ডোম

3115 আমার বড় ভাই প্রায়ই বলে আমাদের পূর্বপুরুষ ডোম ছিল, শ্মশানে মরা পোড়াত। আমাদের বংশের সবাই এটা অবিশ্বাস করলেও আমি খুব বিশ্বাস করি, কারণ আমার রক্তে আগুন; পোড়াতে ভালোবাসি। প্রতি কয়েক মাস অন্তর একবার আমাকে পোড়াতে হয়, পোড়াতে পোড়াতে এখন দক্ষ হয়ে উঠেছি। যদিও একবার নিজের পুড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল।

গৌতম ঘোষের ‘অন্তর্জলী যাত্রা’য় দেখেছি শত্রুঘ্ন সিনহা হাতের লাঠি দিয়ে মরাকে চেপে ধরছে। যাতে উঠে দৌড় লাগাতে না পারে। মরা পোড়ানোর সুযোগ এখনো হয়ে উঠেনি কিন্তু কাঠের মাথাকে লাঠি দিয়ে চেপে ধরতে আমার ভালো লাগে। কমলকুমার মজুমদারের ব্রাহ্মণ, দোসর অর্থাৎ পত্নী না পেয়ে মরেনি। কাঠ, কাগজ কিংবা অন্যান্য আবর্জনা সঙ্গী ছাড়া অবলীলায় মরে যায়।

শীত আগত আগামী কয়েক মাস পোড়ানো সম্ভব হবে না, আজ শেডের যাবতীয় জঞ্জাল পুড়িয়ে শেষ করে ফেলছি। মরা পোড়ানো চাকরি হিসাবে মন্দনা, অতীতকালের কথা বলতে পারবো না কিন্তু বর্তমানে ফিনারেল সার্ভিসের কর্মীদের খুব সমীহের চোখে দেখা হয়। শেষকৃত্য পুন্যের কাজ; নিষ্ঠার সাথে এমন কাজ সবার করা উচিৎ।

1 thought on “ডোম

  1. শেষকৃত্য পুন্যের কাজ; নিষ্ঠার সাথে এমন কাজ সবার করা উচিৎ। __ যাপিত জীবন। :)

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।