রাতের খোলস থেকে কিভাবে বের হয় একটা সতেজ ভোর! জানালা দিয়ে ঝিরিঝিরি বাতাস। ফজরের আজানে মোয়াজ্জিনের কণ্ঠে এত সুর কোথা থেকে আসে! ডাক্তার কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ দিয়েছেন। খেলে কিছুটা সময়ের জন্য ঘুম আসে, তারপর কেমন এক অস্বস্তি আকড়ে ধরে। না ঘুম, না তন্দ্রা, না জাগরণ। কোনো ভুডু ওঝা যেন মন্ত্র পড়ে আমাকে জীবন্মৃত করে রেখেছে। তবু বাতাসের ঝিরিঝিরি শব্দ পাই, নরম শীতলতা পাই, রাতের কলি হতে একটা নতুন সকাল ফুটে ওঠার আভাস পাই, ঘোর অথবা জাগরণে ঘাস ও মাটির সোদা গন্ধ মিশানো সকালের দৃশ্যকল্প দেখি।
কোন এক কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে উপমা আমাকে দশটা গাঢ় লাল গোলাপ দিয়েছিল। বিন্দু বিন্দু শিশিরকণায় পাপড়িগুলো সিক্ত ছিল। সেই কবেকার কথা! বাস্তবিকই আমি তখন গোলাপের অর্থ বুঝতাম না। উপমা এখন নামজাদা আল্ট্রাসনোলোজিস্ট। আচ্ছা, গোলাপের কি আল্ট্রাসনোগ্রাফ করা যায়! মানুষের মত মৃত্যুর আগে কি প্রতিটা গোলাপ অন্তত একবার বেঁচে ওঠে! বাঁচার মত ক্ষণিকের জন্য বেঁচে ওঠা।
জীবনের ইতিকথা।
অসাধারণ।
সুন্দর অণুগল্প।
হয়তো তাই হরবোলা আবু সাঈদ আহমেদ ভাই।
মানুষের মত মৃত্যুর আগে কি প্রতিটা গোলাপ অন্তত একবার বেঁচে ওঠে! বাঁচার মত ক্ষণিকের জন্য বেঁচে ওঠা।


অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় দাদা।
বাঁচার মত ক্ষণিকের জন্য বেঁচে ওঠার নামই জীবন!…
সালাম ও শ্রদ্ধাজানিবেন স্যার।