আহত ঐতিহ্যের নদী-১০

সূর্যের প্রথম প্রহরে
আকাশে ঈশ্বরের ছায়া পরে
কোমল ছায়ায় বৃক্ষের সবুজেরা
দোলায়িত হতে থাকে, ঈশ্বরের উপস্থিতি

জ্ঞাত উপাসক মানুষেরা
নিজেদের অতৃপ্তির তালিকা জোর গলায়
পেশ করতে থাকলে, ছায়াধারী ঈশ্বর খানিকটা
অপ্রস্তুত বা বিরক্তি নিয়ে
সমাহিত শান্ত আদল ছেড়ে আড়ালে যান

আড়াল থেকে সূর্যের রূপান্তরিত রূপে নিজকে মিলিয়ে নিয়ে
পরিপূর্ণ সকাল থেকে গনগনে দুপুর, পেলব বিকেল পেরিয়ে
গোধূলি সন্ধ্যা মাড়িয়ে রাতের আঁধারে নিজেকে বিলুপ্ত করেন

নিজস্ব আঁধারে নিজের অক্ষমতা পাঠ শেষে সূর্যের ঘাড়ে
পুনরায় আবির্ভূত হতে হবে, এই খায়েসে ঈশ্বরের মন
আন্দোলিত হতে থাকে, দিনের প্রথম প্রহরে বৃক্ষের সবুজেরা
দোলায়িত হউক, ডালের পাখিরা ধান কাউনের বনে উড়াল
শেষে ছানার জন্য কুড়িয়ে আনুক খড়কুটা, কাঠবিড়ালি
গাছের গর্তে আরামে ঘুমিয়ে থাকুক, প্রস্তুতি পর্ব শেষে
প্রভাত সূর্য মর্ত্যে উদিত হউক

আবডালে থাকা ঈশ্বরও সূর্যের ঘাড়ে চড়ে আবির্ভূত হউন
তার কানে শুধু তুলা গোঁজা থাকুক, উপাসক মানুষের
আহাজারি কোন ভাবেই যেন তার কর্ণে পৌঁছুতে না পারে…

2 thoughts on “আহত ঐতিহ্যের নদী-১০

  1. আহত ঐতিহ্যের নদী শীর্ষক লিখা গুলো দারুণ একটি কাব্য গ্রন্থ হবে আমি নিশ্চিত।
    অগ্রীম অভিনন্দন প্রিয় মকসুদ ভাই। ধন্যবাদ।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।