নিষিদ্ধ নগরী …

এখনো বেঁচে আছি
অন্ধকারকে বুকে নিয়ে এই শহরে!
অবাক হই! যখন
নিজেই শুনি লাশকাটা ঘরে নিজের হৃদস্পন্দন!
জীবিত হাজারো লাশেদের ভিড়ে আজো আছি আমি
অবাহ্নিত এক নগরে।

স্বপ্নের তন্দ্রালু সোপান বেয়ে নেমে আসা প্রতিটি সন্ধ্যা
বিবর্ণ বিষন্ন বিরক্ত বিবশ অনুভবে রিক্ত!
রাতের আঁধার থেকে কিছু অন্ধকার চুরি করে
আজো পথ হাঁটি আমি এই স্বৈরিণী জনপদে।

নষ্ট সময়ের নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে
এক মৌন প্রজাপতির নির্মোহ কঠোরতায়
আজো জেগে আছি এই ধর্ষিত পরবাসে।

এখনো বেঁচে থাকা
আঁধারের বুক চিরে ধুমকেতু হবো বলে
নতুন একটি দিনের সূচনা সংগীতের কম্পমান লহরী হতে চেয়ে
এখনো বেঁচে আছি
কুহকী উর্ণনাভ জালের এই নিষিদ্ধ নগরে।।

মামুন সম্পর্কে

একজন মানুষ, আজীবন একাকি। লেখালেখির শুরু সেই ছেলেবেলায়। ক্যাডেট কলেজের বন্দী জীবনের একচিলতে 'রিফ্রেশমেন্ট' হিসেবে এই সাহিত্যচর্চাকে কাছে টেনেছিলাম। এরপর দীর্ঘ বিরতি... নিজের চল্লিশ বছরে এসে আবারো লেখালখি ফেসবুকে। পরে ব্লগে প্রবেশ। তারপর সময়ের কাছে নিজেকে ছেড়ে দেয়া। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ তে 'অপেক্ষা' নামের প্রথম গল্পগ্রন্থ দিয়ে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। বইমেলা ২০১৭ তে তিনটি গ্রন্থ- 'ছায়াসঙ্গী'- দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ, 'ঘুঙ্গরু আর মেঙ্গরু'- উপন্যাস এবং 'শেষ তৈলচিত্র'- কাব্যগ্রন্থ নিয়ে সাহিত্যের প্রধান তিনটি প্ল্যাটফর্মে নিজের নাম রেখেছি। কাজ চলছে ১০০০ অণুগল্প নিয়ে 'অণুগল্প সংকলন' নামের গ্রন্থটির। পেশাগত জীবনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। একজন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পোষাক শিল্পের কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা করছি। লেখার ক্ষমতা আমি আমার ঈশ্বরের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছি। তাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লিখেই যেতে হবে আমাকে।

8 thoughts on “নিষিদ্ধ নগরী …

  1. মাঝে মাঝে মনে হয় নিষিদ্ধ নগরেই বসবাস করছি
    তবু বেঁচে থাকার স্বচ্ছ খাদ্যঅভ্যাস বয়েই চলছে-
    অনেক শুভেচ্ছা নিবেন মামুন দা———-

  2. কুহকী উর্ণনাভ জালের এই নিষিদ্ধ নগরে আমরা সবাই আমাদের মতো করে বেঁচে আছি।
    জীবনকে জীবনের মতো করে নয়; অসার কিছুকে অবলম্বন করে শ্বাস নিচ্ছি।

    জীবনমুখী কবিতার জন্য ধন্যবাদ মি. মামুন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

  3. আমরা সবাই এক নিষিদ্ধ নগরিতে বাস করছি যেখানে থাকবে না কোন সভ্যতা, কিংবা মানবিক বোধ! বেচে থাকা শুধু অন্যের ভোগ হয়ে।

    1. ধন্যবাদ খালিদ ভাই।
      সহমত আপনার সাথে।
      এর থেকে পরিত্রাণের পথ খোজা দরকার।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।