শ্রদ্ধার আস্তর ও ভক্তির চুনকাম করেও দেবতুল্য ভাবমূর্তি আর রক্ষা করা যাচ্ছেনা…
গত চার দশকে আমাদের নমস্য বুদ্ধিজীবীরা যে তৈল মর্দন ভিত্তিক বুদ্ধিজীবীতা প্রতিষ্ঠা করেছেন, অনেক ভালো কাজ করেছেন বলে চামচাকে চামচা বলো না, লুচ্চাকে লুইচ্চা বলো না- ঘারাণার শ্রদ্ধার চর্চা ছড়িয়ে দিয়েছেন, বুদ্ধিজীবীতার দোকান খুলেছেন বলে তার অযৌক্তিক ও অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবেনা কেন্দ্রিক সভ্য আচরণের দীক্ষা দিয়েছেন, দেশ জাতির প্রতিটা ন্যায় সংগত দাবির আন্দোলনের সময়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার নয়তো বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার পাঠ শিখিয়েছেন, প্রজন্মকে আত্নকেন্দ্রিক করে গড়ে তুলেছেন, বহুমূখী বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন, এইসব বুদ্ধিজীবীদের রমরমা বাণিজ্যে ধ্বস নেমেছে।
এইসব বুদ্ধিজীবী এবং এদের তল্পিবাহকদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সাধারণ মানুষটিও আজ স্পষ্ট অবস্থান নিচ্ছেন, নিজের বক্তব্য জানাচ্ছেন। অনেকেই তথ্য আর যুক্তি দিয়ে নির্মোহ বিশ্লেষণ করছেন। ফলে ভক্তিতে গদগদ সাম্রাজ্যে ফাটল ধরেছে। এতোদিন আলোর কারবার করে আসা বুদ্ধিজীবীদের অন্ধকার দিকটিও প্রবলভাবে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। শ্রদ্ধার আস্তর ও ভক্তির চুনকাম করেও দেবতুল্য ভাবমূর্তি আর রক্ষা করা যাচ্ছেনা।
এসব ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়েই গড়ে উঠছে দেশের নতুন বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজ। এই নতুন বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজ প্রশ্ন তুলতে জানে, জনতার ন্যায়সংগত দাবির পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো ছলচাতুরী ছাড়াই স্পষ্ট অবস্থান নিতে পারে। এরা যৌক্তিক আলোচনায় যুক্তি দিয়ে প্রমিত বাংলায় কথা বলতে পারে, অযৌক্তিক আবেগ আর চামচামির জবাবে সহি বাংলা গালি সম্ভার হতে যথাযথ গালিগালাজাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে। এসব গালিও বাংলা ভাষার সম্পদ ও সম্পত্তি, যথাস্থানে প্রয়োগযোগ্য বিশেষণ।
বুদ্ধিজীবীরা ব্যক্তিগত জীবনে যতই গালিবান্ধব হন না কেনো, তাদের পরম যত্নে গড়া বুদ্ধিজীবীতার কাঁচের ঘরে গালিগালাজ ছিলো অচ্ছুৎ, ছোটোলোকি আচরণ। আশার কথা এই যে, বাবুগিরির সীমানা ভেঙে সাধারণ মানুষ, নতুন বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজ এখন প্রমিত বাংলার মত অপ্রমিত বাংলা বলতে শিখছে। তারা এখন অনায়াসে ভালো কে ভালো, আলোকে আলো, চামচাকে শুয়ার আর বোকাচোদাকে বোকাচোদা বলতে পারে।
গত চার দশকে আমাদের নমস্য বুদ্ধিজীবীরা যে তৈল মর্দন ভিত্তিক বুদ্ধিজীবীতা প্রতিষ্ঠা করেছেন সেই নাগপাঁশ থেকে জাতি তার স্বকীয়তায় কেবল মাত্র মাশুলই দিতে থাকবে আজীবন।
মতামতে ধন্যবাদ কবি সুমন ভাই।
শ্রদ্ধার আস্তর ও ভক্তির চুনকাম করেও দেবতুল্য ভাবমূর্তি আর রক্ষা করা যাবেও না।
শুভেচ্ছা মুরুব্বী আজাদ ভাই।
নতুন বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজ প্রশ্ন তুলতে জানে। এরা যৌক্তিক আলোচনায় যুক্তি দিয়ে প্রমিত বাংলায় কথা বলতে পারে, সহি বাংলা গালি সম্ভার হতে যথাযথ গালিগালাজাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে। এসব গালিও বাংলা ভাষার সম্পদ ও সম্পত্তি, যথাস্থানে প্রয়োগযোগ্য বিশেষণ।
দারুণ মন্তব্য কবি রিয়া রিয়া।
ওরা দেশপ্রেমের কথা বলে দেশ বিক্রয় করে, ওরা ভালোবাসার কথা বলে ঘৃণা বিতরণ করে, ওরা আইনের কথা বলে বেআইনি কাজ করে! ওরা পাপিষ্ঠ।
ঠিক বলছেন কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী ভাই।
পড়লাম।
ভালো করেছেন কবি শাকিলা তুবা।