
২৮ রমজান। ভোর সাড়ে ছয়টায় বাসা থেকে বের হয় শিহাব। সেহরি খেয়ে মাত্র দু’ঘন্টা ঘুমুতে পেরেছে। ঠিক ছ’টায় সহকর্মীর ফোন,
– ভাই, চেয়ারম্যান এর বাসায় সাতটায় যাবার কথা না? বের হলাম আমি।
ঘুম জড়ানো কন্ঠে ‘আচ্ছা’ বলেই আবার ঘুমিয়ে পড়ে শিহাব। কিন্তু দশ মিনিট যেতেই আরেক সহকর্মীর ফোন। অগত্যা উঠতেই হয়। দ্রুত রেডি হয়ে বেরও হয়।
তিনজন মফস্বল সাংবাদিক যখন ঘুম জড়ানো চোখে মহাসড়ক ধরে বাইক নিয়ে তুমুল বেগে ছুটছে, ঘড়ির কাটায় সময় তখন ছ’টা পঞ্চাশ।
স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান এর বাসার সামনে তিনজনের বাইক এসে থামে। ইতোমধ্যে সাতটা দশ পার হয়েছে। চেয়ারম্যান এর বাড়ির সদর দরোজা বন্ধ। দরজার সামনে কিছু ‘জেনারেল ভিক্ষুক’ অপেক্ষা করছে। ঈদ উপলক্ষে তাদের চেয়ারম্যানের থেকে কিছু আর্থিক সাহায্য নিতে এরা অপেক্ষা করছে সেই ভোরবেলা থেকে।
গেটের দারোয়ানকে তাদের আগমনের কারণ জানায় শিহাব। উত্তরে দারোয়ান জানায় চেয়ারম্যান ঘুম থেকে ন’টায় উঠবেন। এখন গেট খোলা যাবে না। নিজেদের ‘সাংবাদিক’ পরিচয় দেবার পরও গেটম্যান জানায় তার কিছু করার নেই।
অপেক্ষমান বাকি দুই সহকর্মীর কাছে এসে একটু রাগ হয় শিহাব। নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করতে জানায়,
– কামালের কথা শুনে এই ভোরবেলায় আসলাম। এখন নয়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?
যে সহকর্মী ফোন দিয়ে শিহাবের ঘুম ভাঙ্গিয়েছিলো, বিব্রত কন্ঠে সে উত্তর দেয়,
– সাতটার পরে নাকি চেয়ারম্যানকে আর বাড়িতে পাওয়া যাবেনা, কামালই তো বললে আসতে।
‘ঘোৎ’ জাতীয় শব্দ এবং আরও কয়েকটি ‘চো’ মিশ্রিত শব্দ মিলিয়ে নিজের রাগ প্রকাশ করে শিহাব। এদিক ওদিক তাকায়। রোদ বেড়ে গেছে। ছায়া আছে এমন জায়গার খোঁজ করে সে। প্রায় দুই ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। বসার কোনো জায়গাই নেই। সদর দরজার শেডে কিছু ছায়া আছে, সেখানে ভিক্ষুকদের সারিবদ্ধ অবস্থান। ওখানে অপেক্ষা করার প্রশ্নই আসেনা।
ইউপি চেয়ারম্যান এর বাড়ির চারপাশে সিসি ক্যামেরা। সেদিক তাকিয়ে সামনের দিকে হেঁটে চলে শিহাব। ওর পিছু নেয় বাকি দুই সহকর্মী। বাড়ি পার হলে একটা মুদির দোকান। বন্ধ। সামনে দুইটা বেঞ্চ পাতা। সহকর্মী দু’জন বাইক নিয়ে সেখানে ‘স্ট্যান্ড’ করায়। শিহাব আগেই বেঞ্চে বসে গেছে। ঘুমে চোখ জ্বালা করছে তার।
জ্বলছে বুকের ভেতরেও। সামান্য ক’টা টাকার জন্য এত ভোরে এসে এখন কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। চাইলে দারোয়ান বিশাল বাড়ির ভিতরের ‘ওয়েটিং রুমে ‘ ওদের বসাতে পারতো। সেটা না করাতেই অপমানের তীক্ষ্ণ খোঁচা অনুভব করে শিহাব। মোবাইল বের করে চেয়ারম্যান এর নাম্বারে কল করে। মোবাইল ‘সুইচড অফ’।
বাকি দুই সহকর্মী নিজেদের মোবাইলে মগ্ন। মাথা নিচু করে f আকৃতি নিয়ে ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা। মুদি দোকানের বেঞ্চে বসে অদূরে অপেক্ষমান ভিক্ষুকদের সারির দিকে তাকিয়ে থাকে শিহাব। ওদের তাড়া নেই। ওদের নিস্প্রভ চোখে হয়তো ঘুম না হওয়ায় জ্বালা ধরানো অনুভবও নেই। নেই হয়তো বুকের ভিতরে ‘অপমানের তীক্ষ্ণ খোঁচা। ওরা এভাবেই অপেক্ষা করতে অভ্যস্ত। ওরা ভিক্ষুক।
‘তুমি কি? ওরা যদি ভিক্ষুক হয়, তাহলে তুমিও তো ভিক্ষুক!’
নিজের মনের এই মন্তব্যে মৃদু হেসে মনকে শিহাব জানায়,
– না, আমি ‘রাজ ভিক্ষুক’।
আমাদের দেশে ঈদ এলেই মফস্বল সাংবাদিকেরা ভিক্ষুকে পরিণত হয়। ঈদকে সামনে রেখে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিদের থেকে ‘ঈদ সালামি’ গ্রহনের হিড়িক পড়ে যায়। যে যেভাবে পারে ‘ঈদ শুভেচ্ছা’ প্রদানের ছদ্মবেশে আসলে থাকে নগদ টাকা সংগ্রহের প্রচেষ্টা। এটা এখনকার মফস্বল সাংবাদিকতার এক ‘ট্রেন্ড’ এ পরিণত হয়েছে। এছাড়া আর করারই বা কী রয়েছে? সব মফস্বল সাংবাদিকেরা তো তাদের ‘হাউস’ থেকে বেতন পান না। নিজের টাকার তেল পুড়িয়ে সারা বছর সংবাদ সংগ্রহে ব্যস্ত থাকে তারা। তাদের সংসার কীভাবে চলে? কিংবা ঈদ সহ অন্যান্য পার্বনে মফস্বল সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দ কীভাবে উদযাপন করে তারা? এই খবর যেমন তাদের কর্মস্থলের মালিক সম্পাদকগণও নেন না, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও সেসবের খোঁজ নেবার কোনো প্রয়োজন মনে করেন না। এক একসময় শিহাবের মনে হয়, ‘আদৌ মফস্বল সাংবাদিকেরা’ মানুষ কিনা?’
ঠিক পৌণে ন’টায় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে শোরগোল শুনে সেদিকে আগায় শিহাব। এর ভিতরে মুদি দোকানদার এসে তার দোকান খুলেছে। দোকানের চারপাশে কাপড়ের পর্দা টানিয়ে দিয়েছে। এটা মুদি দোকান হলেও এখানে চা বিক্রী হয়। পর্দার আড়ালে ইতোমধ্যে কয়েকজন এসে চা ও সিগারেট পান করেছে শিহাবদের পাশে বসে। পর্দার ভিতরে থেকে তারা রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করেছে।
হট্টগোলের জায়গায় এসে শিহাব দেখে, একজনকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাকে ঘিরে অনেক নারী-পুরুষ লাগাতার চেচামেচি করে যাচ্ছে। বিশাল ভুঁড়িওয়ালা একজনের হাতে লাঠি। সে বেঁধে রাখা লোকটিকে মারতে গিয়েও মারছেনা। কেবল ভয় দেখাচ্ছে। এই লোক নাকি রিক্সা চুরি করেছিলো। আজ তাকে হাতেনাতে ধরতে পেরে এই বিচারের আয়োজন।
শোরগোল শুনে নিজের বাড়ির দো’তলার বারান্দায় আসেন ইউপি চেয়ারম্যান। কি হয়েছে জানতে চান। রিক্সা চোর ধরা পড়েছে শুনেই আগ্রহ হারান তিনি। তাঁর কাছে হয়তো এটা কোনো চুরিই না। আমাদের দেশে অনেক আগে থেকেই তো অনেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাউল, গম এবং সর্বশেষ করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ চুরির অভিযোগ রয়েছে। কয়েকজনকে তো এই অভিযোগে শাস্তিও দেয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যানকে দেখে সদর দরজার সামনে গিয়ে উপরে তাকিয়ে তাকে সালাম দেয় শিহাব। মাস্কে ঢাকা নিজের চেহারা দেখায় মাস্ক থুতনিতে নামিয়ে দিয়ে। সালামের উত্তর দিয়ে চেয়ারম্যান অন্দরমহলে প্রবেশ করেন। দুই সহকর্মীকে নিয়ে শিহাব দারোয়ানের সাথে আবার কথা বলে এবং ভিতরে প্রবেশ করতে চায়। কিন্তু দারোয়ান এবারও তার অনীহা প্রকাশ করে। সে জানায় চেয়ারম্যান যতক্ষণ নিচে না নামবেন ততক্ষণ এই গেট খোলা হবেনা।
এবারও বিড়বিড় করে শিহাব মনের ক্ষোভ প্রকাশ করে সদর দরজা থেকে সরে আসে। তবে এবার ‘চো’ শব্দের পরিবর্তে শিহাব ‘মা’ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করে।
সাড়ে ন’টার সময় দুইটা মটরবাইক গেটের সামনে আসে। এদের দেখেই দারোয়ান দরজা খুলে দেয়। এরা চেয়ারম্যান এর খাস লোক। এদেরকে সাধারণত ‘ভাইলোক’ বলা হয়। এই ‘ভাইলোক’দের একজন শিহাবের পরিচিত। মফস্বল সাংবাদিকদের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানদের ‘টক-ঝাল-মিষ্টি’ জাতীয় সম্পর্ক। যদিও সাংবাদিকের কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে নেই, তারপরও অনেক সাংবাদিকই কোনো না কোনো দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। তবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রতিনিধিদের কুকর্ম কিংবা কোনো ‘ফাঁক’ খুঁজে পেলে, সেখানে ‘ভরে দেবার লোভ’ অধিকাংশ সাংবাদিকেরাই সম্বরণ করতে পারেন না। আর এইসব ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যানদের রক্ষা করতে সাংবাদিক ও ইউপি চেয়ারম্যানের মাঝে ‘মিডল ম্যান’ হিসেবে কাজ করেন এসব ‘ভাইলোক’।
পরিচিত সেই ‘ভাইলোক’ এর কল্যাণে শিহাবরা চেয়ারম্যান এর বাড়ির একতলার ‘ওয়াটিং রুমে’ বসার সুজোগ পায়। ঘড়ির কাটা তখন কাটায় কাটায় সকাল দশটার ঘরে।
ওয়েটিং রুমে বেশ বড় সোফাটায় শরীর এলিয়ে বসে পড়ে শিহাব। বাকি দু’জনও ওকে অনুসরণ করে। ভিতরে আরো অনেক লোক দেখতে পায় শিহাব। এরা কখন যেন ভিতরে প্রবেশ করেছে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়। ভিক্ষুকদের দল আরো অনেক বড় হয়েছে। ভিতরে এবং বাহিরে উভয় ‘ভিক্ষুক’ দলই চেয়ারম্যানের অপেক্ষায়।
সাড়ে দশটায় তিনি উপরমহল থেকে নেমে এলেন। ওয়েটিং রুমের সাথেই তার অফিস রুম। সেখানে ঢুকে যান তিনি। যাবার আগে শিহাবদের দেখে হাত দিয়ে বসার ইশারা করেন। তার পিছনে ‘ভাইলোক’রা অফিসে প্রবেশ করে দরোজা বন্ধ করে দেয়।
এভাবে অপেক্ষার প্রহর বাড়তেই থাকে। এর ভিতরে RAB এর ভেস্ট পরা এক কনস্টেবল পিছনে ব্যাগ হাতে এক ‘মুন্সি’কে নিয়ে চেয়ারম্যান এর অফিস দরোজায় নক করেন। দরজা খুলে যায়। ওনারা দু’জন প্রবেশ করতেই সব ‘ভাইলোক’রা বের হয়ে আসে। শিহাবদের সামনে প্লাস্টিকের চেয়ার টেনে সেখানে বসে গল্পে মেতে ওঠে তারা।
একটু পরে স্থানীয় থানার গাড়ি এসে থামে চেয়ারম্যান এর সদর দরোজায়। এক এস আই সাথে একজন কনস্টেবলকে নিয়ে অফিস রুমে প্রবেশ করে। দরোজা বন্ধ হয়।
এরপর ঘড়ির কাটা ঘুরতে থাকে। RAB এবং পুলিশ সদস্যগণও বের হন না। শিহাবদেরও ভিতরে প্রবেশ করা হয়না। সোয়া এগারোটার সময় চেয়ারম্যান একা বের হন। শিহাব এবার এগিয়ে গিয়ে চেয়ারম্যানকে সালাম দেয়। চেয়ারম্যান বলেন,
– একটু বসেন ভাই। পুলিশ বিদায় করে আপনাদের ডাকতেছি।
একথা বলেই অফিস রুমের বাইরের বাথরুমে ঢুকে যান চেয়ারম্যান।
আবার সোফায় শরীর এলিয়ে দেয়া। শিহাবের ভ্রুর কুঞ্চন আরো গভীর হয়। সাথের এক সহকর্মী জানায়,
– বাথরুমে কয় ঘন্টা লাগায় এবার কে জানে?
– আরে, নোট আলাদা করতে গেছে টয়লেটে। আলাদা আলাদা খামে ভরতে যতক্ষণ। বেশীক্ষণ লাগবেনা।
দ্বিতীয় সহকর্মী উত্তর দেয়।
একবার ভাবে শিহাব যে চলেই যায়। কিন্তু সাথের এক সহকর্মীকে বলতেই সে জানায়,
– এতক্ষণ অপেক্ষা করলাম, খালি হাতে যাবোনা আজ। পরে যা করার করা যাবে। পুরা দিনটাই মাটি হবে আজ এখন এভাবে চলে গেলে।
সাড়ে এগারোটায় RAB কনস্টেবল তার মুন্সিকে নিয়ে বের হয়। এরপর এস আই তার কনস্টেবলকে সাথে নিয়ে। এবার শিহাবদের অফিস রুমে ডাক পড়ে। কিন্তু দরজার কাছে যেতেই পরিচিত ‘ভাইলোক’ এসে জানতে চায়,
– কয়জন আপনারা?
শিহাবের সাথের সহকর্মী উত্তর দেয়,
-তিনজন।
শুনে ‘ভাইলোক’ আবার ভিতরে যায় শিহাবদের দরোজায় দাঁড়া করিয়ে রেখে। একমিনিট পরে বের হয় সে। এক হাজার টাকার তিনটা নোট হাতে নিয়ে এক এক করে শিহাবদের হাতে গুঁজে দেয়। ‘ওয়েটিং রুমে’ অপেক্ষমাণ সকল মানুষের সামনে হাতের মুঠোতে এক ইউপি চেয়ারম্যান এর ‘ঈদ সালামি’ এক হাজার টাকার নোট নিয়ে বিব্রত হয় শিহাব। এভাবে খাম ছাড়া টাকা দেয়ায় নিজেকে কেমন উলঙ্গ মনে হয় শিহাবের। একবার ভাবে টাকাটা ছুড়ে ফেলে দেয় ‘ভাইলোক’ এর মুখের উপর। কিন্তু সবসময় মন যা চায় আমরা কি তা করতে পারি?
কোনোমতে দরজায় রেখে আসা জুতো জোড়া পায়ে দেয় শিহাব। মানিব্যাগে নোটটা রাখে। সদর দরোজা দিয়ে বের হবার সময় আবারও বাইরে অপেক্ষমান ‘জেনারেল ভিক্ষুকদের’ দিকে তাকায় শিহাব নামের এক ‘রাজ ভিক্ষুক’। এরা এখনও অপেক্ষা করছে। হয়তো সারাদিনই অপেক্ষা করবে এরা। কিছু পাক বা না পাক।
নিজেদের বাইক স্টার্ট দেবার সময় থানার গাড়িটি শিহাবদের অতিক্রম করে। ড্রাইভারের পাশে বসা পরিচিত এস আই’র সাথে শিহাবের চোখাচোখি হয়। সে নির্লজ্জ হাসি হাসে। শিহাবের কাছে মনে হয় যেন ভেংচি কাটলো তাকে।
নিজের বর্তমান পেশাকে ঘিরে সামগ্রিক কর্মকান্ডে নানাবিধ ভাবের উদয় হয় শিহাবের মনে। অক্ষম ক্রোধ, আর্থিক অস্বচ্ছলতায় ঈদকে ঘিরে ভিক্ষাবৃত্তি, সত্য প্রকাশে মানসিক টানাপোড়েন সহ সদ্য প্রায় পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষার পর সবার সামনে হাজার টাকার একটি নোট প্রাপ্তি- এসব কিছু মিলিয়ে মহাসড়ক ধরে ৮০ কি.মি. বেগে দ্রুত ছুটে চলা শিহাবের মনে হয় বাইক নিয়ে সোজা আইল্যান্ডে গিয়ে ধাক্কা দেয়। এই ‘রাজ ভিক্ষুক’ এর জীবন আর ভালো লাগেনা।
এবার ‘চো’ এবং ‘মা’ গোত্রের সাথে ‘খা’ জাতীয় শব্দের মিশেলে এক মফস্বল সাংবাদিকের নিজের ভিতরের ক্রোধ ও হতাশা বের হয়ে বাতাসে ভেসে বেড়ায়। কিন্তু তাতে ঈদ ‘কালেকশনে’ বের হওয়া শিহাব নামের এক ‘রাজ ভিক্ষুক’ এর ভিতরের জ্বলুনি কি একটুও কমে?
#রাজ_ভিক্ষুক_মামুনের_অণুগল্প_৫৫৩