এক চতুর্থাংশ সুখ (অণুগল্প ৪০০)

অবশেষে ৪০০তম অণুগল্পটিও লেখা হলো। আরো ৬০০ অণুগল্প লেখা বাকী এখনো…
_________________________________________

চলার নামই জীবন। জীবন সুখ-দু:খের মহাসম্মেলন। প্রত্যেকেরই যার যার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এ ব্যাপারে। প্রাপ্তির নিরিখে এই দেখার ভিন্নতা এবং বিচিত্রতা।

জীবনের এই পর্যায়ে এসে শায়লা নিজেকে এক বিরান মরুভূমিতে আবিষ্কার করে। যেখানে সুখগুলি সাদা মেঘ হয়ে ওকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। দু:খগুলি ধুয়ে ধুয়ে সুখ হবে সেই আশায়, বিস্তীর্ণ প্রান্তর পাড়ি দিয়েছে নিজের মতো করে এতদিন।

তবে সেই পথ কুসুমাস্তীর্ণ ছিলো না। অধিকাংশ পথই ছিলো কন্টকময়। কাছের সম্পর্কগুলি ফুল হয়ে যতটা কোমলতার পরশ দিয়েছে, কাটার তীক্ষ্ণতর আঘাত ছিলো তার চেয়েও বেশী! তবুও মানিয়ে চলার চেষ্টা ছিলো শেষ সময় পর্যন্ত। তারপরও..

একজন মানুষের সহ্যক্ষমতারও একটা নির্দিষ্ট সীমা আছে। সেই সীমা পার হওয়াতে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে, নিজের একাকীত্ব কে সংগী করে ফিরে চলেছে সে। স্বামী-সংসার, সেই সাংসারিক জীবনে ভূমিকা রাখা প্রিয় মানুষটির আরো কিছু প্রিয়জনদের কিছু অপ্রিয় কর্মকান্ডের কারণে, জীবন নিক্তিতে সুখের পরিমাপটুকু আর করা হলো না। মেঘগুলি বরষা হয়ে দু:খগুলিকে ধুয়ে ধুয়ে সুখেরকাঁটাও যদি করতে পারতো!

সুখের এক চতুর্থাংশও যদি পেতো এক জীবনে! জীবন কতটুকু আর? এমন কেনো জীবন?

মামুন সম্পর্কে

একজন মানুষ, আজীবন একাকি। লেখালেখির শুরু সেই ছেলেবেলায়। ক্যাডেট কলেজের বন্দী জীবনের একচিলতে 'রিফ্রেশমেন্ট' হিসেবে এই সাহিত্যচর্চাকে কাছে টেনেছিলাম। এরপর দীর্ঘ বিরতি... নিজের চল্লিশ বছরে এসে আবারো লেখালখি ফেসবুকে। পরে ব্লগে প্রবেশ। তারপর সময়ের কাছে নিজেকে ছেড়ে দেয়া। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ তে 'অপেক্ষা' নামের প্রথম গল্পগ্রন্থ দিয়ে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। বইমেলা ২০১৭ তে তিনটি গ্রন্থ- 'ছায়াসঙ্গী'- দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ, 'ঘুঙ্গরু আর মেঙ্গরু'- উপন্যাস এবং 'শেষ তৈলচিত্র'- কাব্যগ্রন্থ নিয়ে সাহিত্যের প্রধান তিনটি প্ল্যাটফর্মে নিজের নাম রেখেছি। কাজ চলছে ১০০০ অণুগল্প নিয়ে 'অণুগল্প সংকলন' নামের গ্রন্থটির। পেশাগত জীবনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। একজন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পোষাক শিল্পের কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতা করছি। লেখার ক্ষমতা আমি আমার ঈশ্বরের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছি। তাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লিখেই যেতে হবে আমাকে।

4 thoughts on “এক চতুর্থাংশ সুখ (অণুগল্প ৪০০)

  1. 'সুখের এক চতুর্থাংশও যদি পেতো এক জীবনে! জীবন কতটুকু আর? এমন কেনো জীবন?' ___ জীবনের এই এক কঠিন প্রশ্নের কোন উত্তর কখনো আসেনা।
    কেবলই অপেক্ষা।

    ৪০০তম অণুগল্পের অভিনন্দন। এবং ৬০০তম অধ্যায়ের অপেক্ষা রাখলাম মি. মামুন।

  2. টাইম মেশিং একখনো আবিস্কার হয়নি বলেই স্মৃতিরা আজো কাঁদায়

    জীবন মানেই তো জীবন জাপন খেলা।

    শুভকামনা থাকলো

    https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।