★
রিক্সাটা ছেড়ে দিয়ে, অন্ধকার সিঁড়ির একচিলতে আলোয় পথ দেখায় অভ্যস্ত আরমান, নিজের দরোজার সামনে থমকে দাঁড়ায়!
ফ্ল্যাটের দরোজার বুকে নিজের নামটি সুন্দরভাবে ছিলো এতদিন। নেই এখন! শেষের একটি অক্ষর নি:সংগ মুখব্যাদান করে চেয়ে আছে, ছিড়ে ফেলেছে কেউ। এতো উঁচুতে বাবুদের দুষ্টুমি নাগাল পায় না।
মৌচাক নগরে মধু অন্বেষণকারী শ্রমিক মধুমক্ষির মৌ-বিড়ম্বনা?
মৌ-বিড়ম্বনা!
বাহ!
নিজের মনে হাসে আরমান। ডোরবেলের নবে আলতো ছুঁয়ে দেয়। আর ভাবে,
– জীবনটা ইদানিং লিকার চা’য়ে যেনো এক চামচ ইয়ার্কি।।
#মৌ_বিড়ম্বনা_অণুগল্প
★ লিকার চা’য় এক চামচ ইয়ার্কি কথাটি প্রিয় কবিদা’ সৌমিত্র চক্রবর্ত্তীর। অনুমতি নিয়েছি আগেই ব্যবহারের জন্য।
__________________________
★★
নিজের ব্যালকনিতে একা আমান। সামনের একটু দূরের দুইতলা ভবনের ছাদে এই শীতে প্যান্ডেলবিহীন কিছু মানুষ একত্রিত হয়েছে। প্রচন্ড আওয়াজে সাউন্ডবক্স বাজছে- বার বার এই লাইনটা শুনতে পাচ্ছে-
‘রুপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া’
একটু কি বিরক্ত হয় আমান?
এটা নিজেকে জিজ্ঞেস করাতে বিরক্তি আরো বাড়ে বৈ কমে না.. একটুও।
নিজের ওপর বিরক্ত অনেক আগে থেকেই। জন্মের সময় থেকেই কি? প্রচন্ড একটা যুদ্ধের মাঝামাঝি চরম এক দু:সময়ে ধরায় আগমন! ব্যতিক্রম একটু অবশ্যই। সুক্ষ্ম একটা বৈষম্য অনুভব করে। নিজের প্রতি। ওর ইশ্বরের পক্ষ থেকে। অন্যদের সাথে তুলনা করলে। নিজের সাথে।
বৈষম্য কাছের এবং দূরের মানুষদের থেকেও অহর্নিশ অনুভব করে চলে। তবে ধরা যায় না। কেবল সে-ই অনুভব করে। অন্যেরা নয়? দেখা যায় না, ধরা বা ছোয়া যায় না। আমান ছুতে পারে, অন্যরা বুঝে না। এজন্যই সুক্ষ্ণ ভেবেছে।
চরম বিরক্ত আমানের ব্রেইন পরিচিত হ্যালুসিনেশনে ডুবতে চায়। রুপবানে নাচুক কোমর দুলাইয়া। সারা দেশটাই নেচে চলেছে যখন।
বিরক্ত ভাবনাগুলো বিরহের ডানা মেলে বিবর্ণ হতে শুরু করে.. সব দিন.. প্রতিদিন.. এভাবেই একদিন?
এখন প্রতিদিনই এক একটি একদিন!
#বৈষম্য_অণুগল্প
প্রথমত অভিনন্দন যে ছবিতে আপনাকে দারুণ দেখাচ্ছে।
লিখার বিষয়টি একটু অন্যরকম। আমি বিশ্বাস করি, এই অণুগল্পগুলোনে যখন আরও ঘষামাজার কাজ চলবে, ছাপার অক্ষরে চলে আসবে, পাঠক নন্দিত হবেই হবে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের ভিতরের ভালোলাগাটুকুর জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঘষামাজার ব্যাপারে সহমতে আছি। আমার কাব্যগ্রন্থটি হাতে আসেনি বিধায় আপনাকে এখনো কুরিয়ার করিনি। ছায়াসংগী গল্পগ্রন্থটিতে গল্পগুলি যেভাবে আছে, পোষ্টের সময় সেরকম ছিলো না। আপনি-ই আমার একমাত্র পাঠক যিনি আমার ফেবু টাইমলাইন এবং ব্লগের পোষ্ট পড়েছেন। তাই গ্রন্থ তিনটি সম্পর্কে আপনার অভিমত, আমার ২০১৮’র হাজার অণুগল্প গ্রন্থের ক্ষেত্রে অনেক প্রভাব ফেলবে জানবেন।
অনেক ভালো থাকুন।
নিজেকে সম্মানিত বোধ করবো মি. মামুন। ধন্যবাদ।
স্বাগত ভাইয়া আপনাকে।
জীবনটা ইদানিং লিকার চা’য়ে যেনো এক চামচ ইয়ার্কি।।
হ্যা প্রিয় ভাই
ইদানিং জীবন এমনই। 
ভালো লাগলো
শুভেচ্ছা নিবেন প্রিয় কবি।
ধন্যবাদ ভাই। কবি তো আপনি এবং আপনারা।
আমি ছোট গল্পকার।
ভালো থাকুন ভাই।
দু`টি অণুগল্পই দারুণ হয়েছে মিতা। শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ মিতা।
আপনার ভালো লাগার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো।
বাহ, দারুণ
ধন্যবাদ বন্ধু।
নতুন স্বাদ পেলাম। অনুগল্পগুলোতে….
ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকুন।