উঁপর রাঁখবো নাঁ…
এই কথা বলতে বলতে ভুতটা নিজের মাথা খুলে পায়ের গোড়ালীর সাথে আটঁকে হাঁটতে হাঁটতে ছাদের কার্নিশ থেকে লাফ দিল। তখনও গোড়ালীর কাছে আটকে থাকা মাথাটা খুব করুণ সুরে বলছিল ‘আঁপনি আঁমাঁর মাঁথা পুঁরো হেঁট কঁরে দিঁলেঁন…হেঁট মাঁথা আঁমি আঁর ঘাঁড়ের উঁপর রাঁখবো নাঁ…আঁপনি আঁমাঁর মাঁথা পুঁরো হেঁট কঁরে দিঁলেঁন…হেঁট মাঁথা আঁমি আঁর ঘাঁড়ের উঁপর রাঁখবো নাঁ…হেঁট মাঁথা আঁমি আঁর ঘাঁড়ের উঁপর রাঁখবো নাঁ…হেঁট মাঁথা আঁমি আঁর ঘাঁড়ের উঁপর রাঁখবো নাঁ…
তাহলে ভুতেরও অপমান বোধ আছে আর যার কথা শুনে ভুত ভয় পেয়েছে তার তা আছে কি না ভাববার বিষয়।