জ্বর একটা বেকার শ্যামা-সংগীত
বাইরে কি মাদারপাতাকে এক্স-রে করছে সূর্যদেব? বাঘ হরিণের
কোমর পর্যন্ত খেয়ে ফেলে রাখে — পুকুরেরও আধখানা কুক্ষিগত কুয়াশার।
আর জিলিক পাড়ছে থাইয়ের ভেতর — শেরশাহের ঘোড়া ছুটে গেল
রাস্তা বানাতে বানাতে…
বাড়ির নিঃঝুম হাত-পা ধুয়ে বিকেলের মুড়ির সামনে বসে আছে
আর কপালে গাল না ঠ্যাকালে তাপ বোঝে না যে, ঝুঁকে পড়ছে এতবার —
আমার বুকে আয়োডিনের অভাবে আহ্ নরম গলগণ্ড রোগ হয়ে যাবে!
কিন্তু এ-কেমন দয়া, অসুখে না-পড়া পর্যন্ত কিশোরপ্রাণ মুচড়ে দিয়ে
বলবে ‘খাওয়াবো তত্ত্ব, হাগাবো রক্ত’?
এই অভিনেত্রীকে কেউ বিশ্বাস করো না!
ফিরিয়ে নাও উপস্থিতি, ও কাফকার চেয়ে এককাঠি বেশি গৃহরাষ্ট্রখানি
টানেলের ভেতরে বসে থাকা গুমগুম বিষাদ এই টয়ট্রেন-শরীরে নিয়েছিলাম। কঞ্চির তরোয়াল চালাইনি বলে যেটুকু শিশির আমার প্রজা কচুপাতায়, আমার দয়ায় বেঁচে যে সন্ধ্যামণি ফুল; আর কালো পিঁপড়েরা লাইন সোজা রাখুক — তার বেশি কী চেয়েছি; অথচ লুকিয়ে মণিদার ডাম্বেলে তৈরি হাতের গুলিতে শালা জ্বর ধস নামিয়ে দিল!
চোখ ঝলসে যায় এত জীতেন্দ্র অন্ধকার; তমসার পেশি ফুলকপি-গুণন পদ্ধতিতে
করোটির নিচে গুঁজে দিচ্ছে পাহাড়ের দাড়িকাটা ফোমের কুহেলি।
কিছুক্ষণ সংগ্রাম ক’রে শেষে দেখি ধরা দেওয়া অনেক আরাম
যুদ্ধবন্দিকে এরা অপূর্ব ভাগিয়ে নিয়ে যায় গ্রহচূর্ণের গতিতে
সুড়ঙ্গ যেখানে আরও সুড়ঙ্গের কালো সমীকরণ,
বালিতে ঢেউয়ের নুন শুষে যাওয়ার শব্দচিৎকার…
সেই রোল ছাপিয়ে উঠল: “ও মনি, দাদুর মুখ দিয়ে গ্যাঁজা বেরোয় যে!”
তারপর পেতলের ডাবর কাঁধাউঁচু, জন্ম পূর্ব পাকিস্তান, শুকনো ডাঁটির শেষে
আধবোজা পদ্মের তলায় স্থায়ি হবে।
ঝরতে থাকবে জলের নিজস্ব সেতারে সারারাত মা-সংগীত;
জলসূত্র ধুয়ে নিচ্ছে কপালের কাটাদাগ, মাথার নাড়িভুঁড়ি
যেখানে জ্যামিতির ভয়াবহ এক্সট্রা ঢুকে থাকে
আর ভোর-ভোর ভেসে ওঠল প্রাণ মাটির ওপর — আব্বুলিশ, ফিরফিরতি ব’লে;
গায়ে লেখা: তুমি গ্যাসবেলুনের ভেতর সবচেয়ে নীল জলবায়ু,
শিউলিবাড়ির মধ্যে সর্বসুগন্ধ তুমি…
কবিতার আদল দেয়াল কতটা স্বতন্ত্র ধারার পরিবেশনায় হতে পারে তা আপনার লিখা পড়লে বেশ বোঝা যায়। এই লিখাটি তার অনন্য। … অসাধারণ লিখা।
সুস্বাগতম প্রিয় কবি চন্দন দা।
বেশ অনুপ্রেরিত হইলাম দাদা
অনেক ভাল থাকুন———-
অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন, আজাদভাই। আপনি অতদূর থেকে যেভাবে আমার লেখার পাশে দাঁড়িয়েছেন, শত-ঋণী হয়ে আছি।
ইউ ডিজার্ভ ইট দাদা।
প্রতি-মন্তব্য লিখতে হাতের ডানে জবাব বাটনে ক্লিক করে উত্তর লিখুন।
খুব খুশি হলাম আপনার মন্তব্যে, লিটনভাই।