: চেরমেন, বেনার আনিছি। মিছিলের জন্যি রেডী হও।
: মেম্বর, বেনার কে লিখিছে?
: কে লিখিবে! ডিজিটাল বেনার বানিয়িছি। ৪০ টেকা ইসকুয়ার ফুট।
: কামের কাম করিছো। বেনারে লিখিছো কি?
: সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেংগে দাও, গুড়িয়ে দাও।
: মেম্বর, আমার ছবি দিয়িছো?
: কি যে কও! চেরম্যানের ছবি ছাড়া বেনারের দাম আছে নাকি!
: মিছিলের লোক আনিছো? কতজন আনিছো!
: দশ বারো জন। তারা ফজুর দোকানে বসি বসি বিনি পয়সায় চা গিলছি, বিড়ি টানছি। আর কয়জন আসিবি কে জানে!
: দশ বারো জন নিয়ি মিছিল করিবা! মান ইজ্জত থাকিবি?
: চেরমেন, কি করিবো কও। হারুণ মাস্টররে ছাত্রদের লয়ি আসতি কয়ছিলাম।
: মাস্টরে আসবি না!
: মাস্টরে কয় আমরা দুজন নাকি সন্ত্রাসীগো পালের গোদা, শামীম উসমান। আমাদের ঢংয়ের মিছিলে সে লুংগী তুলি মুতি দেয়। ভাবিতি পারো! তার কত বাড় বাড়িছে।
: মেম্বর, এক কাজ করো দেখিনি, তাজুলরে কও গোপুনে হারুণ মাস্টরের বাড়িতে চাইরটা ককটেল মারিতে, আর ফজুর দোকানের পিছনের দেয়ালে দুইটা…
: কী কও চেরমেন! লোকে সন্দেহ করবি যে!
: ধুত্তরী মেম্বর, লোকে সন্দেহ করবি কেন! ককটেল মারিবার সমুয় তুমি আর আমি ফজার দোকানে চা গিলিতে থাকিবো যে।
: এহন ককটেল পাবো কিবাই?
: তোমার ছাওয়ালের কাছে আছে, আমার ছাওয়ালের কাছেও আছে। কার থিকা নিবা সিটা তোমার বিবেচনা, বুঝিছো!
: চেরমেন, হারুণ মাস্টররে সই করি একটা মারিতে কবো না কী!
: মেম্বর, তুমিতো দেখি চেরমেনী চাল চালিতি চাচ্ছো!
বিকালের মিছিল সন্ধ্যা মিলাবার আগে বের হলো। চেয়ারম্যান নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মেম্বর আর এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা চেয়ারম্যানের দুপাশে ব্যানার ধরে দৃপ্ত পদে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশাল মিছিল। লোকে লোকারণ্য। মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে শত শত কন্ঠে শ্লোগান ধ্বনিত হচ্ছে- সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেংগে দাও গুড়িয়ে দাও, সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেংগে দাও গুড়িয়ে দাও, হারুণ মাস্টরের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না, হারুণ মাস্টর মরলো কেন সন্ত্রাসীরা জবাব দে।
দারুন।
দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।
হাই হ্যালো।
এ শুধু একজন চেরমেন আর একটি বেনারের গল্প নয়।
আপনার ভালো হোক।
অসাধারণ।
গল্পটা অসাধারণ।
বাস্তব চিত্র!
বাস্তবেও তাই নেতাদের নেতৃত্বই হয়
* অসাধারণ….
মুগ্ধ পাঠ।
রাজনীতির খুব চেনা একটি সত্য ছবি।
পড়লাম।
অসাধারণ অণুগল্প পড়লাম। আপনার হাতে যেমনটা বরাবরই পড়ি।
একদম ঠিক আছে দাদা। বর্তমান অবস্থা এমনই চলতাছে দেখতেছি।